চাঁদপুরের শাহরাস্তি উপজেলার ঠাকুরবাজারে ডাকাতির ঘটনায় ৪ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। তারা আন্তঃজেলা ডাকাত দলের সদস্য বলছে পুলিশ। এ সময় তাদের কাছ থেকে ডাকাতির সময় লুট হওয়া ৫৬৫ প্যাকেট সিগারেট, পাঁচটি মোবাইল এবং ১০ হাজার ৫০০ টাকা উদ্ধার করা হয়।

বৃহস্পতিবার (২৪ জুলাই) পুলিশ সুপারের কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য জানান চাঁদপুরের পুলিশ সুপার মুহম্মদ আব্দুর রকিব। এর আগে, বুধবার অভিযান চালিয়ে তাদের গ্রেপ্তার করা হয়।

গ্রেপ্তারকৃতরা হলেন- ঢাকার কেরানীগঞ্জ থানার পশ্চিম পাড়ার আব্দুল মালেক আকন (৬০), কুষ্টিয়া জেলার কুমারখালী থানার মাশখাল এলাকার মো.

সোহেল রানা ওরফে শাওন (৩৯), ঢাকা আশুলিয়া থানার মুন্সিপাড়া এলাকার মো. সাহাব উদ্দিন ওরফে সাবু (৩২)। মামলা পরবর্তী কার্যক্রম ও তদন্তের স্বার্থে অপর আসামির নাম প্রকাশ করা হয়নি।

আরো পড়ুন:

শেখ হাসিনার মামাতো ভাই আ. লীগ নেতা শেখ হীরা গ্রেপ্তার

টেকনাফে বোরকা পরে চেকপোস্ট পার হতে গিয়ে যুবক আটক

পুলিশ জানায়, গত ৮ জুলাই শাহারাস্তি ঠাকুরবাজারে মেসার্স পাটোয়ারী এন্টারপ্রাইজে নৈশপ্রহরীকে হাত-পা বেঁধে সিগারেটসহ প্রায় ৩৫ লাখ টাকার মালামাল লুট করে নেয় ডাকাত দল। এই ঘটনায় ওই ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের মালিক ইমরান হোসেন থানায় মামলা করেন। পরে অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (অর্থ ও প্রশাসন) মো. লুৎফুর রহমানের তত্ত্বাবধানে স্থানীয় সিসিটিভি ক্যামেরার ফুটেজ, তথ্য প্রযুক্তির ব্যবহার এবং সোর্সের মাধ্যমে মামলাটির তদন্ত এবং জড়িতদের গ্রেপ্তারে অভিযান পরিচালনা করেন শাহারাস্তি থানা পুলিশ। সর্বশেষ বুধবার লক্ষ্মীপুর জেলায় অভিযান চালিয়ে মো. দেলোয়ার নামে এক আসামিকে গ্রেপ্তার করে। একই দিন অপর দুই অভিযানে গ্রেপ্তার হয় আরো তিন আসামি।

এসপি মুহম্মদ আব্দুর রকিব বলেন, ‘‘এই ডাকাতির ঘটনায় চাঁদপুর ও ঢাকার পুলিশের সহযোগিতায় ডাকাত দলের ৭ সদস্য গ্রেপ্তার হয়েছেন। এর মধ্যে তিন জনের বিরুদ্ধে ঢাকায় মামলা রয়েছে। বাকি চারজনকে চাঁদপুরে আনা হয়েছে। এই ঘটনায় আরো অধিকতর তদন্ত কার্যক্রম চলমান রয়েছে। গ্রেপ্তারকৃতদের জিজ্ঞাসাবাদ শেষে চাঁদপুর আদালতে পাঠানো হবে।’’

ঢাকা/অমরেশ/রাজীব

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর ড ক ত দল ঘটন য

এছাড়াও পড়ুন:

ছুটি না পেয়ে অসুস্থ শ্রমিকের মৃত্যু, মহাসড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ 

নারায়ণগঞ্জের বন্দরের মদনপুর এলাকায় লারিজ ফ্যাশনের পোশাক কারখানায় অসুস্থ হয়ে রিনা আক্তার (৩২) নামের এক শ্রমিকের মৃত্যুর প্রতিবাদে বিক্ষোভ করেছেন শ্রমিকরা। 

সোমবার (৩ নভেম্বর) সকালে তারা মদনপুরে ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়ক অবরোধ করেন। খবর পেয়ে থানা পুলিশের সঙ্গে হাইওয়ে ও ইন্ডাস্ট্রিয়াল পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। 

প্রত্যক্ষদর্শী ও শ্রমিকরা জানিয়েছেন, রিনা আক্তার অসুস্থ অবস্থায় কারখানায় কাজ করছিলেন। রোববার তিনি বেশি অসুস্থতা অনুভব করলে ছুটি চেয়ে আবেদন করেন। তবে, কর্তৃপক্ষ ওই শ্রমিকের আবেদনে সাড়া না দিয়ে কাজ করতে বাধ্য করেন। ওই নারী গুরুতর অসুস্থ হয়ে ফ্লোরে লুটিয়ে পড়লে তাৎক্ষণিকভাবে সহকর্মীরা স্থানীয় একটি হাসপাতালে নিয়ে যান। সেখানে তার শারীরিক অবস্থার আরো অবনতি ঘটলে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হয়। সেখানে চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।

অবরোধকারী শ্রমিকদের অভিযোগ, তাদের সহকর্মীর মৃত্যুর জন্য মালিকপক্ষ দায়ী। রিনা অসুস্থ হওয়া সত্ত্বেও তাকে ছুটি দেওয়া হয়নি। চিকিৎসার অভাবে মারা গেছেন তিনি। 

লারিজ ফ্যাশনের মালিকপক্ষ ও কর্মকর্তাদেরকে গ্রেপ্তার করার দাবি জানিয়েছেন শ্রমিকরা।

এ বিষয়ে জানতে যোগাযোগ করা হলে লারিজ ফ্যাশন কোম্পানির প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা (সিইও) শিমুল বলেছেন, আমাদের একজন শ্রমিক অসুস্থ হয়ে পড়লে তাৎক্ষণিকভাবে তাকে স্থানীয় একটি হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানে তার শারীরিক অবস্থার অবনতি ঘটলে ঢাকা মেডিকেল কলেজে হাসপাতালে নিয়ে গেলে সেখানে মৃত্যু হয়। এতে আমাদের কোনো গাফিলতি নেই। আমরা আমাদের সর্বাত্মক চেষ্টা করেছি।

কাঁচপুর হাইওয়ে থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আব্দুল কাদের জিলানী বলেছেন, সহকর্মীর মৃত্যুর জন্য গার্মেন্টস মালিকপক্ষ দায়ী, এমন অভিযোগ করে শ্রমিকরা আন্দোলনে নেমেছেন। আমরা তাদের সঙ্গে কথা বলার চেষ্টা করছি। ঘটনাস্থলে থানা পুলিশের সঙ্গে হাইওয়ে ও ইন্ডাস্ট্রিয়াল পুলিশও আছে। শ্রমিকরা রাস্তা থেকে সরে গেছেন। যানচলাচল স্বাভাবিক হয়েছে।

ঢাকা/অনিক/রফিক

সম্পর্কিত নিবন্ধ