বলিউড অভিনেত্রী পরিণীতি চোপড়া। নানা জল্পনা-কল্পনার অবসান ঘটিয়ে ২০২৩ সালের ২৪ সেপ্টেম্বর প্রেমিক রাঘব চাড্ডার সঙ্গে সাতপাকে বাঁধা পড়েন তিনি। এর কয়েক মাস পরই গুঞ্জন চাউর হয়, মা হতে যাচ্ছেন পরিণীতি চোপড়া। যদিও তা গুঞ্জনেই সীমাবদ্ধ ছিল।
অবশেষে গুঞ্জনই সত্যি হয়ে ধরা দিল। মা হতে যাওয়ার ঘোষণা দিলেন পরিণীতি চোপড়া। সোমবার (২৫ আগস্ট) দুপুরে ইনস্টাগ্রামে একটি স্থিরচিত্র ও ভিডিও পোস্ট করেছেন পরিণীতি। ভিডিওতে দেখা যায়, হাতে হাত রেখে হেঁটে যাচ্ছেন পরিণীতি-রাঘব। ছবিটিতে দেখা যায়, ছোট্ট দুটো পায়ের চিহ্ন এবং ১+১=৩ লেখা।
আরো পড়ুন:
‘চুল কাটতে গিয়ে সালমানের কান কেটে ফেলেছিলাম’
গোবিন্দর ডিভোর্স নিয়ে মুখ খুললেন কন্যা টিনা
এই পোস্টের ক্যাপশনে পরিণীতি চোপড়া লেখেছেন, “আমাদের ছোট্ট পৃথিবী… তার নিজস্ব পথে এগোচ্ছে। আমরা অপরিসীম আশীর্বাদে ধন্য।” তবে এ পোস্টের কমেন্ট বক্স শুভেচ্ছা বার্তায় ভরে গেছে। সোনম কাপুর, ভূমি পেডনেকার, হুমা কুরেশি, নেহা ধুপিয়াসহ অনেক তারকাই পরিণীতিকে অভিবাদন জানিয়েছেন।
২০২৩ সালের ২৪ সেপ্টেম্বর গোধূলি লগ্নে পাঞ্জাবি রীতি মেনে উদয়পুরে রাজকীয় আয়োজনে বিয়ের আনুষ্ঠানিকতা সম্পন্ন করেন পরিণীতি-রাঘব চাড্ডা। পরিণীতির বর আম আদমি পার্টির নেতা ও সংসদ সদস্য। স্বাভাবিক কারণে এ যুগলের বিয়ের অনুষ্ঠান নিয়ে দীর্ঘদিন চর্চা হয়েছে।
পরিণীতি চোপড়া অভিনীত সর্বশেষ মুক্তিপ্রাপ্ত সিনেমা ‘চমকিলা’। গত বছরের ৮ এপ্রিল মুক্তি পায় এটি। ১৯৮৯ সালে একটি কয়লা খনিতে সংঘটিত ভয়াবহ দুর্ঘটনা নিয়ে এ সিনেমার কাহিনি। খনিতে আটকে পড়া ৭১ জন শ্রমিকের প্রাণ বাঁচিয়ে ইঞ্জিনিয়ার যশবন্ত গিল যে সাহসিকতার নজির গড়েছিলেন, সে ঘটনাকে কেন্দ্র করেই এগিয়েছে সিনেমাটির গল্প।
নাম ঠিক না হওয়া একটি সিনেমার কাজ শেষ করেছেন পরিণীতি চোপড়া। তাছাড়া ওটিটি প্ল্যাটফর্ম নেটপ্লিক্সের একটি সিরিজের কাজও শেষ করেছেন এই অভিনেত্রী।
ঢাকা/শান্ত
.উৎস: Risingbd
কীওয়ার্ড: চ কর চ কর চলচ চ ত র ছ ন পর ণ ত
এছাড়াও পড়ুন:
সুদানে কারা গণহত্যা চালাচ্ছে, আরব আমিরাতের ভূমিকা কী
২০২৩ সালের এপ্রিল মাসে সুদান এক ভয়াবহ গৃহযুদ্ধের মধ্যে পড়ে। ক্ষমতার নিয়ন্ত্রণ নিতে দেশটির সামরিক বাহিনী এবং শক্তিশালী আধা সামরিক গোষ্ঠী র্যাপিড সাপোর্ট ফোর্সেসের (আরএসএফ) মধ্যে শুরু হওয়া তীব্র লড়াই থেকে এই গৃহযুদ্ধ শুরু হয়। এই যুদ্ধে পশ্চিম দারফুর অঞ্চলে দুর্ভিক্ষ সৃষ্টি হয় এবং সেখানে গণহত্যা সংঘটিত হওয়ার অভিযোগও ওঠে।
সম্প্রতি আরএসএফ এল-ফাশের শহরটি দখল করার পর এর বাসিন্দাদের নিয়ে বড় ধরনের উদ্বেগ তৈরি হয়েছে। এই সংঘাতে এখন পর্যন্ত সারা দেশে দেড় লাখের বেশি মানুষ মারা গেছেন এবং প্রায় ১ কোটি ২০ লাখ মানুষ নিজেদের ঘরবাড়ি ছেড়ে পালিয়েছেন। জাতিসংঘ এটিকে বিশ্বের বৃহত্তম মানবিক সংকট বলে অভিহিত করেছে।
পাল্টাপাল্টি অভ্যুত্থান ও সংঘাতের শুরু১৯৮৯ সালের সামরিক অভ্যুত্থানের মাধ্যমে ক্ষমতায় আসা দীর্ঘদিনের প্রেসিডেন্ট ওমর আল-বশিরকে ২০১৯ সালে ক্ষমতাচ্যুত করার পর থেকেই দফায় দফায় যে উত্তেজনা চলছিল, তার সর্বশেষ পরিস্থিতি হচ্ছে বর্তমান গৃহযুদ্ধ।
বশিরের প্রায় তিন দশকের শাসনের অবসানের দাবিতে বিশাল জনবিক্ষোভ হয়েছিল। তারই প্রেক্ষিতে তাঁকে ক্ষমতা থেকে সরিয়ে দেয় সেনাবাহিনী। কিন্তু দেশটির মানুষ গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠার জন্য আন্দোলন চালিয়ে যায়। যার পরিপ্রেক্ষিতে একটি যৌথ সামরিক-বেসামরিক সরকার গঠিত হয়। কিন্তু ২০২১ সালের অক্টোবর মাসে আরও একটি সামরিক অভ্যুত্থানের মাধ্যমে সরকারটিকে উৎখাত করা হয়। এই অভ্যুত্থানের কেন্দ্রে ছিলেন সশস্ত্র বাহিনীর প্রধান ও দেশটির কার্যত প্রেসিডেন্ট জেনারেল আবদেল ফাত্তাহ আল-বুরহান এবং তাঁর ডেপুটি ও আরএসএফ নেতা জেনারেল মোহাম্মদ হামদান দাগালো।
এই দুই জেনারেল দেশের ভবিষ্যৎ নির্ধারণ ও বেসামরিক শাসনে ফিরে যাওয়া নিয়ে প্রস্তাবিত পদক্ষেপে একমত হতে পারেননি। তাঁদের মধ্যে মূল বিরোধের বিষয় ছিল প্রায় এক লাখ সদস্যের আরএসএফ-কে সেনাবাহিনীর সঙ্গে একীভূত করার পরিকল্পনা এবং নতুন এই যৌথ বাহিনীর নেতৃত্ব নিয়ে। ধারণা করা হয়, দুজন জেনারেলই তাঁদের ক্ষমতা, সম্পদ ও প্রভাব ধরে রাখতে চেয়েছিলেন।
আরএসএফ সদস্যদের দেশের বিভিন্ন স্থানে মোতায়েন করা হলে সেনাবাহিনী বিষয়টিকে নিজেদের জন্য হুমকি হিসেবে দেখে। এ নিয়ে ২০২৩ সালের ১৫ এপ্রিল দুই পক্ষের মধ্যে গোলাগুলি শুরু হয়। সেই লড়াই দ্রুত তীব্র আকার ধারণ করে এবং আরএসএফ খার্তুমের বেশির ভাগ অংশ দখল করে নেয়। যদিও প্রায় দুই বছর পর সেনাবাহিনী খার্তুমের নিয়ন্ত্রণ ফিরে পায়।
জেনারেল আবদেল ফাত্তাহ আল-বুরহান (বামে) এবং আরএসএফ নেতা জেনারেল মোহাম্মদ হামদান দাগালো (ডানে)