বাংলাদেশ ও চীনের কূটনৈতিক সম্পর্কের সুবর্ণজয়ন্তী এবং পারস্পরিক বন্ধুত্বের গভীরতা উদযাপন করতে আয়োজিত হচ্ছে ‘দ্বিতীয় চীন-বাংলাদেশ সংগীত প্রতিযোগিতা’। দুই দেশের সংস্কৃতিকে কাছাকাছি আনার ব্যতিক্রমী এ আয়োজন ২০২৫ সালের আগস্ট থেকে শুরু হয়ে চূড়ান্ত পর্বে পৌঁছাবে সেপ্টেম্বর মাসে।

দ্বিতীয় চীন-বাংলাদেশ সংগীত প্রতিযোগিতার আয়োজক কমিটি এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তি এ তথ্য জানিয়েছে।

প্রাথমিক বাছাইপর্ব অনুষ্ঠিত হবে ২৫ আগস্ট এবং চূড়ান্ত পর্ব অনুষ্ঠিত হবে ১৯ সেপ্টেম্বর।

আরো পড়ুন:

অক্সফোর্ডে পড়ে চাকরি মেলেনি, যে সিদ্ধান্ত নিলেন যুবক

প্রেমের টানে খুলনায় এসে বিয়ে করলেন চীনা তরুণ

এতে বাংলাদেশি ও অ-চীনা নাগরিকদের জন্য থাকছে চীনা ভাষার গান পরিবেশনের সুযোগ এবং চীনা নাগরিকদের জন্য থাকছে বাংলা ভাষার গান পরিবেশনের সুযোগ।

সংগীতের মাধ্যমে দুই দেশের বন্ধনকে আরো সুদৃঢ় করতে ইচ্ছুক যে কেউ অংশ নিতে পারবেন এই আয়োজনে।

বিস্তারিত জানতে যোগাযোগ- শান্ত-মারিয়াম-হোংহো কনফুসিয়াস ক্লাসরুম। শান স্যার-শাফি স্যার। মোবাইল: ০১৬০২৭১৫৮০৮/০১৩১২৩৮৭৭৮৭, ই-মেইল: [email protected]।

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কনফুসিয়াস ইনস্টিটিউট: যোগাযোগ- দ্য লিউ স্যার, মোবাইল: ০১৮৮৬১৬৪৫৬৬, ই-মেইল: [email protected]।

নর্থ সাউথ ইউনিভার্সিটি কনফুসিয়াস ইনস্টিটিউট: যোগাযোগ- হুয়াং স্যার, মোবাইল: ০১৭০১৮৪৩১৫৪, ই-মেইল[email protected]।

চায়নিজ এন্টারপ্রাইজ অ্যাসোসিয়েশন বাংলাদেশ: যোগাযোগ- চৌ ম্যাডাম, মোবাইল: ০১৭০৮৫২৩৬৬৫, ই-মেইল: [email protected]।

প্রবাসী চীনা ফেডারেশন বাংলাদেশ: যোগাযোগ- হু ম্যাডাম, মোবাইল: ০১৯১৬৯৪৭২৯৪, ই-মেইল: [email protected]।

এই আয়োজনের মাধ্যমে অংশগ্রহণকারীরা কেবল সাংস্কৃতিক মেলবন্ধনের সুযোগই পাবেন না, বরং সম্মাননা ও স্মৃতিময় অভিজ্ঞতাও অর্জন করতে পারবেন।

ঢাকা/হাসান/ফিরোজ

.

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর

এছাড়াও পড়ুন:

ছুটি না পেয়ে অসুস্থ শ্রমিকের মৃত্যু, মহাসড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ 

নারায়ণগঞ্জের বন্দরের মদনপুর এলাকায় লারিজ ফ্যাশনের পোশাক কারখানায় অসুস্থ হয়ে রিনা আক্তার (৩২) নামের এক শ্রমিকের মৃত্যুর প্রতিবাদে বিক্ষোভ করেছেন শ্রমিকরা। 

সোমবার (৩ নভেম্বর) সকালে তারা মদনপুরে ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়ক অবরোধ করেন। খবর পেয়ে থানা পুলিশের সঙ্গে হাইওয়ে ও ইন্ডাস্ট্রিয়াল পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। 

প্রত্যক্ষদর্শী ও শ্রমিকরা জানিয়েছেন, রিনা আক্তার অসুস্থ অবস্থায় কারখানায় কাজ করছিলেন। রোববার তিনি বেশি অসুস্থতা অনুভব করলে ছুটি চেয়ে আবেদন করেন। তবে, কর্তৃপক্ষ ওই শ্রমিকের আবেদনে সাড়া না দিয়ে কাজ করতে বাধ্য করেন। ওই নারী গুরুতর অসুস্থ হয়ে ফ্লোরে লুটিয়ে পড়লে তাৎক্ষণিকভাবে সহকর্মীরা স্থানীয় একটি হাসপাতালে নিয়ে যান। সেখানে তার শারীরিক অবস্থার আরো অবনতি ঘটলে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হয়। সেখানে চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।

অবরোধকারী শ্রমিকদের অভিযোগ, তাদের সহকর্মীর মৃত্যুর জন্য মালিকপক্ষ দায়ী। রিনা অসুস্থ হওয়া সত্ত্বেও তাকে ছুটি দেওয়া হয়নি। চিকিৎসার অভাবে মারা গেছেন তিনি। 

লারিজ ফ্যাশনের মালিকপক্ষ ও কর্মকর্তাদেরকে গ্রেপ্তার করার দাবি জানিয়েছেন শ্রমিকরা।

এ বিষয়ে জানতে যোগাযোগ করা হলে লারিজ ফ্যাশন কোম্পানির প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা (সিইও) শিমুল বলেছেন, আমাদের একজন শ্রমিক অসুস্থ হয়ে পড়লে তাৎক্ষণিকভাবে তাকে স্থানীয় একটি হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানে তার শারীরিক অবস্থার অবনতি ঘটলে ঢাকা মেডিকেল কলেজে হাসপাতালে নিয়ে গেলে সেখানে মৃত্যু হয়। এতে আমাদের কোনো গাফিলতি নেই। আমরা আমাদের সর্বাত্মক চেষ্টা করেছি।

কাঁচপুর হাইওয়ে থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আব্দুল কাদের জিলানী বলেছেন, সহকর্মীর মৃত্যুর জন্য গার্মেন্টস মালিকপক্ষ দায়ী, এমন অভিযোগ করে শ্রমিকরা আন্দোলনে নেমেছেন। আমরা তাদের সঙ্গে কথা বলার চেষ্টা করছি। ঘটনাস্থলে থানা পুলিশের সঙ্গে হাইওয়ে ও ইন্ডাস্ট্রিয়াল পুলিশও আছে। শ্রমিকরা রাস্তা থেকে সরে গেছেন। যানচলাচল স্বাভাবিক হয়েছে।

ঢাকা/অনিক/রফিক

সম্পর্কিত নিবন্ধ