সচিবালয়ে ঢুকে শিক্ষার্থীদের বিক্ষোভ, পুলিশের লাঠিচার্জ, সংঘর্ষ
Published: 23rd, July 2025 GMT
শিক্ষা উপদেষ্টার পদত্যাগসহ কয়েকটি দাবিতে গতকাল মঙ্গলবার সচিবালয়ের ভেতরে ও বাইরে বিক্ষোভ করেছে শিক্ষার্থীরা। একপর্যায়ে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সঙ্গে তাদের পাল্টাপাল্টি ধাওয়া ও সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। এ সময় সচিবালয়ের ভেতরে বেশ কিছু গাড়ি ভাঙচুর করা হয়। পুলিশ শিক্ষার্থীদের লাঠিচার্জ করে এবং কাঁদানে গ্যাসের শেল ও সাউন্ড গ্রেনেড নিক্ষেপ করে। সেনাসদস্যরাও শিক্ষার্থীদের ধাওয়া করেন।
গতকাল বেলা আড়াইটা থেকে সন্ধ্যা ছয়টা পর্যন্ত এ ঘটনায় অন্তত ৭৫ জন শিক্ষার্থী আহত হয়েছে। তাদের ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে প্রাথমিক চিকিৎসা দেওয়া হয়েছে। একজনকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। এ ঘটনায় পুলিশ ও সেনাবাহিনীর কয়েকজন সদস্যও আহত হন।
শিক্ষা উপদেষ্টা ও শিক্ষাসচিবের পদত্যাগের দাবিতে গতকাল বেলা আড়াইটার দিকে সচিবালয়ের সামনে অবস্থান নিয়ে বিক্ষোভ শুরু করে রাজধানীর বিভিন্ন এলাকার শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান থেকে আসা শিক্ষার্থীরা। দেড় ঘণ্টার বেশি সময় ধরে সেখানে অবস্থান নিয়ে স্লোগান দেওয়ার পর একপর্যায়ে সচিবালয়ের মূল ফটক খুলে ভেতরে ঢুকে পড়ে তারা। সেখানে অন্তত ২০টি গাড়ি ভাঙচুর করা হয়। তখন পুলিশ ও সেনাসদস্যরা তাদের ধাওয়া দিয়ে বাইরে বের করে দেন। এরপর বেশ সময় ধরে শিক্ষার্থীরা বাইরে থেকে সচিবালয়ের ভেতরে ইটপাটকেল ছুড়তে থাকে। এরপর সংঘর্ষ ছড়িয়ে পড়ে গুলিস্তানসহ আশপাশের এলাকায়।
শিক্ষা উপদেষ্টা ও শিক্ষাসচিবের পদত্যাগের দাবিতে সচিবালয়ের প্রধান ফটক ভেঙে ভেতরে ঢোকেন শিক্ষার্থীরা.উৎস: Prothomalo
এছাড়াও পড়ুন:
কক্সবাজারে ভবন থেকে পড়ে ব্যবসায়ীর মৃত্যু, পরিবারের দাবি হত্যা
কক্সবাজার সদর উপজেলার ঝিলংজা ইউনিয়নের লিংক রোড স্টেশন এলাকায় পাঁচতলা একটি ভবনের ছাদ থেকে পড়ে এক ব্যক্তির মৃত্যু হয়েছে। তাঁর নাম শেখ মেজবাহ উদ্দিন চৌধুরী (৪৮)। আজ বুধবার ভোর সাড়ে পাঁচটার দিকে এ ঘটনা ঘটে।
নিহত মেজবাহ উদ্দিনের বাড়ি চট্টগ্রামের বাঁশখালী উপজেলার কাতারিয়া এলাকায়। তিনি ওই এলাকার শেখ আমান উদ্দিন চৌধুরীর ছেলে। তিনি কক্সবাজারের লিংক রোড এলাকার বিসিক শিল্পনগরীর কয়েকটি প্রতিষ্ঠানে জ্বালানি সরবরাহ করতেন। পরিবার নিয়ে ওই ভবনেরই দ্বিতীয় তলার একটি ফ্ল্যাটে থাকতেন তিনি।
নিহত ব্যক্তির পরিবারের সদস্যদের দাবি, আজ ফজরের নামাজ শেষে তিনি বাসার ছাদে গিয়েছিলেন। পরে ভবনের নিচে মেজবাহ উদ্দিনের মরদেহ পাওয়া যায়। কেউ পরিকল্পিতভাবে ধাক্কা দিয়ে ছাদ থেকে নিচে ফেলে মেজবাহকে হত্যা করেছেন।
জানতে চাইলে কক্সবাজার সদর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো. ইলিয়াস খান প্রথম আলোকে বলেন, নিহত ব্যক্তির পরিবারের দাবি, এটি পরিকল্পিত হত্যা। ভবনের সিসিটিভি ক্যামেরার ফুটেজে মেজবাহ উদ্দিনকে একাই ছাদে উঠতে দেখা গেছে। তাঁর মাথার টুপি, পরনের জামা, প্যান্ট, জুতা সবই ঠিকঠাক ছিল। কেউ পরিকল্পিতভাবে হত্যাকাণ্ড ঘটিয়েছেন কি না, তা অনুসন্ধান করা হচ্ছে।