কালিয়াকৈরে মকশ বিলে নৌকা ডুবে নিখোঁজ ২ শিক্ষার্থীর মরদেহ উদ্ধার
Published: 26th, July 2025 GMT
গাজীপুরের কালিয়াকৈরে উপজেলার ভাঙ্গারজাঙ্গাল এলাকায় মকশ বিলে ঘুরতে গিয়ে নৌকা ডুবে নিখোঁজ হওয়া তিন বন্ধুর মধ্যে দুজনের মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। অন্যজনের এখনো সন্ধান মেলেনি। ঘটনার পর থেকে নদীপাড়ে স্বজনেরা আহাজারি করছেন।
লাশ উদ্ধার হওয়া দুই শিক্ষার্থী হলেন সাভারের শিমুলিয়া ইউনিয়নের বাসিন্দা হালিম মিয়ার ছেলে রফিকুল ইসলাম (১৮) ও কালিয়াকৈর উপজেলার সুরিচালা গ্রামের মজনু মিয়ার ছেলে মো.
পুলিশ ও স্থানীয় বাসিন্দারা জানান, ধামরাই উপজেলার শিমুলিয়া থেকে গত শুক্রবার সকালে রফিকুল তাঁর খালার বাড়ি কালিয়াকৈর উপজেলার সুরিচালা এলাকায় বেড়াতে আসেন। ওই দিনই বিকেলে পাঁচ বন্ধু মিলে একটি ছোট নৌকা নিয়ে মকশ বিলে ঘুরতে যান। এ সময় প্রচণ্ড বাতাসে বিলের পানিতে নৌকাটি উল্টে যায়। এ সময় দুই বন্ধু সাকিব হোসেন ও আরাফাত হোসেন সাঁতরে কিনারায় উঠতে পারলেও তিনজন পানিতে তলিয়ে যান। খবর পেয়ে আশপাশের লোকজন খুঁজে ব্যর্থ হয়ে ফায়ার সার্ভিসে খবর দেন।
খবর পেয়ে কালিয়াকৈর ফায়ার সার্ভিসের ডুবুরি দল উদ্ধারকাজ শুরু করে। আজ সকাল আটটার দিকে রফিকুল ও বিকেল পাঁচটার দিকে শিমুলের মরদেহ বিল থেকে উদ্ধার করে। এদিকে সকাল থেকে নিখোঁজ তরুণদের পরিবার ও এলাকাবাসী বিলের বিভিন্ন পাড়ে অবস্থান নিয়ে আহাজারি করছেন।
মৌচাক ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান (ভারপ্রাপ্ত) আরিফুল ইসলাম বলেন, মকশ বিলে তিন শিক্ষার্থীর নিখোঁজ হওয়ার পর দুজনের মরদেহ উদ্ধার করা সম্ভব হয়েছে। এখনো এক শিক্ষার্থী নিখোঁজ। এ ঘটনায় এলাকায় শোকের ছায়া নেমে এসেছে।
কালিয়াকৈর ফায়ার সার্ভিসের কর্মকর্তা ইফতেখার হোসেন রায়হান চৌধুরী বলেন, শুক্রবার রাত থেকে তাঁরা উদ্ধার অভিযান শুরু করেন। আজ সকালে রফিকুল ও বিকেলে শিমুলের মরদেহ উদ্ধার করা হয়। আরও একজন নিখোঁজ আছে। উদ্ধার কার্যক্রম অব্যাহত আছে।
উৎস: Prothomalo
কীওয়ার্ড: উপজ ল র
এছাড়াও পড়ুন:
ছুটি না পেয়ে অসুস্থ শ্রমিকের মৃত্যু, মহাসড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ
নারায়ণগঞ্জের বন্দরের মদনপুর এলাকায় লারিজ ফ্যাশনের পোশাক কারখানায় অসুস্থ হয়ে রিনা আক্তার (৩২) নামের এক শ্রমিকের মৃত্যুর প্রতিবাদে বিক্ষোভ করেছেন শ্রমিকরা।
সোমবার (৩ নভেম্বর) সকালে তারা মদনপুরে ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়ক অবরোধ করেন। খবর পেয়ে থানা পুলিশের সঙ্গে হাইওয়ে ও ইন্ডাস্ট্রিয়াল পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।
প্রত্যক্ষদর্শী ও শ্রমিকরা জানিয়েছেন, রিনা আক্তার অসুস্থ অবস্থায় কারখানায় কাজ করছিলেন। রোববার তিনি বেশি অসুস্থতা অনুভব করলে ছুটি চেয়ে আবেদন করেন। তবে, কর্তৃপক্ষ ওই শ্রমিকের আবেদনে সাড়া না দিয়ে কাজ করতে বাধ্য করেন। ওই নারী গুরুতর অসুস্থ হয়ে ফ্লোরে লুটিয়ে পড়লে তাৎক্ষণিকভাবে সহকর্মীরা স্থানীয় একটি হাসপাতালে নিয়ে যান। সেখানে তার শারীরিক অবস্থার আরো অবনতি ঘটলে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হয়। সেখানে চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
অবরোধকারী শ্রমিকদের অভিযোগ, তাদের সহকর্মীর মৃত্যুর জন্য মালিকপক্ষ দায়ী। রিনা অসুস্থ হওয়া সত্ত্বেও তাকে ছুটি দেওয়া হয়নি। চিকিৎসার অভাবে মারা গেছেন তিনি।
লারিজ ফ্যাশনের মালিকপক্ষ ও কর্মকর্তাদেরকে গ্রেপ্তার করার দাবি জানিয়েছেন শ্রমিকরা।
এ বিষয়ে জানতে যোগাযোগ করা হলে লারিজ ফ্যাশন কোম্পানির প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা (সিইও) শিমুল বলেছেন, আমাদের একজন শ্রমিক অসুস্থ হয়ে পড়লে তাৎক্ষণিকভাবে তাকে স্থানীয় একটি হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানে তার শারীরিক অবস্থার অবনতি ঘটলে ঢাকা মেডিকেল কলেজে হাসপাতালে নিয়ে গেলে সেখানে মৃত্যু হয়। এতে আমাদের কোনো গাফিলতি নেই। আমরা আমাদের সর্বাত্মক চেষ্টা করেছি।
কাঁচপুর হাইওয়ে থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আব্দুল কাদের জিলানী বলেছেন, সহকর্মীর মৃত্যুর জন্য গার্মেন্টস মালিকপক্ষ দায়ী, এমন অভিযোগ করে শ্রমিকরা আন্দোলনে নেমেছেন। আমরা তাদের সঙ্গে কথা বলার চেষ্টা করছি। ঘটনাস্থলে থানা পুলিশের সঙ্গে হাইওয়ে ও ইন্ডাস্ট্রিয়াল পুলিশও আছে। শ্রমিকরা রাস্তা থেকে সরে গেছেন। যানচলাচল স্বাভাবিক হয়েছে।
ঢাকা/অনিক/রফিক