ঠাকুরগাঁওয়ের হরিপুর উপজেলায় ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনীর (বিএসএফ) গুলিতে মো. আসকর আলী (রাসেল) নামের এক বাংলাদেশি যুবক নিহত হয়েছেন। শনিবার ভোর ৪টার দিকে হরিপুর ইউনিয়নের মিনাপুর সীমান্ত এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।

২৪ বছর বয়সী আসকর আলী হরিপুর ইউনিয়নের জীবনপুর এলাকার মো. কানু আলীর ছেলে। এ ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন হরিপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ জাকারিয়া মন্ডল।

স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, ভোরে হরিপুর ইউনিয়নের মিনাপুর বিওপির আওতাধীন মেইন পিলার ৩৫৩/ থেকে ১০০ গজ ভারতের ভেতরে তারকাটার কাছে যান আসকর আলী। তখন তাকে লক্ষ্য করে বিএসএফের সদস্যরা গুলি ছোড়ে। গুলির আওয়াজ শুনে স্থানীয় লোকজন গিয়ে দেখেন তার মরদেহ কাটাতারে পড়ে আছে।

এ ব্যাপারে হরিপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ জাকারিয়া মন্ডল বলেন, বিএসএফের গুলিতে সীমান্তে বাংলাদেশি নাগরিক নিহত হওয়ার খবর পাওয়া গেছে। ঘটনাস্থলে যাওয়ার পর এ ব্যাপারে বিস্তারিত জানা যাবে।

এ বিষয়ে দিনাজপুর ৪২ বিজিবি অধিনায়ক লে.

কর্নেল আব্দুল্লাহ আল মঈন হুসেন জানান, হত্যার বিষয়টি বিভিন্ন মাধ্যমে জানতে পেরেছি। বিএসএফের সঙ্গে যোগাযোগ চলছে। পতাকা বৈঠকে বিস্তারিত জানা যাবে।

এ ঘটনায় ভারতের অভ্যন্তরে অতিরিক্ত ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনী (বিএসএফ) ও বাংলাদেশের অভ্যন্তরে অতিরিক্ত বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি) মোতায়ন করা হয়েছে বলে জানা গেছে।
 

উৎস: Samakal

কীওয়ার্ড: ব এসএফ স ম ন ত হত য ব এসএফ র

এছাড়াও পড়ুন:

নেত্রকোনা সীমান্ত দিয়ে ফের ২১ জনকে পুশইন করল বিএসএফ

নেত্রকোনার দুর্গাপুর উপজেলার সীমান্ত দিয়ে ২১ জনকে বাংলাদেশে ঠেলে পাঠিয়েছে ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনী (বিএসএফ)। তাদের মধ্যে ১৯ জন তৃতীয় লিঙ্গ ও দুইজন পুরুষ রয়েছেন। আজ বৃহস্পতিবার ভোরে দুর্গাপুরের বিজয়পুর সীমান্ত দিয়ে তাদেরকে পুশইন করা হয় বলে জানিয়েছেন নেত্রকোনা ৩১ বিজিবির বিজয়পুর ক্যাম্প কমান্ডার মো. শহীদুল ইসলাম।

তিনি আরও বলেন, আজ ভোরে বিজয়পুর বিওপির ১১৪৮/৪ এস থেকে প্রায় ১০০ গজ বাংলাদেশের অভ্যন্তরে আড়াপাড়া এলাকা দিয়ে তাদেরকে পুশইন করানো হয়। পরে তাদের আটক করে বিজিবি। আটককৃদের বাড়ি ঢাকা, চট্রাগ্রাম, রাজবাড়ী, পটুয়াখালী, মৌলভীবাজার, জামালপুর, ব্রাহ্মণবাড়িয়া ও টাঙ্গাইলের বিভিন্ন এলাকায়।

ক্যাম্প কমান্ডার বলেন, জিজ্ঞাসাবাদে তাদের পরিচয় নিশ্চিত করা হয়েছে। আটককৃতরা ভারতের দিল্লিতে কাজের জন্যে যান। তাদেরকে দিল্লির বিভিন্ন এলাকা থেকে একত্রিত করে গতকাল বুধবার নাজিরাবাদ বিমানবন্দর দিয়ে উড়োজাহাজে করে আসামে আনা হয়। পরে তাদেরকে আজ বৃহস্পতিবার ভোরে বিজয়পুর সীমান্ত দিয়ে বাংলাদেশের অভ্যন্তরে ঠেলে পাঠায় বিএসএফ। এর আগে গত ৩ জুন ওই সীমান্ত দিয়ে ৩২ জনকে ঠেলে পাঠিয়েছিল বিএসএফ। 

নেত্রকোনার ৩১ বিজিবির ক্যাম্প কমান্ডার মো. শহীদুল ইসলাম বলেন, হাবিলদার আবদুল করিমের  নেতৃত্বে একটি দল, সীমান্তে টহল দেওয়ার সময় বিএসএফের পুশইন করা ওই ২১ জনকে আড়াপাড়া এলাকা থেকে আটক করে। আমাদের অফিসিয়াল প্রক্রিয়া শেষে তাদের দুর্গাপুর থানায় হস্তান্তর করা হবে।

নেত্রকোনা ৩১ বিজিবি’র অধিনায়ক লেফটেনেন্ট কর্নেল এস এম কামরুজ্জামান বলেন, বুধবার রাতে বিএসএফ ২১ জনকে পুশইন করেছে। তাদের পরিচয় শনাক্ত করা হয়েছে। তারা গত ৬ মাস থেকে ১২ বছর আগে দেশের বিভিন্ন জেলা থেকে ভারতে গিয়েছিলেন। বৈধ প্রক্রিয়া না করে বিএসএফ তাদের পুশইন করেছে। তাদেরকে বিজয়পুর ক্যাম্পে রাখা হয়েছে। পুলিশের কাছে হস্তান্তরের প্রক্রিয়া চলছে।

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • দুই সীমান্তে বিএসএফের গুলিতে দুই বাংলাদেশি নিহত
  • পুশইন নিয়ে নতজানু পররাষ্ট্রনীতি দেখতে চায় না জনগণ
  • সীমান্তে বিএসএফের গুলিতে ২ বাংলাদেশি নিহত
  • সুনামগঞ্জে বিএসএফের গু‌লিতে এক বাংলাদেশি নিহত
  • পানিহাটা সীমান্ত দিয়ে আরও ১০ জনকে ঠেলে পাঠাল বিএসএফ
  • শেরপুরে ১০ জনকে ঠেলে দিল বিএসএফ
  • শেরপুর সীমান্ত দিয়ে ১০ বাংলাদেশিকে ঠেলে পাঠাল বিএসএফ
  • তিন সীমান্ত দিয়ে ৩৮ জনকে ঠেলে পাঠাল বিএসএফ
  • নেত্রকোনা সীমান্ত দিয়ে ফের ২১ জনকে পুশইন করল বিএসএফ