নিম্নচাপের প্রভাবে বিক্ষুব্ধ হয়ে উঠেছে বঙ্গোপসাগর। বড় বড় ঢেউ আছড়ে পড়ছে পটুয়াখালীর কুয়াকাটা সৈকতে। এর মধ্যে গোসল করতে সাগরে নেমে প্রবল স্রোতে ভেসে যাচ্ছিলেন তানভীর (২৩) নামের এক পর্যটক। দেখতে পেয়ে তাকে বাঁচাতে সমুদ্রে ঝাপিয়ে পড়েন আলতাফ হোসেন নামের এক জেলে। সমুদ্র থেকে তানভীরকে তীরে নিয়ে আসেন আলতাফ। এ সময় অজ্ঞান হয়ে পড়েন ওই পর্যটক। 

শুক্রবার (২৫ জুলাই) দুপুরে কুয়াকাটা সৈকতের জিরো পয়েন্টের পশ্চিম পাশে এসব ঘটনা ঘটে। স্থানীয়দের সহায়তায় ওই পর্যটককে হাসপাতালে নেওয়া হয়েছে। তানভীর ঢাকার নবাবগঞ্জ এলাকার বাসিন্দা।

পর্যটককে বাঁচাতে জেলে আলতাফ হোসেনের এমন সাহসী পদক্ষেপকে সাধুবাদ জানিয়েছেন স্থানীয়রা।

আলতাফ হোসেন বলেছেন, “সৈকতে অনেক পর্যটক গোসল করছিল। এ সময় আমি একজনকে ভেসে যেতে দেখি। তৎক্ষণিকভাবে আমি সমুদ্রে ঝাপ দিয়ে তাকে তীরে নিয়ে আসি। এ সময় সে অনেক অসুস্থ হয়ে পড়ে। একপর্যায়ে সে জ্ঞান হারিয়ে ফেলে।” 

সৈকতের ফটোগ্রাফার মো.

মেশকাত বলেন, “ওই পর্যটক ডুবে যাচ্ছিল। সম্ভবত সে সাঁতার জানে না। এক জেলে তাকে উদ্ধার করার পর আমরা হাসপাতালে পাঠাই। সমুদ্র উত্তাল থাকলে গোসলে নামার সময় পর্যটকদের সতর্কতা অবলম্বন করা উচিত।”

কুয়াকাটা হাসপাতালের আবাসিক চিকিৎসা কর্মকর্তা মো. রিয়াজ উদ্দিন জানিয়েছেন, আজকে দুপুরে এক পর্যটককে অসুস্থ অবস্থায় হাসপাতালে আনা হয়েছে। তাকে প্রাথমিক চিকিৎসাসেবা দিয়ে উন্নত চিকিৎসার জন্য উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে পাঠানো হয়েছে। 

ট্যুরিস্ট পুলিশের কুয়াকাটা জোনের ইনচার্জ তাপস বলেছেন, জেলেদের কাছ থেকে জেনে আমরা হাসপাতালে খোঁজ নিয়েছি। এখন ওই পর্যটক সুস্থ আছেন। 

ঢাকা/ইমরান/রফিক

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর আলত ফ

এছাড়াও পড়ুন:

খাগড়াছড়িতে সাংবাদিক মিলন ত্রিপুরার ওপর হামলার অভিযোগ তদন্তের আহ্বান সিপিজের

খাগড়াছড়িতে সাংবাদিক মিলন ত্রিপুরার ওপর হামলার অভিযোগ তদন্ত করতে বাংলাদেশি কর্তৃপক্ষের প্রতি আহ্বান জানিয়েছে সাংবাদিকদের অধিকার রক্ষায় সোচ্চার বৈশ্বিক সংগঠন কমিটি টু প্রোটেক্ট জার্নালিস্টস (সিপিজে)। দোষীদের অবশ্যই শাস্তির আওতায় আনতে হবে বলে উল্লেখ করেছে সংগঠনটি।

মঙ্গলবার সিপিজের এক টুইটে এ আহ্বান জানানো হয়েছে। এতে বলা হয়েছে, ডিবিসি নিউজের প্রতিনিধি মিলন ত্রিপুরা ১৭ জুলাই একটি বিক্ষোভের সংবাদ সংগ্রহ করছিলেন। এ সময় নিরাপত্তা বাহিনীর সদস্যরা তাঁকে মারধর করেন ও ধারণ করা ভিডিও ফুটেজ মুছে ফেলতে বাধ্য করেন বলে অভিযোগ রয়েছে।

সম্পর্কিত নিবন্ধ