নেপাল-চীন সীমান্তের ভোতে কোশি নদীতে ব্যাপক বন্যায় গত ২৪ ঘণ্টায় নেপাল সীমান্ত এলাকা থেকে ৮ জনের মৃতদেহ উদ্ধার করা হয়েছে এবং এখনও নিখোঁজ আছেন অন্তত ৩১ জন।

এই ৩১ জনের মধ্যে ২০ জন নেপালি ও ১১ জন চীনা নাগরিক আছেন বলে এক প্রতিবেদনে জানিয়েছে রয়টার্স।

ভোতে কোশি এবং তার আশপাশের এলাকা গত ২৪ ঘণ্টায় ভারী বর্ষণের কোনো ঘটনা ঘটেনি। দুই দেশের আবহাওয়া দপ্তরের কর্মকর্তারা জানিয়েছেন তিব্বতে ব্যাপক বৃষ্টি হয়েছে এবং এতে সেখানে হিমবাহ থেকে সৃষ্ট একটি হ্রদের পানি বেড়ে যাওয়া এই বন্যা দেখা দিয়েছে।

ভোতে কোশি নদীর ওপর একটি সেতু ছিল। ‘ফ্রেন্ডশিপ ব্রিজ’ নামের সেতুটি ছিল দুই দেশের মধ্যে নাগরিকদের চলাচল এবং বাণিজ্যের গুরুত্বপূর্ণ একটি রুট। গতকাল বন্যার পানির স্রোতে সেতুটি ভেসে গেছে।

নেপালের চীন সীমান্তবর্তী জেলা রাসুয়া’র জ্যেষ্ঠ প্রশাসনিক কর্মকর্তা অর্জুন পাওদেল জানিয়েছে, “বন্যায় ইতোমধ্যে প্রচুর ক্ষয়ক্ষতি হয়ে গেছে। আমরা উদ্ধার তৎপরতা চালিয়ে যাচ্ছি এবং ক্ষয়ক্ষতির তথ্য সংগ্রহ করছি।”

বন্যায় প্লাবিত এলাকায় উদ্ধার তৎপরতার জন্য দুর্যোগ মোকাবিলা বিভাগ, পুলিশ ও সেনাবাহিনীর সমন্বয়ে একটি যৌথ টিম করেছে কাঠমান্ডু। সেনাবাহিনীর মুখপাত্র রাজা রাম বাসনেত জানান, গত ২৪ ঘণ্টায় আটজনের মৃতদেহ এবং ৫৭ জনকে জীবিত অবস্থায় উদ্ধার করা হয়েছে।

নেপালে যে ২০ জন নিখোঁজ হয়েছেন, তাদের মধ্যে ৬ জন চীনা নাগরিকও আছেন। নেপালে ভোতে কোশি নদীর কাছাকাছি একটি কন্টেইনার ডিপো তৈরি করেছে চীন। সেই ডিপোতে কাজ করতেন এই চীনারা। বন্যায় ডিপোতে থাকা কয়েকটি কন্টেইনারও ভেসে গেছে।

.

উৎস: Samakal

কীওয়ার্ড: বন য য় ম ত য বন য য় জন র ম

এছাড়াও পড়ুন:

পটিয়ায় ব্যবসায়ীকে অপহরণ, দুই ঘণ্টা পর উদ্ধার

চট্টগ্রামের পটিয়া পৌর সদরের মুন্সেফ বাজার এলাকার একটি দোকান থেকে নুরুল আবছার (২৭) নামের এক ব্যবসায়ীকে অস্ত্রের মুখে তুলে নিয়ে যায় একদল মুখোশধারী ব্যক্তি। আজ বুধবার সকাল সাতটায় তাঁকে তুলে নিয়ে যাওয়া হয়। পরে পুলিশের তৎপরতায় সকাল সাড়ে ৯টায় তিনি ছাড়া পান।

উদ্ধারের পর পটিয়া থানা প্রাঙ্গণে অপহরণের শিকার নুরুল আবছার প্রথম আলোকে বলেন, তিনি ব্যাংকে চাকরি করতেন। সম্প্রতি তাঁর চাকরি চলে যায়। এরপর পটিয়া পৌর সদরের মুন্সেফ বাজার এলাকার সাহিত্য বিশারদ সড়কে মুরগির দোকান দেন। প্রতিদিনের মতো আজ সকালে দোকান খোলেন তিনি। এ সময় তিন থেকে চারজন মুখোশধারী লোক ধারালো অস্ত্রের মুখে তাঁকে ধরে অটোরিকশায় উঠিয়ে নিয়ে যায়। তারা তাঁর পকেটে থাকা ৪০ হাজার টাকা নিয়ে নেয়। পরে আরও ৪ লাখ টাকা দাবি করে, পরে ১৭ লাখ এনে দিতে বলেন। তাঁকে চন্দ্র কালারপোল নামের নির্জন এলাকায় নিয়ে অপহরণকারীরা তাঁকে মারধরের পাশাপাশি ছুরিকাঘাতও করেন।

পটিয়া থানার পুলিশের উপপরিদর্শক (এসআই) প্রদীপ চন্দ্র দে প্রথম আলোকে বলেন, ঘটনার খবর পেয়ে পুলিশ দ্রুত তাঁকে উদ্ধারের তৎপরতায় নামে। পরে চন্দ্র কালারপোল এলাকায় পুলিশ গেলে উপস্থিতি টের পেয়ে অপহরণকারীরা পালিয়ে যায়।

পটিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো. নুরুজ্জামান জানান, ব্যবসায়ীকে অপহরণ করার খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠানো হয়েছে। পরে তাঁকে উদ্ধার করা হয়েছে। এ ব্যাপারে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে।

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • পটিয়ায় ব্যবসায়ীকে অপহরণ, দুই ঘণ্টা পর উদ্ধার
  • পুলিশের তৎপরতায় দুটি মোটরসাইকেল উদ্ধার, গ্রেপ্তার ৪
  • ফতুল্লার ৫ ইউনিয়নে স্বেচ্ছাসেবক দলের নতুন কমিটি গঠনে তৎপরতা