হাসনাত আবদুল্লাহকে নিয়ে উসকানিমূলক মন্তব্য, যুবক গ্রেপ্তার
Published: 8th, July 2025 GMT
সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) দক্ষিণাঞ্চলের মুখ্য সংগঠক হাসনাত আবদুল্লাহকে নিয়ে উসকানিমূলক মন্তব্য করায় খোরশেদ আলম নামের এক যুবককে গ্রেপ্তার করেছে গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি)।
গত রোববার রাতে নাটোরের বড়াইগ্রাম উপজেলার আগ্রান গ্রামের নিজ বাড়ি থেকে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়।
খোরশেদ ওই গ্রামের আব্দুল কুদ্দুসের ছেলে। মঙ্গলবার তাকে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।
বড়াইগ্রাম থানার ওসি গোলাম সারওয়ার জানান, ‘দেশ গড়তে জুলাই পদযাত্রা’ কর্মসূচি পালনে রোববার নাটোরে আসেন জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) নেতাকর্মীরা। এদিন একটি ফেসবুক পেজে ওই কর্মসূচির প্রচারমূলক একটি লেখা পোস্ট করা হয়। পোস্টটির নিচে ‘এসকে শারমিন খোরশেদ আলম’ নামের একটি আইডি থেকে মন্তব্য করা হয়– ‘একটু আগে এক জাগাত (জায়গায়) হাসনাত মার খাইছে এলাকাবাসীর, আসুক বনপাড়া, দেখি আমরা কি করতে পারি।’ পরে বিষয়টি ডিবি পুলিশকে জানায় স্থানীয় এনসিপি।’
তিনি বলেন, ডিবি পুলিশ খোঁজ নিয়ে জানতে পারে- ‘এসকে শারমিন খোরশেদ আলম’ আইডিটি খোরশেদ আলমের। পরে রোববার রাতে অভিযান চালিয়ে তাকে আটক করে বড়াইগ্রাম থানায় হস্তান্তর করা হয়।’
ওসি আরও জানান, বড়াইগ্রাম থানায় খোরশেদের বিরুদ্ধে দাঙ্গা করার উদ্দেশ্যে ইচ্ছাকৃতভাবে উসকানি দেওয়ার মামলা হয়েছে। মঙ্গলবার তাকে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।
.উৎস: Samakal
কীওয়ার্ড: জ ত য় ন গর ক প র ট এনস প
এছাড়াও পড়ুন:
ছুটি না পেয়ে অসুস্থ শ্রমিকের মৃত্যু, মহাসড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ
নারায়ণগঞ্জের বন্দরের মদনপুর এলাকায় লারিজ ফ্যাশনের পোশাক কারখানায় অসুস্থ হয়ে রিনা আক্তার (৩২) নামের এক শ্রমিকের মৃত্যুর প্রতিবাদে বিক্ষোভ করেছেন শ্রমিকরা।
সোমবার (৩ নভেম্বর) সকালে তারা মদনপুরে ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়ক অবরোধ করেন। খবর পেয়ে থানা পুলিশের সঙ্গে হাইওয়ে ও ইন্ডাস্ট্রিয়াল পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।
প্রত্যক্ষদর্শী ও শ্রমিকরা জানিয়েছেন, রিনা আক্তার অসুস্থ অবস্থায় কারখানায় কাজ করছিলেন। রোববার তিনি বেশি অসুস্থতা অনুভব করলে ছুটি চেয়ে আবেদন করেন। তবে, কর্তৃপক্ষ ওই শ্রমিকের আবেদনে সাড়া না দিয়ে কাজ করতে বাধ্য করেন। ওই নারী গুরুতর অসুস্থ হয়ে ফ্লোরে লুটিয়ে পড়লে তাৎক্ষণিকভাবে সহকর্মীরা স্থানীয় একটি হাসপাতালে নিয়ে যান। সেখানে তার শারীরিক অবস্থার আরো অবনতি ঘটলে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হয়। সেখানে চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
অবরোধকারী শ্রমিকদের অভিযোগ, তাদের সহকর্মীর মৃত্যুর জন্য মালিকপক্ষ দায়ী। রিনা অসুস্থ হওয়া সত্ত্বেও তাকে ছুটি দেওয়া হয়নি। চিকিৎসার অভাবে মারা গেছেন তিনি।
লারিজ ফ্যাশনের মালিকপক্ষ ও কর্মকর্তাদেরকে গ্রেপ্তার করার দাবি জানিয়েছেন শ্রমিকরা।
এ বিষয়ে জানতে যোগাযোগ করা হলে লারিজ ফ্যাশন কোম্পানির প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা (সিইও) শিমুল বলেছেন, আমাদের একজন শ্রমিক অসুস্থ হয়ে পড়লে তাৎক্ষণিকভাবে তাকে স্থানীয় একটি হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানে তার শারীরিক অবস্থার অবনতি ঘটলে ঢাকা মেডিকেল কলেজে হাসপাতালে নিয়ে গেলে সেখানে মৃত্যু হয়। এতে আমাদের কোনো গাফিলতি নেই। আমরা আমাদের সর্বাত্মক চেষ্টা করেছি।
কাঁচপুর হাইওয়ে থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আব্দুল কাদের জিলানী বলেছেন, সহকর্মীর মৃত্যুর জন্য গার্মেন্টস মালিকপক্ষ দায়ী, এমন অভিযোগ করে শ্রমিকরা আন্দোলনে নেমেছেন। আমরা তাদের সঙ্গে কথা বলার চেষ্টা করছি। ঘটনাস্থলে থানা পুলিশের সঙ্গে হাইওয়ে ও ইন্ডাস্ট্রিয়াল পুলিশও আছে। শ্রমিকরা রাস্তা থেকে সরে গেছেন। যানচলাচল স্বাভাবিক হয়েছে।
ঢাকা/অনিক/রফিক