সেদিনের অনুভূতিটা আজও ভুলতে পারেননি জিমি
Published: 4th, August 2025 GMT
৯ আগস্ট সিটি গ্রুপ–প্রথম আলো ক্রীড়া পুরস্কার ২০২৪ অনুষ্ঠান। এ উপলক্ষ্যে লিখেছেন ২০০৪ সালে প্রথম আসরে সেরা উদীয়মান হওয়া রাসেল মাহমুদ জিমি।
প্রথম আলোর ক্রীড়া পুরস্কারে বর্ষসেরা উদীয়মান খেলোয়াড় হিসেবে যখন নাম ডাকা হলো, বিশ্বাসই করতে পারিনি। সেটি ২০ বছর আগের কথা। আমার ক্যারিয়ার মাত্রই শুরু হয়েছে। পুরস্কার পাওয়ার কথা কল্পনাও করিনি। সেদিনের অনুভূতিটা আজও ভুলতে পারিনি। বিস্ময়ের সঙ্গে ভেতরে জন্ম নিল এক দায়বোধ, এই পুরস্কারের মর্যাদা আমাকে রাখতে হবে।
উদীয়মানের পুরস্কার পাওয়া মানে ভবিষ্যতে নিজেকে প্রমাণ করতে হবে। আয়োজকেরা যে ভুল করেননি, তা বুঝিয়ে দিতে হবে। প্রথম আলোর ক্রীড়া পুরস্কারে ২০১২ সালের রানারআপ হতে পেরেছিলাম। তার মানে বর্ষসেরা উদীয়মান হওয়ার পরের আট বছর ধারাবাহিকভাবে ভালো খেলে আবার পুরস্কারের মঞ্চে উঠেছি। সেদিন মনে হয়েছিল, আমি দায়িত্বটা পালন করতে পেরেছি। সেই ভাবনা আজও গর্বিত করে।
হকিতে আমিই প্রথম আলোর ক্রীড়া পুরস্কার পাওয়া একমাত্র খেলোয়াড়। একদিকে বিষয়টি অবাক করে, অন্যদিকে গর্বও হয়। কিন্তু আমি চাই, এখানে থেমে না থাকুক আমাদের হকি। আরও খেলোয়াড় আসুক, পুরস্কার পাক।
প্রথম আলোর এই পুরস্কারকে আমি সব সময় উঁচু মর্যাদায় রাখি। অন্য পুরস্কারগুলো আলাদা আলাদা খেলার জন্য আলাদা করে দেওয়া। কিন্তু প্রথম আলোর পুরস্কার সব খেলাকে একসঙ্গে বিবেচনায় এনে অনেক যাচাই-বাছাইয়ের মধ্য দিয়ে দেওয়া হয়। এ কারণেই এ পুরস্কারটি আমার কাছে বিশেষ সম্মানের।
* রাসেল মাহমুদ জিমি: প্রথম আলো ক্রীড়া পুরস্কারের প্রথম বর্ষসেরা উদীয়মান খেলোয়াড়।
.উৎস: Prothomalo
কীওয়ার্ড: প রথম আল র প রস ক র প
এছাড়াও পড়ুন:
কৃষকদের পর্যাপ্ত সহায়তা না দিলে কৃষি উৎপাদন ও বাজারব্যবস্থা ক্ষতিগ্রস্ত হবে: গভর্নর
বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর আহসান এইচ মনসুর বলেছেন, কৃষিঋণ শুধু কৃষকদের উৎপাদনই বাড়ায় না, এটি গ্রামীণ উন্নয়ন ও ঋণগ্রহীতাদের জীবনযাত্রার মানোন্নয়নেরও অন্যতম কার্যকর সমাধান। বাংলাদেশ যতটুকু এগিয়েছে, কৃষির হাত ধরেই এগিয়েছে। ভবিষ্যতেও বাংলাদেশের উন্নতি হতে পারে কৃষির মাধ্যমেই।
গতকাল বৃহস্পতিবার কক্সবাজারের একটি হোটেলে ইউনাইটেড কমার্শিয়াল ব্যাংক (ইউসিবি) আয়োজিত ‘কৃষি উদ্যোক্তা সমাবেশ ও দক্ষতা উন্নয়ন প্রশিক্ষণ’ শীর্ষক এক অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এ কথা বলেন গভর্নর আহসান এইচ মনসুর। তিনি বলেন, ‘কৃষি শুধু কৃষকের জীবিকা নয়, এটি পুরো জাতির খাদ্যনিরাপত্তা ও অর্থনীতির মেরুদণ্ড। তাই কৃষি উদ্যোক্তাদের সহায়তা ও সহজ শর্তে ঋণপ্রাপ্তি নিশ্চিত করাই আমাদের প্রধান লক্ষ্য। আমরা চাই, প্রকৃত কৃষকের হাতে কৃষিঋণ পৌঁছাক, ব্যাংকিং সেবা সহজ হোক এবং ডিজিটাল ব্যাংকিংয়ের মাধ্যমে কৃষকেরা আরও সুবিধা পান।’
ইউসিবি এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানিয়েছে। এতে বলা হয়, দিনব্যাপী এ অনুষ্ঠানে কক্সবাজার জেলার প্রায় তিন শ কৃষি উদ্যোক্তা অংশ নেন। অনুষ্ঠানে ইউসিবির চেয়ারম্যান শরীফ জহীর, ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) ও সিইও মোহাম্মদ মামদুদুর রশীদ, অতিরিক্ত এমডি নাবিল মোস্তাফিজুর রহমান; বাংলাদেশ ব্যাংকের চট্টগ্রাম কার্যালয়ের নির্বাহী পরিচালক মো. মকবুল হোসেন; কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপপরিচালক বিমল কুমার প্রামাণিক; জেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা এ এম খালেকুজ্জামান; জেলা মৎস্য কর্মকর্তা মো. নাজমুল হুদা; বিটিভির মাটি ও মানুষ অনুষ্ঠানের উপস্থাপক রেজাউল করিম সিদ্দিক প্রমুখ।
আহসান এইচ মনসুর সতর্ক করে দিয়ে বলেন, কৃষকদের পর্যাপ্ত সহায়তা না দিলে কৃষিপণ্য উৎপাদন ও বাজারব্যবস্থা ক্ষতিগ্রস্ত হবে। তাই কৃষি উদ্যোক্তাদের জন্য পর্যাপ্ত সহায়তা ও ঋণপ্রাপ্তি নিশ্চিত করা জরুরি, যা গ্রামীণ অর্থনীতিকে শক্তিশালী করবে।
অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথির বক্তব্যে ইউসিবির চেয়ারম্যান শরীফ জহীর বলেন, ‘আমরা দেশের সমৃদ্ধ ভবিষ্যতের জন্য কৃষির টেকসই উন্নয়ন ও কৃষি উদ্যোক্তাদের স্বাবলম্বী করতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। আমাদের বিশ্বাস, এ ধরনের প্রশিক্ষণ কর্মসূচি কৃষি উদ্যোক্তাদের জন্য আর্থিক সক্ষমতা বাড়াতে সাহায্য করবে।’
ইউসিবির এমডি ও সিইও মোহাম্মদ মামদুদুর রশীদ বলেন, ‘আমরা শুধু ঋণ দিয়ে দায়িত্ব শেষ করছি না। আমরা চাই উদ্যোক্তারা প্রশিক্ষণ নিয়ে সফল ও আত্মনির্ভরশীল হোক এবং দেশের অর্থনীতিতে অবদান রাখুক।’
প্রশিক্ষণে অংশগ্রহণকারী উদ্যোক্তারা জানান, সফল উদ্যোক্তা হতে হলে বাজার বিশ্লেষণ, ব্যবসা পরিকল্পনা, প্রযুক্তি ব্যবহারের কৌশল এবং আর্থিক ব্যবস্থাপনা সম্পর্কে সুনির্দিষ্ট জ্ঞান থাকা জরুরি। এ ছাড়া তাঁরা ব্যাংকের সঙ্গে সুসম্পর্ক তৈরি করা এবং আর্থিক সহায়তা পাওয়ার সুযোগগুলো কাজে লাগানোর বিষয়েও হাতে-কলমে নির্দেশনা পেয়েছেন এ প্রশিক্ষণ থেকে। অংশগ্রহণকারীরা অনেকেই বললেন, এর আগে ইউসিবির সহায়তায় তারা আধুনিক বীজ, সার কিংবা কৃষি যন্ত্রপাতি পেয়েছেন। তবে সরাসরি প্রশিক্ষণ পেয়ে এবার তারা আরও আত্মবিশ্বাসী।
সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, ‘ভরসার নতুন জানালা’ নামে ইউসিবির একটি অ্যাগ্রো সিএসআর প্রকল্প রয়েছে। এর মাধ্যমে সারা দেশে ৬৪ জেলায় প্রায় ১৪ হাজার কৃষককে ‘কৃষি উদ্যোক্তা দক্ষতা উন্নয়ন প্রশিক্ষণ’ দেওয়া হয়েছে। এ ছাড়া দেশের ৫০টি মডেল উপজেলার ৩ হাজার কৃষককে নিবিড় সহায়তা প্রদান করেছে ইউসিবি।