কেরানীগঞ্জে যুবদল নেতার হাতের রগ কাটা লাশ উদ্ধার
Published: 4th, August 2025 GMT
ঢাকার কেরানীগঞ্জে ডান হাতের রগ কাটা অবস্থায় সাইদুল ইসলাম (২৫) নামের এক যুবদল নেতার লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ। সাইদুল ইসলাম কেরানীগঞ্জ মডেল থানাধীন রোহিতপুর ইউনিয়নের ধর্মসূর এলাকার বাসিন্দা আনোয়ার হোসেনের ছেলে। তিনি পেশায় রাজমিস্ত্রি ছিলেন। তিনি রোহিতপুর ইউনিয়নের ২ নম্বর ওয়ার্ড যুবদলের প্রচার সম্পাদক ছিলেন।
আজ সোমবার সকালে দক্ষিণ কেরানীগঞ্জ থানাধীন তেঘরিয়া বাসস্ট্যান্ডের পাশের আলফা গলি সড়ক এলাকা থেকে সাইদুলের লাশ উদ্ধার করা হয়। সুরতহাল শেষে লাশ ময়নাতদন্তের জন্য স্যার সলিমুল্লাহ মেডিকেল কলেজ মিটফোর্ড হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে।
সাইদুলের মামা ইব্রাহিম হোসেন সাংবাদিকদের বলেন, ‘আমার ভাগনে সাইদুল রাজমিস্ত্রির কাজ করত। বর্তমানে কাজ না থাকায় গত দুই দিন ধরে ব্যাটারিচালিত অটোরিকশা চালাচ্ছিল। গতকাল সকালে সে অটোরিকশা নিয়ে বাসা থেকে বের হয়। এর পর থেকে সে নিখোঁজ ছিল। সারা দিন খোঁজাখুঁজি করে তার সন্ধান না পেয়ে রাতে কেরানীগঞ্জ মডেল থানায় একটি জিডি করেছি। আজ সকালে লোকমুখে শুনে সেখানে গিয়ে দেখি ভাগনের রগ কাটা লাশ পড়ে আছে। কে বা কারা তাকে হত্যা করেছে, জানি না। আমি হত্যাকারীদের ফাঁসি চাই।’
লাশের সুরতহাল প্রতিবেদন তৈরি করেন দক্ষিণ কেরানীগঞ্জ থানার উপপরিদর্শক (এসআই) মহররম আলী। তিনি জানান, ডান হাতের রগ কাটা ছাড়া শরীরের আর কোনো জায়গায় আঘাতের চিহ্ন পাওয়া যায়নি। প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে, অতিরিক্ত রক্তক্ষরণের কারণে তাঁর মৃত্যু হয়েছে। ময়নাতদন্ত প্রতিবেদনে মৃত্যুর প্রকৃত কারণ জানা যাবে।
দক্ষিণ কেরানীগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা সৈয়দ আকতার হোসেন বলেন, খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে লাশ উদ্ধার করে। তবে তাঁর অটোরিকশাটি এখনো খুঁজে পাওয়া যায়নি। কী কারণে কে বা কারা তাঁকে হত্যা করেছে, সেটি তদন্ত করে দেখা হচ্ছে। এ ঘটনায় মামলা প্রক্রিয়াধীন।
.উৎস: Prothomalo
কীওয়ার্ড: র রগ ক ট
এছাড়াও পড়ুন:
প্রাথমিকে সংগীত ও শারীরিক শিক্ষার শিক্ষক নিয়োগের সুযোগ বাদ
দুই মাসের মধ্যে ‘সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় শিক্ষক নিয়োগ বিধিমালা’ পরিবর্তন করল সরকার। সংশোধিত বিধিমালায় সংগীত ও শারীরিক শিক্ষা বিষয়ে শিক্ষক নিয়োগের সুযোগ বাদ দেওয়া হয়েছে। গতকাল রোববার সংশোধিত বিধিমালা গেজেটে প্রকাশ করেছে প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়।
এর আগে গত ২৮ আগস্ট ‘সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় শিক্ষক নিয়োগ বিধিমালা, ২০২৫’ -এর প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়েছিল। এতে অন্যান্য বিষয়বস্তুর পাশাপাশি সংগীত ও শারীরিক শিক্ষা বিষয়ে শিক্ষক নিয়োগের সুযোগ রাখা হয়েছিল।
এরপর ধর্মভিত্তিক বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নেতারা বিভিন্ন সভা, সেমিনার, বিক্ষোভ সমাবেশে সংগীত শিক্ষকের বদলে ধর্ম শিক্ষক নিয়োগ দেওয়ার দাবি করেন। সংগীত শিক্ষক নিয়োগ বাতিল করা না হলে তাঁরা আন্দোলনেরও হুমকি দেন।
আরও পড়ুনপ্রাথমিকে কেন সংগীত শিক্ষক, বিরোধিতায় কারা, কী বলছেন শিক্ষকেরা২৯ সেপ্টেম্বর ২০২৫গত আগস্টে জারি করা বিধিমালায় চার ধরনের শিক্ষকের কথা বলা ছিল। সেগুলো ছিল প্রধানশিক্ষক, সহকারী শিক্ষক, সহকারী শিক্ষক (সংগীত) ও সহকারী শিক্ষক (শারীরিক শিক্ষা)। সংশোধিত বিধিমালায় কেবল প্রধান শিক্ষক ও সহকারী শিক্ষকের কথা বলা হয়েছে।