জাতীয় হৃদরোগ ইনস্টিটিউট ও হাসপাতালে এখন থেকে রাত ৮টা পর্যন্ত মিলবে প্রাইমারি পিসিআই বা  হার্টের রিং পারানোর সুযোগ। আজ শনিবার জাতীয় হৃদরোগ ইনস্টিটিউট ও হাসপাতাল থেকে পাঠানো এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে। 

এতে বলা হয়েছে, হৃদরোগ ইনস্টিটিউট ও হাসপাতালে প্রাইমারি পিসিআই কার্যক্রমে নতুন মাত্রা যোগ হয়েছে। এতদিন ক্যাথল্যাব-২-এ সকাল ৮টা থেকে দুপুর আড়াইটা পর্যন্ত এই সেবা প্রদান করা হতো। এখন থেকে ক্যাথল্যাব-৬-এ সকাল ৮টা থেকে রাত ৮টা পর্যন্ত গুরুতর রোগীর হার্টের রিং পারানোর সুযোগ পাচ্ছে।

আজ ইউনিট-৫ সফলভাবে দুটি প্রাইমারি পিসিআই করা হয়। এ উন্নততর চিকিৎসাসেবার অংশ হিসেবে একটি ভেন্টিলেটর মেশিন আইসিইউ থেকে এনে প্রস্তুত রাখা হয়। এই উদ্যোগে আরও বেশি হৃদরোগীকে জরুরি সেবা দেওয়া সম্ভব হবে এবং হাসপাতালের জরুরি সেবার সক্ষমতা বহুগুণে বৃদ্ধি পাবে।

.

উৎস: Samakal

কীওয়ার্ড: হ দর গ

এছাড়াও পড়ুন:

ঠাকুরগাঁওয়ে মির্জা ফখরুলের ভাইয়ের ওপর হামলা, গাড়ি ভাঙচুর

ঠাকুরগাঁওয়ের বালিয়াডাঙ্গী উপজেলা বিএনপির দ্বিবার্ষিক সম্মেলনের ফলাফল ঘোষণাকে কেন্দ্র করে মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের ভাই মির্জা ফয়সল আমিনের ওপর হামলা হয়েছে। এসময় তার গাড়ি ভাঙচুর করা হয়। মির্জা ফয়সল আমিন জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক। 

শনিবার রাত পৌনে ৯টায় বালিয়াডাঙ্গী সমির উদ্দিন স্মৃতি মহাবিদ্যালয় মাঠে এ ঘটনা ঘটে।

হামলাকারীরা ফয়সল আমিনকে লক্ষ্য করে চেয়ার ও বাঁশ নিক্ষেপ করে এবং তাঁর ব্যবহৃত গাড়িটি ভাঙচুর করে। এ ঘটনায় জেলা বিএনপির বেশ কয়েকজন নেতাকর্মী আহত হয়েছেন।

প্রত্যক্ষদর্শী ও দলীয় সূত্রে জানা যায়, প্রায় আট বছর পরে গতকাল বালিয়াডাঙ্গী উপজেলা বিএনপির সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়। দিনভর ভোট গ্রহণ শেষে ফলাফল ঘোষণা নিয়ে শুরু হয় উত্তেজনা। ফলাফল ঘোষণার দাবিতে স্থানীয় নেতাকর্মীরা ফয়সল আমিনসহ জেলার অন্য নেতাদের দুই ঘণ্টা অবরুদ্ধ করে রাখেন। ফলাফল ঘোষণা না করা পর্যন্ত কাউকে স্থান ত্যাগ করতে দেবেন না বলে স্লোগান দিতে থাকেন। অবরুদ্ধ থাকার পর রাত পৌনে ৯টার দিকে ফয়সল আমিন ফলাফল ঘোষণা করেন। পরে তিনি গাড়িতে উঠতে গেলে ঘটে বিপত্তি। বিক্ষুব্ধ নেতাকর্মীরা তাঁর ওপর চড়াও হয়।

ভিডিও ফুটেজে দেখা যায়, তাঁকে লক্ষ্য করে চেয়ার ছুড়ে মারা হচ্ছে। তিনি দ্রুত গাড়িতে ঢোকার চেষ্টা করেন। হামলাকারীরা তাঁর গাড়িতে হামলা চালায়। ভাঙচুর করে। সঙ্গে থাকা অন্য নেতাকর্মীরা তাঁকে রক্ষার চেষ্টা করেন। এই হট্টগোলে বেশ কয়েকজন নেতাকর্মী আহত হন।

গাড়ির মালিক ও তাঁর সফরসঙ্গী মো. রাশেদ বলেন, ‘আমার গাড়িটি ভাঙচুর করা হয়েছে।’

এ ঘটনায় তাৎক্ষণিকভাবে ঘটনাস্থলে পুলিশ ও উপজেলা প্রশাসনের কর্মকর্তারা উপস্থিত হন। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনার চেষ্টা করলেও ততক্ষণে হামলাকারীরা পালিয়ে যায়।

এ বিষয়ে বালিয়াডাঙ্গী থানার ওসি মো. শওকত আলী সরকার বলেন, আমরা তদন্ত শুরু করেছি।
বালিয়াডাঙ্গী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) পলাশ কুমার দেবনাথ বলেন, আমরা হামলাকারীদের চিহ্নিত করার চেষ্টা চালাচ্ছি।

সম্পর্কিত নিবন্ধ