বলিউড অভিনেত্রী বিদ্যা বালান ২০০৩ সালে বড় পর্দায় যাত্রা শুরু করেন। ক্যারিয়ারের শুরুতেই একাধিক হিট সিনেমা উপহার দেন। বলিউডের প্রথম সারির এ অভিনেত্রীর যা অর্জন, তা চোখের পলকেই পাননি। বরং দীর্ঘ সংগ্রামের ফসল। 

বিদ্যা বালান অভিনীত দ্বিতীয় সিনেমা ‘পরিণীতা’। ২০০৫ সালে মুক্তি পায় এটি। এ সিনেমায় সঞ্জয় দত্তের সঙ্গে তার অন্তরঙ্গ দৃশ্য রয়েছে। এটি তার ক্যারিয়ারের প্রথম ঘনিষ্ঠ দৃশ্য ছিল। এ দৃশ্যে অভিনয় করতে গিয়ে যে অভিজ্ঞতা হয়েছিল, তা নিয়ে কথা বলেছেন এই অভিনেত্রী। 

হলিউড রিপোর্টার ইন্ডিয়াকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে বিদ্যা বালান বলেন, “সঞ্জয় দত্তের সঙ্গে অন্তরঙ্গ দৃশ্যের শুটিং ছিল। সকালে তিনি আমার কাছে এসে বলেন, ‘বিদ্যা, আমি খুব নার্ভাস, আমরা এটা কীভাবে করব?’ এ-ও বলেন, ‘আমি সব দিক দিয়েই অভিজ্ঞ।”  

আরো পড়ুন:

স্ত্রীকে সঞ্জয়ের ‘মা’ সম্বোধন, নেপথ্যে কী?

৩২ বছর পর নির্মিত হচ্ছে ‘খলনায়ক’ সিনেমার সিক্যুয়েল

বিদ্যা বালানকে স্বাভাবিক রাখার জন্য সঞ্জয় দত্ত এসব বলেছিলেন। তা স্মরণ করে বিদ্যা বালান বলেন, “তার উদারতা দেখুন। তিনি আমাকে অনুভব করালেন যে, তিনিও নার্ভাস ছিলেন। এতে আমার উপর থেকে বোঝা কমে গেল। কারণ এটি ছিল আমার প্রথম ঘনিষ্ঠ দৃশ্য। আমি জানতাম না যে এটি কীভাবে করব। তুমি সবসময় অনুভব করো যে, তুমি তোমার একটা অংশ প্রকাশ করতে যাচ্ছো। আমাকে এটা স্বাচ্ছন্দ্য বোধ করিয়েছিল।” 

সঞ্জয় দত্তের ব্যবহারের প্রশংসা করতে গিয়ে আরেকটি ঘটনা বর্ণনা করে বিদ্যা বালান বলেন, “দিনের শেষ দিকে সঞ্জয় দত্ত আমার দরজায় কড়া নাড়েন। আমাকে জিজ্ঞাসা করেন, ‘তুমি ঠিক আছো তো?’ সে আমার কপালে চুমু খেল এবং চলে গেল। এই কারণেই সঞ্জয় দত্ত, সঞ্জয় দত্ত।” 

প্রদীপ সরকার নির্মিত ‘পরিণীতা’ সিনেমায় আরো অভিনয় করেন—সাইফ আলী খান, রাইমা সেন, দিয়া মির্জা, টিনা দত্ত, সুপ্রিয়া শুক্লা প্রমুখ। ২০০৫ সালের ১০ জুন প্রেক্ষাগৃহে মুক্তি পায়। গত মাসে সিনেমাটির দুই দশ পূর্তি ছিল।

ঢাকা/শান্ত

.

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর চলচ চ ত র

এছাড়াও পড়ুন:

প্রাথমিকে সংগীত ও শারীরিক শিক্ষার শিক্ষক নিয়োগের সুযোগ বাদ

দুই মাসের মধ্যে ‘সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় শিক্ষক নিয়োগ বিধিমালা’ পরিবর্তন করল সরকার। সংশোধিত বিধিমালায় সংগীত ও শারীরিক শিক্ষা বিষয়ে শিক্ষক নিয়োগের সুযোগ বাদ দেওয়া হয়েছে। গতকাল রোববার সংশোধিত বিধিমালা গেজেটে প্রকাশ করেছে প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়।

এর আগে গত ২৮ আগস্ট ‘সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় শিক্ষক নিয়োগ বিধিমালা, ২০২৫’ -এর প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়েছিল। এতে অন্যান্য বিষয়বস্তুর পাশাপাশি সংগীত ও শারীরিক শিক্ষা বিষয়ে শিক্ষক নিয়োগের সুযোগ রাখা হয়েছিল।

এরপর ধর্মভিত্তিক বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নেতারা বিভিন্ন সভা, সেমিনার, বিক্ষোভ সমাবেশে সংগীত শিক্ষকের বদলে ধর্ম শিক্ষক নিয়োগ দেওয়ার দাবি করেন। সংগীত শিক্ষক নিয়োগ বাতিল করা না হলে তাঁরা আন্দোলনেরও হুমকি দেন।

আরও পড়ুনপ্রাথমিকে কেন সংগীত শিক্ষক, বিরোধিতায় কারা, কী বলছেন শিক্ষকেরা২৯ সেপ্টেম্বর ২০২৫

গত আগস্টে জারি করা বিধিমালায় চার ধরনের শিক্ষকের কথা বলা ছিল। সেগুলো ছিল প্রধানশিক্ষক, সহকারী শিক্ষক, সহকারী শিক্ষক (সংগীত) ও সহকারী শিক্ষক (শারীরিক শিক্ষা)। সংশোধিত বিধিমালায় কেবল প্রধান শিক্ষক ও সহকারী শিক্ষকের কথা বলা হয়েছে।

সম্পর্কিত নিবন্ধ