সিঙ্গাপুরের বিশেষজ্ঞ ও মেডিকেল বোর্ডের মতামতে হচ্ছে দগ্ধদের চিকিৎসা
Published: 23rd, July 2025 GMT
রাজধানীর উত্তরায় প্রশিক্ষণ যুদ্ধবিমান বিধ্বস্তের ঘটনায় দগ্ধদের চিকিৎসাসেবা চলছে সিঙ্গাপুর থেকে আসা বিশেষজ্ঞ এবং জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটের প্লাস্টিক সার্জনদের মেডিকেল বোর্ডের যৌথ মতামতের ভিত্তিতে। বিমান বিধ্বস্তের ঘটনায় দগ্ধ ৪৪ জন এখন বার্ন ইনস্টিটিউটে চিকিৎসাধীন। তাঁদের আটজনের অবস্থা সংকটাপন্ন।
আজ বুধবার বিকেলে জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য তুলে ধরেন ইনস্টিটিউটের পরিচালক অধ্যাপক নাসির উদ্দীন।
বার্ন ইনস্টিটিউটের পরিচালক বলেন, সিঙ্গাপুর থেকে যিনি এসেছেন, প্রত্যেক রোগীর তথ্য ও চিকিৎসার ব্যবস্থা নিয়ে তাঁর সঙ্গে আলোচনা হয়েছে। মেডিকেল বোর্ড ও সিঙ্গাপুরের বিশেষজ্ঞের যৌথ মতামতের ভিত্তিতে বিমান বিধ্বস্তের ঘটনায় দগ্ধদের চিকিৎসা চলছে।
গত সোমবার দুপুরে রাজধানীর উত্তরায় মাইলস্টোন স্কুল অ্যান্ড কলেজের একটি ভবনের ওপর বিমানবাহিনীর একটি প্রশিক্ষণ যুদ্ধবিমান আছড়ে পড়ে। এ ঘটনায় এখন পর্যন্ত ৩২ জনের নিহত হওয়ার খবর জানিয়েছে আন্তঃবাহিনী জনসংযোগ পরিদপ্তর (আইএসপিআর) ও স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়। এর মধ্যে বার্ন ইনস্টিটিউটে ১১ জনের মৃত্যু হয়েছে।
বিমান বিধ্বস্তের ঘটনায় দগ্ধদের চিকিৎসা ব্যবস্থাপনা নিয়ে আজ দুপুর ১২টা থেকে বেলা সাড়ে ৩টা পর্যন্ত বার্ন ইনস্টিটিউটে প্লাস্টিক সার্জনদের নিয়ে করা মেডিকেল বোর্ডের সঙ্গে সিঙ্গাপুরের বিশেষজ্ঞ চং সি জ্যাকের বৈঠক হয়। সেখানে দগ্ধদের চিকিৎসা নিয়ে বিশদ আলোচনা ও সিদ্ধান্ত হয়। চং সি জ্যাক সিঙ্গাপুর জেনারেল হাসপাতালের সিনিয়র কনসালট্যান্ট। বুধবার রাতে তিনি ঢাকায় পৌঁছান।
ওই বৈঠক শেষে সংবাদ সম্মেলনে বার্ন ইনস্টিটিউটের পরিচালক অধ্যাপক নাসির উদ্দীন বলেন, ‘সিঙ্গাপুর থেকে আসা বিশেষজ্ঞ সার্জন চং সি জ্যাকের সঙ্গে আগেও আমরা একসঙ্গে কাজ করেছি। তাঁর সঙ্গে বিষয়গুলো শেয়ার করেছি। প্রাথমিক পরিকল্পনা নিয়ে একমত পোষণ করেছেন তিনি। তাইওয়ানে শিশু ম্যাস ক্যাজুয়ালটি (ব্যাপক হতাহতের) নিয়ে তাঁর অভিজ্ঞতা আছে। তিনি কিছু কিছু জায়গায় সেই ব্যাপারে পরামর্শ দিয়েছেন। আমরা সেইগুলো আরেকটু ভালো করে ফলো (অনুসরণ) করছি। চিকিৎসাপদ্ধতির কিছু বিষয়ে পরিবর্তনের পরামর্শ দিয়েছেন তিনি। তবে কোনো রোগীকে বাইরে যাওয়ার বিষয়ে তিনি কোনো পরামর্শ দেননি।’
অধ্যাপক নাসির উদ্দীন বলেন, ‘ম্যাস ক্যাজুয়ালটি নিয়ে কাজ করা চীন ও যুক্তরাষ্ট্রে থাকা আমাদের দেশের বিশেষজ্ঞরা সহযোগিতা করতে চাচ্ছেন। চিকিৎসাসংক্রান্ত যেকোনো সিদ্ধান্ত আমরা ভালো সিদ্ধান্ত হিসেবে ধরে নিচ্ছি। এই মুহূর্তে আমরা যে প্রটোকল (পদ্ধতি) নিয়ে এগোচ্ছি, আমরা সেই প্রটোকল নিয়েই এগোব। এ বিষয়ে যদি কেউ সুপরামর্শ দিয়ে থাকেন এবং রোগীদের জন্য যা ভালো হবে, সেটা বিবেচনায় নিয়ে তা করব। বার্ন ইনস্টিটিউটে এই মুহূর্তে রক্তের কোনো দরকার নেই। দগ্ধদের চিকিৎসা খরচ সরকার বহন করবে।’
অধ্যাপক নাসির উদ্দীন বলেন, চং সি জ্যাক আলোচনায় কিছু মতামত দিয়েছেন। তার ভিত্তিতে দগ্ধদের তিন ক্যাটাগরি করে চিকিৎসার ব্যবস্থাপনা নেওয়া হয়েছে। তিনি বলেন, বার্ন ইনস্টিটিউটে দগ্ধ মোট ৪৪ জন চিকিৎসাধীন। তাঁদের মধ্যে ‘ক্রিটিক্যাল’ ক্যাটাগরিতে আছে আটজন, ‘সিভিয়ার’ ক্যাটাগরিতে আছেন ১৩ জন আর ২৩ জন আছেন ‘ইন্টারমিডিয়েট’ ক্যাটাগরিতে।
বার্ন ইনস্টিটিউটের পরিচালক বলেন, ‘ক্রিটিক্যাল’ হলো, যাঁরা সবচেয়ে বেশি দগ্ধ ও ঝুঁকির মধ্যে আছেন। এক ঘণ্টার মধ্যে তাঁদের অবস্থা খারাপের দিকে যেতে পারে বা একটু উন্নতির দিকে যেতে পারে। ৪০ শতাংশ দগ্ধ রোগীকে ভেন্টিলেটরে (কৃত্রিম শ্বাসপ্রশ্বাস) দিতে হয়েছে; কারণ, তাঁর ইনজুরি অনেক বেশি। ‘সিভিয়ার’ রোগী ভালোর দিকে যেতে পারে বা একটু খারাপের দিকে যেতে পারে। আর ‘ইন্টারমিডিয়েট’ ক্যাটাগরির রোগীরা দ্রুত ভালোর দিকে যায়। তবে সংক্রমণ হলে তাঁদের অবস্থা খারাপ হতে পারে।
অধ্যাপক নাসির উদ্দীন বলেন, ‘ক্রিটিক্যাল’ ক্যাটাগরিতে থাকা আটজনের মধ্যে শিশু বেশি। নিবিড় পরিচর্যা কেন্দ্র (আইসিইউ) মানেই ভেন্টিলেশন ও লাইফ সাপোর্ট নয়। এখানে দগ্ধ রোগীকে নিবিড়ভাবে পর্যবেক্ষণ করার ব্যবস্থা আছে।
.উৎস: Prothomalo
এছাড়াও পড়ুন:
অজিতের পারিশ্রমিক ২৪১ কোটি টাকা!
ভারতের তামিল সিনেমার জনপ্রিয় অভিনেতা অজিত কুমার। ভক্তদের কাছে তিনি থালা অজিত নামেই পরিচিত। গত ১০ এপ্রিল মুক্তি পায় তার অভিনীত ‘গুড ব্যাড আগলি’ সিনেমা। মুক্তির পর বক্স অফিসে বেশ সাড়া ফেলেছিল এটি। এরই মাঝে গুঞ্জন উড়ছে, পারিশ্রমিক বাড়াতে যাচ্ছেন অজিত।
পিঙ্কভিলা এক প্রতিবেদনে জানিয়েছে, অজিত কুমারের পরবর্তী সিনেমা ‘একে৬৪’। এখনো সিনেমাটির নাম চূড়ান্ত হয়নি। গুঞ্জন অনুযায়ী, এ সিনেমার জন্য অজিত কুমার তার পারিশ্রমিক ১৫০ কোটি রুপি থেকে বাড়িয়ে ১৭৫ কোটি রুপি (বাংলাদেশি মুদ্রায় ২০৭-২৪১ কোটি টাকার বেশি) করতে পারেন।
আরো পড়ুন:
মুক্তির আগেই কত টাকা আয় করল ‘কানতারা টু’?
আমি খুব কেঁদেছিলাম: মোহিনী
অজিত কুমার মনে করেন—‘সাধারণ গল্পের সিনেমাকেও রাজকীয়ভাবে উপস্থাপন করা উচিত।’ এই কারণে, সিনেমাটির বাজেট সম্ভবত ৩০০ থেকে ৪০০ কোটি রুপির মধ্যে হতে পারে। তবে অজিতের টিমের পক্ষ থেকে এখনো আনুষ্ঠানিক কোনো ঘোষণা আসেনি।
‘গুড ব্যাড আগলি’ সিনেমা নির্মাণ করেন পরিচালক আধিক রবিচন্দ্রন। ‘একে৬৪’ সিনেমাও তারই নির্মাণের কথা রয়েছে। রেসিং সিজনের বিরতিতে সিনেমাটির শুটিং শুরু হওয়ার কথা রয়েছে। কারণ অজিত কুমার তখন তার সিনেমার দিকেই সম্পূর্ণ মনোযোগ দেবেন। শোনা যাচ্ছে, এই সিনেমা সব ধরণের দর্শকদের কথা মাথায় রেখে তৈরি করা হবে, যেখানে ‘গুড ব্যাড আগলি’ কেবল অজিত ভক্তদের কেন্দ্র করে নির্মিত হয়েছিল।
ঢাকা/শান্ত