সাবেক স্ত্রীর নতুন স্বামীকে কুপিয়ে হত্যা, অভিযুক্ত প্রথম স্বামী পলাতক
Published: 2nd, August 2025 GMT
খুলনার দিঘলিয়া উপজেলার নন্দন প্রতাপ গ্রামে এক ভ্যানচালককে কুপিয়ে হত্যার অভিযোগ উঠেছে তাঁর স্ত্রীর সাবেক স্বামীর বিরুদ্ধে। নিহত ব্যক্তির নাম আলামিন শিকদার (৩৩)। তিনি ওই গ্রামের কাওসার শিকদারের ছেলে।
পুলিশ ও স্থানীয় লোকজনের ভাষ্য, ঝিনাইদহের বাসিন্দা আসাদুল ইসলাম আজ শনিবার ভোর সাড়ে পাঁচটার দিকে আলামিনের বাড়িতে ঢুকে পড়েন। এরপর ধারালো অস্ত্র দিয়ে এলোপাতাড়ি কুপিয়ে জখম করেন। পরে আসাদুল পালিয়ে যান। খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য খুলনা মেডিকেল কলেজের মর্গে পাঠায়।
পুলিশ বলছে, ঘটনার পর থেকে অভিযুক্ত আসাদুল পলাতক। তাঁকে ধরতে অভিযান চলছে।
দিঘলিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা এইচ এম শাহীন প্রথম আলোকে বলেন, আলামিন ও তাঁর স্ত্রী দুজনেরই বাবার বাড়ি দিঘলিয়া উপজেলায়। ঝিনাইদহের বাসিন্দা আসাদুল ওই নারীর প্রথম স্বামী। আলামিনের সঙ্গে ওই নারীর ঘনিষ্ঠতা নিয়ে আসাদুলের আগে থেকেই সন্দেহ ছিল। এ নিয়ে পারিবারিক কলহ হতো। একপর্যায়ে আসাদুলকে তালাক দিয়ে ওই নারী আলামিনকে বিয়ে করেন। এ নিয়ে আসাদুলের মধ্যে ক্ষোভ তৈরি হয়। ধারণা করা হচ্ছে, সেই রাগ থেকেই তিনি হত্যাকাণ্ড ঘটিয়েছেন।
.উৎস: Prothomalo
এছাড়াও পড়ুন:
ঢাকার তেজগাঁওয়ে ট্রাকের ধাক্কায় মোটরসাইকেল আরোহী নিহত
রাজধানীর তেজগাঁও শিল্পাঞ্চল এলাকায় ট্রাকের ধাক্কায় এক মোটরসাইকেল আরোহী নিহত হয়েছেন।
গতকাল রোববার দিবাগত রাত সাড়ে ১২টার দিকে তেজগাঁও সাউদার্ন পাম্পের পাশে সড়কে এ দুর্ঘটনা ঘটে বলে পুলিশ জানিয়েছে।
নিহত খন্দকার সাইদুর রহমান (৩৮) পেশায় মার্চেন্ডাইজার ছিলেন। তাঁর বাড়ি ঢাকার পল্লবীর বাউনিয়ার আলাবদিরটেক এলাকায়। তাঁর বাবার নাম খন্দকার মোফাজ্জল হায়দার।
মৃতের ভাই মোস্তাফিজুর রহমান জানান, রাতে সাইদুর মোটরসাইকেল চালিয়ে যাচ্ছিলেন। পথে একটি ট্রাকের ধাক্কায় তিনি গুরুতর আহত হন। পথচারীরা তাঁকে উদ্ধার করে ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।
মোটরসাইকেলে সাইদুরের সঙ্গে তাঁর এক সহকর্মীও ছিলেন। তবে তিনি অল্পের জন্য প্রাণে বেঁচে যান বলে তেজগাঁও শিল্পাঞ্চল থানার উপপরিদর্শক (এসআই) আবদুল্লাহ আল মারুফ জানিয়েছেন।
আবদুল্লাহ আল মারুফ বলেন, যে ট্রাকটি সাইদুরের মোটরসাইকেলে ধাক্কা দিয়েছিল, তা আটক করা হয়েছে, তবে এর চালক পালিয়ে গেছেন।
পরিবারের লিখিত আবেদনের ভিত্তিতে ময়নাতদন্ত ছাড়াই সাইদুরের মরদেহ তাদের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে বলে জানান পুলিশ কর্মকর্তা আল মারুফ।