অপ্রত্যাশিত বললেও বাড়াবাড়ি হবে না। মুক্তির মাত্র চার দিনেই ১০৫ কোটি রুপির বেশি আয় করে ফেলেছে মোহিত সুরি পরিচালিত রোমান্টিক ছবি ‘সাইয়ারা’। যশ রাজ ফিল্মস প্রযোজিত ছবিটি ভারতের পাশাপাশি আন্তর্জাতিক বাজারেও চমক দেখাচ্ছে। অথচ ছবিটির প্রচারে খুব একটা খরচ হয়নি।
১৮ জুলাই মুক্তি পায় ‘সাইয়ারা’। মুক্তির আগেই ছবির ট্রেলার ও গান দর্শকের আগ্রহ বাড়িয়ে দিয়েছিল। তবে বক্স অফিসে ছবিটি এমন দুর্দান্ত শুরু করবে, সেটা অনেকেই ভাবেননি।
প্রথম দিন ছবির আয় ছিল ২১ কোটি ৫ লাখ রুপি। দ্বিতীয় দিন ২৬ কোটি ২৫ লাখ, তৃতীয় দিনে ৩৫ কোটি ৭৫ লাখ রুপি। চতুর্থ দিনে অর্থাৎ সোমবার ছবিটির আয় দাঁড়ায় ২২ কোটি ৫০ লাখ রুপি, যা ওপেনিং ডের চেয়েও বেশি। সব মিলিয়ে চার দিনে ‘সাইয়ারা’র আয় দাঁড়িয়েছে ১০৫ কোটি ৭৬ লাখ রুপি।
৪৫ কোটি বাজেটের এ ছবিটি চার দিনেই সারা বিশ্বে প্রায় ১৪৫ কোটি টাকার ব্যবসা করে ফেলেছে। খরচ কম হওয়ায় প্রযোজকেরা ইতিমধ্যে লাভের মুখ দেখতে শুরু করেছেন।
নবাগত আহান পান্ডে ও অনীত পড্ডা অভিনীত ‘সাইয়ারা’ জুটি দর্শকের মনে দাগ কেটেছে। তাঁদের রসায়ন, মোহিত সুরির কাব্যময় নির্মাণ এবং মুক্তির আগেই জনপ্রিয় হওয়া গান—সব মিলিয়ে ছবিটি দর্শকের হৃদয় জয় করে নিয়েছে। অনেকে বলছেন, বহুদিন পর বড় পর্দায় একটা নতুন রোমান্টিক জুটি দেখলেন দর্শক, যাঁদের প্রতি প্রজন্মের তরুণ–তরুণীরা তীব্র আগ্রহ দেখাচ্ছেন।
এদিকে ‘সাইয়ারা’র সঙ্গে একই দিনে মুক্তি পাওয়া অনুপম খেরের ‘তনভি দ্য গ্রেট’ এবং সোনাক্ষী সিনহার ‘নিকিতা রায়’ খুব একটা সুবিধা করতে পারেনি। দুই ছবিই বক্স অফিসে মুখ থুবড়ে পড়েছে।
যেভাবে এগোচ্ছে, তাতে মনে করা হচ্ছে ‘সাইয়ারা’ শিগগিরই ২০০ কোটি রুপির ক্লাবে ঢুকে পড়বে।
উৎস: Prothomalo
এছাড়াও পড়ুন:
ছুটি না পেয়ে অসুস্থ শ্রমিকের মৃত্যু, মহাসড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ
নারায়ণগঞ্জের বন্দরের মদনপুর এলাকায় লারিজ ফ্যাশনের পোশাক কারখানায় অসুস্থ হয়ে রিনা আক্তার (৩২) নামের এক শ্রমিকের মৃত্যুর প্রতিবাদে বিক্ষোভ করেছেন শ্রমিকরা।
সোমবার (৩ নভেম্বর) সকালে তারা মদনপুরে ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়ক অবরোধ করেন। খবর পেয়ে থানা পুলিশের সঙ্গে হাইওয়ে ও ইন্ডাস্ট্রিয়াল পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।
প্রত্যক্ষদর্শী ও শ্রমিকরা জানিয়েছেন, রিনা আক্তার অসুস্থ অবস্থায় কারখানায় কাজ করছিলেন। রোববার তিনি বেশি অসুস্থতা অনুভব করলে ছুটি চেয়ে আবেদন করেন। তবে, কর্তৃপক্ষ ওই শ্রমিকের আবেদনে সাড়া না দিয়ে কাজ করতে বাধ্য করেন। ওই নারী গুরুতর অসুস্থ হয়ে ফ্লোরে লুটিয়ে পড়লে তাৎক্ষণিকভাবে সহকর্মীরা স্থানীয় একটি হাসপাতালে নিয়ে যান। সেখানে তার শারীরিক অবস্থার আরো অবনতি ঘটলে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হয়। সেখানে চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
অবরোধকারী শ্রমিকদের অভিযোগ, তাদের সহকর্মীর মৃত্যুর জন্য মালিকপক্ষ দায়ী। রিনা অসুস্থ হওয়া সত্ত্বেও তাকে ছুটি দেওয়া হয়নি। চিকিৎসার অভাবে মারা গেছেন তিনি।
লারিজ ফ্যাশনের মালিকপক্ষ ও কর্মকর্তাদেরকে গ্রেপ্তার করার দাবি জানিয়েছেন শ্রমিকরা।
এ বিষয়ে জানতে যোগাযোগ করা হলে লারিজ ফ্যাশন কোম্পানির প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা (সিইও) শিমুল বলেছেন, আমাদের একজন শ্রমিক অসুস্থ হয়ে পড়লে তাৎক্ষণিকভাবে তাকে স্থানীয় একটি হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানে তার শারীরিক অবস্থার অবনতি ঘটলে ঢাকা মেডিকেল কলেজে হাসপাতালে নিয়ে গেলে সেখানে মৃত্যু হয়। এতে আমাদের কোনো গাফিলতি নেই। আমরা আমাদের সর্বাত্মক চেষ্টা করেছি।
কাঁচপুর হাইওয়ে থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আব্দুল কাদের জিলানী বলেছেন, সহকর্মীর মৃত্যুর জন্য গার্মেন্টস মালিকপক্ষ দায়ী, এমন অভিযোগ করে শ্রমিকরা আন্দোলনে নেমেছেন। আমরা তাদের সঙ্গে কথা বলার চেষ্টা করছি। ঘটনাস্থলে থানা পুলিশের সঙ্গে হাইওয়ে ও ইন্ডাস্ট্রিয়াল পুলিশও আছে। শ্রমিকরা রাস্তা থেকে সরে গেছেন। যানচলাচল স্বাভাবিক হয়েছে।
ঢাকা/অনিক/রফিক