ভারতের দক্ষিণী সিনেমার ‘লেডি সুপারস্টার’ নয়নতারা। ৩ বছর আগে পরিচালক বিগনেশ শিবানকে বিয়ে করেন এই অভিনেত্রী। দাম্পত্য জীবনের চতুর্থ বর্ষে পা দিয়েছেন এই যুগল। এরই মাঝে গুঞ্জন চাউর হয়েছে, ভেঙে যাচ্ছে নয়নতারা-বিগনেশের সংসার।
গত কয়েক দিন ধরে নয়নতারা-বিগনেশের বিবাহবিচ্ছেদের চর্চা চলছে সোশ্যাল মিডিয়ায়। এ অভিনেত্রী তার ইনস্টাগ্রাম স্টোরিতে বেশ কিছু পোস্ট দিয়েছেন, সেসবকে কেন্দ্র করে বিচ্ছেদের গুঞ্জনের সূচনা। নয়নতারার আবেগপ্রবণ এসব বার্তা নিজের বিচ্ছেদের গুঞ্জনের আগুনে ঘি হিসেবে কাজ করছে।
একটি পোস্টে নয়নতারা লেখেন, “বোকাকে বিয়ে করা ভুল।” অন্য পোস্টে নয়নতারা লেখেন, “পুরুষেরা কখনো পরিণত হয় না।” আরেকটি পোস্টে নয়নতারা লেখেন, “আমাকে একা থাকতে দাও, আমি ক্লান্ত।” নয়নতারার এসব বার্তা দ্রুত নেটিজেনদের নজর কাড়ে। কেবল তাই নয়, দুইয়ে দুইয়ে চার মেলাতেও ভুল করেন না তারা। ভক্ত-অনুরাগীরা বিশ্বাস করতে শুরু করেন—“ ভেঙে যাচ্ছে তাদের প্রিয় তারকার সংসার।”
আরো পড়ুন:
প্রথম প্রেম এখনো বয়ে বেড়ান আনুশকা
১১৩৫ কোটি টাকা বাজেটের সিনেমায় আল্লুর বিপরীতে রাশমিকা!
নয়নতারা-বিগনেশের সংসার ভাঙা নিয়ে জোর চর্চা এখনো সোশ্যাল মিডিয়ায় চলছে। কিন্তু এ দম্পতির কেউই পরিষ্কারভাবে কোনো কিছু বলেননি। তবে নয়নতারা তার ইনস্টাগ্রাম স্টোরিতে একটি ছবি দিয়েছেন। তাতে দেখা যায়, সবুজ ঘাসের ওপরে চাদর বিছিয়ে শুয়ে আছেন বিগনেশ। তার পিঠের ওপরে বসে আছেন নয়নতারা। তারা দুজনেই গভীর ভাবনায় মগ্ন।
এ ছবিতে নয়নতারা লেখেন—“আমরা যখন আমাদের নিয়ে পাগলাটে নিউজ দেখি, তখন আমাদের প্রতিক্রিয়া।” নেটিজেনরা এটিকে ইঙ্গিতপূর্ণ পোস্ট বলছেন। তাদের ভাষ্য—“নয়নতারা এই বক্তব্যের মাধ্যমে বিবাহবিচ্ছেদের গুঞ্জন উড়ালেন।”
২০০৮ সালে অভিনেতা, পরিচালক, কোরিওগ্রাফার প্রভু দেবার সঙ্গে প্রেমের সম্পর্কে জড়িয়েছিলেন নয়নতারা। ২০১০ সালে প্রভু দেবার স্ত্রী লতা এ বিষয়ে পারিবারিক আদালতে পিটিশন দায়ের করেন। একই বছর স্ত্রী লতার সঙ্গে প্রভু দেবার বিচ্ছেদ হয়। ২০১২ সালে নয়নতারা জানান, প্রভুদেবার সঙ্গে তিনি আর সম্পর্কে নেই।
২০১৫ সালে ‘নানুম রাউডি ধান’ সিনেমার শুটিং সেটে বিগনেশ শিবানের সঙ্গে প্রেমের সম্পর্কে জড়ান নয়নতারা। ৭ বছর চুটিয়ে প্রেম করার পর ২০২২ সালের ৯ জুন আনুষ্ঠানিকভাবে ঘর বাঁধেন এই দম্পতি। একই বছর সারোগেসির মাধ্যমে জমজ পুত্র সন্তানের বাবা-মা হন তারা।
২০০৩ সালে মালায়ালাম ভাষার ‘মনসিনাক্কা’ সিনেমার মাধ্যমে রুপালি জগতে অভিষেক ঘটে নয়নতারার। এরপর অসংখ্য দর্শকপ্রিয় সিনেমা উপহার দেন তিনি। বর্তমানে বিভিন্ন ভাষার ৯টি সিনেমার কাজ নয়নতারার হাতে রয়েছে। এর মধ্যে তামিল ও মালায়ালাম ভাষার দুটো সিনেমার শুটিং শেষ করেছেন। বাকি ৭টি সিনেমার দৃশ্যধারণের কাজ চলছে।
ঢাকা/শান্ত
.উৎস: Risingbd
কীওয়ার্ড: চ কর চ কর নয়নত র র গ ঞ জন
এছাড়াও পড়ুন:
ছুটি না পেয়ে অসুস্থ শ্রমিকের মৃত্যু, মহাসড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ
নারায়ণগঞ্জের বন্দরের মদনপুর এলাকায় লারিজ ফ্যাশনের পোশাক কারখানায় অসুস্থ হয়ে রিনা আক্তার (৩২) নামের এক শ্রমিকের মৃত্যুর প্রতিবাদে বিক্ষোভ করেছেন শ্রমিকরা।
সোমবার (৩ নভেম্বর) সকালে তারা মদনপুরে ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়ক অবরোধ করেন। খবর পেয়ে থানা পুলিশের সঙ্গে হাইওয়ে ও ইন্ডাস্ট্রিয়াল পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।
প্রত্যক্ষদর্শী ও শ্রমিকরা জানিয়েছেন, রিনা আক্তার অসুস্থ অবস্থায় কারখানায় কাজ করছিলেন। রোববার তিনি বেশি অসুস্থতা অনুভব করলে ছুটি চেয়ে আবেদন করেন। তবে, কর্তৃপক্ষ ওই শ্রমিকের আবেদনে সাড়া না দিয়ে কাজ করতে বাধ্য করেন। ওই নারী গুরুতর অসুস্থ হয়ে ফ্লোরে লুটিয়ে পড়লে তাৎক্ষণিকভাবে সহকর্মীরা স্থানীয় একটি হাসপাতালে নিয়ে যান। সেখানে তার শারীরিক অবস্থার আরো অবনতি ঘটলে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হয়। সেখানে চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
অবরোধকারী শ্রমিকদের অভিযোগ, তাদের সহকর্মীর মৃত্যুর জন্য মালিকপক্ষ দায়ী। রিনা অসুস্থ হওয়া সত্ত্বেও তাকে ছুটি দেওয়া হয়নি। চিকিৎসার অভাবে মারা গেছেন তিনি।
লারিজ ফ্যাশনের মালিকপক্ষ ও কর্মকর্তাদেরকে গ্রেপ্তার করার দাবি জানিয়েছেন শ্রমিকরা।
এ বিষয়ে জানতে যোগাযোগ করা হলে লারিজ ফ্যাশন কোম্পানির প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা (সিইও) শিমুল বলেছেন, আমাদের একজন শ্রমিক অসুস্থ হয়ে পড়লে তাৎক্ষণিকভাবে তাকে স্থানীয় একটি হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানে তার শারীরিক অবস্থার অবনতি ঘটলে ঢাকা মেডিকেল কলেজে হাসপাতালে নিয়ে গেলে সেখানে মৃত্যু হয়। এতে আমাদের কোনো গাফিলতি নেই। আমরা আমাদের সর্বাত্মক চেষ্টা করেছি।
কাঁচপুর হাইওয়ে থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আব্দুল কাদের জিলানী বলেছেন, সহকর্মীর মৃত্যুর জন্য গার্মেন্টস মালিকপক্ষ দায়ী, এমন অভিযোগ করে শ্রমিকরা আন্দোলনে নেমেছেন। আমরা তাদের সঙ্গে কথা বলার চেষ্টা করছি। ঘটনাস্থলে থানা পুলিশের সঙ্গে হাইওয়ে ও ইন্ডাস্ট্রিয়াল পুলিশও আছে। শ্রমিকরা রাস্তা থেকে সরে গেছেন। যানচলাচল স্বাভাবিক হয়েছে।
ঢাকা/অনিক/রফিক