প্রিমিয়ার লিগের নতুন মৌসুমে প্রথম জয়ের দেখা পেতে এখনও অপেক্ষায় রইলো ম্যানচেস্টার ইউনাইটেড। আর্সেনালের কাছে হারার পর এবার ফুলহ্যামের মাঠেও জয় তুলে নিতে ব্যর্থ হলো তারা। রবিবার রাতে ক্রাভেন কটেজে ১-১ গোলে ড্র করেছে রুবেন আমোরিমের শিষ্যরা।

ম্যাচের শুরুটা মোটামুটি সমান তালে চললেও প্রথমার্ধে লিড নেয়ার সুবর্ণ সুযোগ পেয়েছিল রেড ডেভিলস। পেনাল্টি থেকে গোল করার সামনে দাঁড়িয়ে ছিলেন অধিনায়ক ব্রুনো ফার্নান্দেস। কিন্তু বল উড়িয়ে মারায় হাতছাড়া হয় সহজ সুযোগটি।

আরো পড়ুন:

নেপালকে হারিয়ে ঘুরে দাঁড়াল বাংলাদেশের মেয়েরা

চার ক্লাবে শত গোলের অবিশ্বাস্য রেকর্ড রোনালদোর

দ্বিতীয়ার্ধে ভাগ্যের জোরে এগিয়ে যায় ম্যানইউ। লেনি ইয়োরোর ক্রসে ফুলহ্যামের ব্রাজিলিয়ান ফরোয়ার্ড রদ্রিগো মুনিজের গায়ে লেগে আত্মঘাতী গোলের মাধ্যমে এগিয়ে যায় অতিথিরা। তবে সেই আনন্দ বেশিক্ষণ স্থায়ী হয়নি। মাত্র ১৫ মিনিট পর অ্যালেক্স আইওবির ক্রস থেকে বদলি খেলোয়াড় এমিল স্মিথ রো সমতায় ফেরান ফুলহ্যামকে।

শেষ দিকে আক্রমণ বাড়াতে বেঞ্জামিন সেসকো, ম্যাথিউস কুনহা ও ব্রায়ান এমবেউমোকে নামালেও কাঙ্ক্ষিত গোল পায়নি ইউনাইটেড। মাউন্টের পাস থেকে কুনহার শট পোস্টে লেগে ফিরে আসে, আর হ্যারি ম্যাগুইরের হেড সামান্য বাইরে চলে যায়। ফলে জয়বঞ্চিত হয়ে হতাশাই সঙ্গী হলো রেড ডেভিলসের।

ফুলহ্যাম অবশ্য খালি হাতে ফেরেনি। টানা আট ম্যাচ পর ঘরের মাঠে ম্যানইউর বিপক্ষে পয়েন্ট তুলে নিয়ে সমর্থকদের মুখে হাসি ফোটাল তারা। অন্যদিকে ব্রুনো ফার্নান্দেসের সেই মিস করা পেনাল্টিই হয়ে রইলো ম্যাচের সবচেয়ে বড় আক্ষেপ।

ঢাকা/আমিনুল

.

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর ফ টবল ফ লহ য ম

এছাড়াও পড়ুন:

ছুটি না পেয়ে অসুস্থ শ্রমিকের মৃত্যু, মহাসড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ 

নারায়ণগঞ্জের বন্দরের মদনপুর এলাকায় লারিজ ফ্যাশনের পোশাক কারখানায় অসুস্থ হয়ে রিনা আক্তার (৩২) নামের এক শ্রমিকের মৃত্যুর প্রতিবাদে বিক্ষোভ করেছেন শ্রমিকরা। 

সোমবার (৩ নভেম্বর) সকালে তারা মদনপুরে ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়ক অবরোধ করেন। খবর পেয়ে থানা পুলিশের সঙ্গে হাইওয়ে ও ইন্ডাস্ট্রিয়াল পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। 

প্রত্যক্ষদর্শী ও শ্রমিকরা জানিয়েছেন, রিনা আক্তার অসুস্থ অবস্থায় কারখানায় কাজ করছিলেন। রোববার তিনি বেশি অসুস্থতা অনুভব করলে ছুটি চেয়ে আবেদন করেন। তবে, কর্তৃপক্ষ ওই শ্রমিকের আবেদনে সাড়া না দিয়ে কাজ করতে বাধ্য করেন। ওই নারী গুরুতর অসুস্থ হয়ে ফ্লোরে লুটিয়ে পড়লে তাৎক্ষণিকভাবে সহকর্মীরা স্থানীয় একটি হাসপাতালে নিয়ে যান। সেখানে তার শারীরিক অবস্থার আরো অবনতি ঘটলে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হয়। সেখানে চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।

অবরোধকারী শ্রমিকদের অভিযোগ, তাদের সহকর্মীর মৃত্যুর জন্য মালিকপক্ষ দায়ী। রিনা অসুস্থ হওয়া সত্ত্বেও তাকে ছুটি দেওয়া হয়নি। চিকিৎসার অভাবে মারা গেছেন তিনি। 

লারিজ ফ্যাশনের মালিকপক্ষ ও কর্মকর্তাদেরকে গ্রেপ্তার করার দাবি জানিয়েছেন শ্রমিকরা।

এ বিষয়ে জানতে যোগাযোগ করা হলে লারিজ ফ্যাশন কোম্পানির প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা (সিইও) শিমুল বলেছেন, আমাদের একজন শ্রমিক অসুস্থ হয়ে পড়লে তাৎক্ষণিকভাবে তাকে স্থানীয় একটি হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানে তার শারীরিক অবস্থার অবনতি ঘটলে ঢাকা মেডিকেল কলেজে হাসপাতালে নিয়ে গেলে সেখানে মৃত্যু হয়। এতে আমাদের কোনো গাফিলতি নেই। আমরা আমাদের সর্বাত্মক চেষ্টা করেছি।

কাঁচপুর হাইওয়ে থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আব্দুল কাদের জিলানী বলেছেন, সহকর্মীর মৃত্যুর জন্য গার্মেন্টস মালিকপক্ষ দায়ী, এমন অভিযোগ করে শ্রমিকরা আন্দোলনে নেমেছেন। আমরা তাদের সঙ্গে কথা বলার চেষ্টা করছি। ঘটনাস্থলে থানা পুলিশের সঙ্গে হাইওয়ে ও ইন্ডাস্ট্রিয়াল পুলিশও আছে। শ্রমিকরা রাস্তা থেকে সরে গেছেন। যানচলাচল স্বাভাবিক হয়েছে।

ঢাকা/অনিক/রফিক

সম্পর্কিত নিবন্ধ