কালিয়াকৈরে বেড়াতে গিয়ে বিলে নৌকা ডুবে ৩ বন্ধু নিখোঁজ
Published: 25th, July 2025 GMT
গাজীপুরের কালিয়াকৈর উপজেলার মকশ বিলে বেড়ানোর সময় নৌকা ডুবে তিন বন্ধু নিখোঁজ হয়েছে। আজ শুক্রবার বিকেল সাড়ে ৪টার দিকে গাজীপুরের কালিয়াকৈর উপজেলার বাঙ্গার জাঙ্গাল এলাকায় এ দুর্ঘটনা ঘটে। খবর পেয়ে ফায়ার সার্ভিস সদস্যরা এসে উদ্ধার অভিযান চালালেও রাত ৮টা পর্যন্ত তাদের উদ্ধার করা সম্ভব হয়নি।
নিখোঁজ তিনজন হলো কালিয়াকৈর উপজেলার সুরিচালা গ্রামের মজনু মিয়ার ছেলে মো.
এলাকাবাসী সূত্রে জানা গেছে, ধামরাই উপজেলার শিমুলিয়া থেকে আজ সকালে ইব্রাহীম তার খালার বাড়ি কালিয়াকৈর উপজেলার সুরিচালা এলাকায় বেড়াতে আসে। বিকেলে পাঁচ বন্ধু মিলে একটি ছোট নৌকা নিয়ে মকশ বিলে ঘুরতে বের হয়। এ সময় প্রচণ্ড বাতাস বইতে থাকায় বিলের পানিতেও প্রচুর ঢেউয়ের সৃষ্টি হয়। বিকেল সাড়ে চারটার দিকে একপর্যায়ে নৌকাটি বিলের পানিতে উল্টে যায়। এ সময় দুই বন্ধু সাকিব হোসেন ও আরাফাত হোসেন সাঁতরে ওপরে উঠতে পারলেও ওই তিনজন পানিতে তলিয়ে যায়।
পরে আশপাশের লোকজন তাদের খুঁজে ব্যর্থ হয়ে ফায়ার সার্ভিসকে খবর দেন। খবর পেয়ে কালিয়াকৈর ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা এসে উদ্ধার অভিযান শুরু করেন। তবে রাত আটটা পর্যন্ত তাদের কোনো খোঁজ পাওয়া যায়নি। নিখোঁজ এবং উদ্ধার হওয়া পাঁচজনই চলতি বছর এসএসসি পাস করেছে।
নিখোঁজ শিমুলের ভগ্নিপতি আসলাম হোসেন বলেন, বিকেলে তারা নৌকা নিয়ে বেড়াতে বের হয়েছে। নৌকা বাতাসে উল্টে যাওয়ার পর থেকে রাত আটটা পর্যন্ত তাদের কোনো খোঁজ পাওয়া যায়নি।
কালিয়াকৈর থানাধীন মৌচাক পুলিশ ফাঁড়ির পরিদর্শক আবদুস সেলিম বলেন, নৌকা ডুবে তিনজন নিখোঁজ রয়েছে। ডুবুরি দল তাদের উদ্ধারের চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে।
উৎস: Prothomalo
কীওয়ার্ড: ক র উপজ ল র
এছাড়াও পড়ুন:
গাজীপুরে বকেয়া বেতন ও কারখানা চালুর দাবিতে ঢাকায় শ্রমিকদের ‘ভুখা মিছিল’
গাজীপুরে বন্ধ হয়ে যাওয়া উইনটেক্স গ্লোভস কারখানা পুনরায় চালু ও শ্রমিকদের বকেয়া বেতন পরিশোধের দাবিতে আন্দোলনের ১৭তম দিনে রাজধানীতে ভুখা মিছিল ও অবস্থান কর্মসূচি পালন করেছেন শ্রমিকেরা।
মঙ্গলবার বেলা ১১টায় বিজয়নগরের শ্রম ভবনের সামনে থেকে শুরু হয়ে মিছিলটি পল্টন, প্রেসক্লাব, বিজয়নগর হয়ে পুনরায় শ্রম ভবনের সামনে এসে শেষ হয়। পরে সেখানে অবস্থান কর্মসূচিতে অংশ নেন আন্দোলনরত শ্রমিকেরা।
জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে এক সমাবেশে বাংলাদেশ গার্মেন্ট ও সোয়েটার্স শ্রমিক ট্রেড ইউনিয়ন কেন্দ্রের সাধারণ সম্পাদক কাজী মো. রুহুল আমিন বলেন, ১৫ জুন বেআইনিভাবে কারখানা বন্ধ করা হয়। পরদিন ১৬ জুন কলকারখানা ও প্রতিষ্ঠান পরিদর্শন অধিদপ্তরের ডিআইজি, জেলা প্রশাসক এবং পরে শ্রম উপদেষ্টা ও শ্রমসচিবকে দুইবার লিখিতভাবে বিষয়টি জানিয়ে প্রতিকার চাওয়া হয়। আজ (বুধবার) ১৭তম দিন যাবৎ শ্রম ভবনের সামনে অবস্থান আন্দোলনের পর অদ্যাবধি তাঁরা কোনো উদ্যোগ নেননি, এমনকি শ্রমিকদের সাথে কথাও বলেননি, যা কোনোভাবেই গ্রহণযোগ্য নয়।
কাজী মো. রুহুল আমিন আরও বলেন, শ্রম মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তাদের সাথে শ্রমিকদের সুসম্পর্কের পরিবর্তে মুখোমুখি দাঁড়ানো কারও জন্যই মঙ্গল বয়ে আনবে না।
সমাবেশে অন্য বক্তারা বলেন, অতীতের সরকারগুলোর মতো বর্তমান সরকার যদি মালিক পুষে শ্রমিক মারার পথ অনুসরণ করে, তাহলে এর পরিণতি হবে ভয়াবহ।
সমাবেশে সভাপতিত্ব করেন উইনটেক্স গ্লোভস শ্রমিক-কর্মচারী সংগ্রাম পরিষদের সমন্বয়ক মো. তুহিন এবং সঞ্চালনা করেন শ্রমিকনেতা জালাল হাওলাদার। আরও বক্তব্য দেন শ্রমিকনেতা মুর্শিকুল ইসলাম শিমুল, সেকেন্দার হায়াত, আমিনুল ইসলাম প্রমুখ।