রাজধানীর সূত্রাপুরের কাগজীটোলার একটি বাসায় জমে থাকা গ্যাসের বিস্ফোরণে বাবা-মা ও তিন সন্তানসহ একই পরিবারের পাঁচ জন দগ্ধ হয়েছেন।

বৃহস্পতিবার (১০ জুলাই) রাত ২টার দিকে সূত্রাপুরের কাগজীটোলার পাঁচতলা ভবনের নিচ তলায় এ বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটে। 

পরে দগ্ধ অবস্থায় প্রতিবেশীরা তাদেরকে উদ্ধার করে জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে ভর্তি করে।

দগ্ধরা হলেন- রিপন (৩৫) ৬০ শতাংশ দগ্ধ, চাঁদনী (২৮) ৪৫ শতাংশ দগ্ধ, তামিম (২২) ৪২ শতাংশ দগ্ধ, রোকন (১৪) ৬০ শতাংশ দগ্ধ, ও আয়েশা (১) ৬৩ শতাংশ দগ্ধ। তাদের সবাইকে বার্ন ইনস্টিটিউটের অবজারভেশনে রেখে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে।

দগ্ধদের উদ্ধার করে নিয়ে আসা প্রতিবেশী সুলতান মিয়া বলেন, “আমরা রাতে হঠাৎ বিস্ফোরণের শব্দ পাই। এরপর চেঁচামেচি কান্নাকাটি শুনতে পেয়ে কয়েকজন প্রতিবেশী মিলে তাদেরকে উদ্ধার করে জাতীয় বার্ন ইনস্টিটিউটে নিয়ে আসি। তবে কীভাবে এ বিস্ফোরণ ঘটে সেটা আমাদের জানা নাই।”

জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটের আবাসিক চিকিৎসক ডাক্তার শাওন বিন রহমান জানান, সূত্রাপুর থেকে জমে থাকা গ্যাস বিস্ফোরণে দগ্ধ হয়ে দুই শিশুসহ পাঁচ জন বার্ন ইনস্টিটিউটে এসেছেন। তাদের সবার অবস্থা আশঙ্কাজনক।

ঢাকা/বুলবুল/এস

.

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর

এছাড়াও পড়ুন:

ছুটি না পেয়ে অসুস্থ শ্রমিকের মৃত্যু, মহাসড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ 

নারায়ণগঞ্জের বন্দরের মদনপুর এলাকায় লারিজ ফ্যাশনের পোশাক কারখানায় অসুস্থ হয়ে রিনা আক্তার (৩২) নামের এক শ্রমিকের মৃত্যুর প্রতিবাদে বিক্ষোভ করেছেন শ্রমিকরা। 

সোমবার (৩ নভেম্বর) সকালে তারা মদনপুরে ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়ক অবরোধ করেন। খবর পেয়ে থানা পুলিশের সঙ্গে হাইওয়ে ও ইন্ডাস্ট্রিয়াল পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। 

প্রত্যক্ষদর্শী ও শ্রমিকরা জানিয়েছেন, রিনা আক্তার অসুস্থ অবস্থায় কারখানায় কাজ করছিলেন। রোববার তিনি বেশি অসুস্থতা অনুভব করলে ছুটি চেয়ে আবেদন করেন। তবে, কর্তৃপক্ষ ওই শ্রমিকের আবেদনে সাড়া না দিয়ে কাজ করতে বাধ্য করেন। ওই নারী গুরুতর অসুস্থ হয়ে ফ্লোরে লুটিয়ে পড়লে তাৎক্ষণিকভাবে সহকর্মীরা স্থানীয় একটি হাসপাতালে নিয়ে যান। সেখানে তার শারীরিক অবস্থার আরো অবনতি ঘটলে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হয়। সেখানে চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।

অবরোধকারী শ্রমিকদের অভিযোগ, তাদের সহকর্মীর মৃত্যুর জন্য মালিকপক্ষ দায়ী। রিনা অসুস্থ হওয়া সত্ত্বেও তাকে ছুটি দেওয়া হয়নি। চিকিৎসার অভাবে মারা গেছেন তিনি। 

লারিজ ফ্যাশনের মালিকপক্ষ ও কর্মকর্তাদেরকে গ্রেপ্তার করার দাবি জানিয়েছেন শ্রমিকরা।

এ বিষয়ে জানতে যোগাযোগ করা হলে লারিজ ফ্যাশন কোম্পানির প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা (সিইও) শিমুল বলেছেন, আমাদের একজন শ্রমিক অসুস্থ হয়ে পড়লে তাৎক্ষণিকভাবে তাকে স্থানীয় একটি হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানে তার শারীরিক অবস্থার অবনতি ঘটলে ঢাকা মেডিকেল কলেজে হাসপাতালে নিয়ে গেলে সেখানে মৃত্যু হয়। এতে আমাদের কোনো গাফিলতি নেই। আমরা আমাদের সর্বাত্মক চেষ্টা করেছি।

কাঁচপুর হাইওয়ে থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আব্দুল কাদের জিলানী বলেছেন, সহকর্মীর মৃত্যুর জন্য গার্মেন্টস মালিকপক্ষ দায়ী, এমন অভিযোগ করে শ্রমিকরা আন্দোলনে নেমেছেন। আমরা তাদের সঙ্গে কথা বলার চেষ্টা করছি। ঘটনাস্থলে থানা পুলিশের সঙ্গে হাইওয়ে ও ইন্ডাস্ট্রিয়াল পুলিশও আছে। শ্রমিকরা রাস্তা থেকে সরে গেছেন। যানচলাচল স্বাভাবিক হয়েছে।

ঢাকা/অনিক/রফিক

সম্পর্কিত নিবন্ধ