তিন দাবিতে শাহবাগে প্রকৌশলের শিক্ষার্থীরা, যান চলাচল বন্ধ
Published: 27th, August 2025 GMT
তিন দফা দাবি আদায়ে ঢাকার শাহবাগ মোড়ে সড়ক অবরোধ করেছেন বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়সহ (বুয়েট) বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের প্রকৌশলের শিক্ষার্থীরা।
বুধবার (২৭ আগস্ট) বেলা সাড়ে ১১টার দিকে পূর্বঘোষিত ‘লং মার্চ টু ঢাকা’ কর্মসূচিতে অংশ নেন তারা। এতে চট্টগ্রাম প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় (চুয়েট), খুলনা প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় (কুয়েট), রাজশাহী প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়সহ (রুয়েট) বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের প্রকৌশলের শিক্ষার্থীরা অংশ নিয়েছেন। ফলে ওই এলাকায় যান চলাচল বন্ধ রয়েছে। তীব্র যানজট সৃষ্টি হয়েছে আশপাশ এলাকায়।
আরো পড়ুন:
‘লংমার্চ টু ঢাকা’ ঘোষণা দিয়ে শাহবাগ ছাড়লেন বুয়েট শিক্ষার্থীরা
কুয়েট শিক্ষার্থীদের বহিষ্কারের প্রতিবাদে বুয়েটে মানববন্ধন
এর আগে মঙ্গলবার বিকালে পৌনে ৪টায় বুয়েটের প্রাক্তন শিক্ষার্থী প্রকৌশলী রোকনুজ্জামান রোকনকে ঢাকার নর্দান ইলেকট্রিসিটি সাপ্লাই (নেসকো) কার্যালয়ে হেনস্তা করা এবং তাকে হত্যার হুমকির প্রতিবাদে এবং জড়িতদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার দাবি ও তিন দফা দাবিতে শাহবাগে সড়ক অবরোধ করেন শিক্ষার্থীরা। পাঁচ ঘণ্টা অবরোধের পর ‘লং মার্চ টু ঢাকা’ কর্মসূচি ঘোষণা করে শাহবাগ ছাড়েন তারা।
প্রকৌশল অধিকার আন্দোলনের সহসভাপতি শাকিল আহমেদ বলেন, “রোকনুজ্জামান রোকনকে হত্যার হুমকি দেওয়া হয়েছে। হুমকিদাতাদের গ্রেপ্তার করে আইনের আওতায় আনতে হবে। এছাড়া, তিন দফা দাবি বাস্তবায়নের জন্য নির্বাহী আদেশের মাধ্যমে প্রজ্ঞাপন জারি করতে হবে।”
প্রকৌশলী রোকনুজ্জামান রোকন বুয়েটের ইইই-১৭ ব্যাচের শিক্ষার্থী ছিলেন।
সোমবার (২৫ আগস্ট) রাতে বুয়েট শিক্ষার্থীদের দেওয়া এক বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, নেসকো অফিসের নির্বাহী প্রকৌশলী গোলাম হোসেন (ডিপ্লোমা ব্যাকগ্রাউন্ড) তার কক্ষে রোকনুজ্জামান রোকনকে ডেকে নেন। সেখানে উপস্থিত প্রায় ২০-২৫ জন ডিপ্লোমা ব্যাকগ্রাউন্ডের কর্মকর্তা-কর্মচারী মিলে রোকনুজ্জামান রোকনকে ঘিরে ধরে অকথ্য ভাষায় গালাাগাল করেন এবং গলাকেটে হত্যার হুমকি দেন।
এই ঘটনার প্রতিবাদে আন্দোলনে নামা বুয়েট শিক্ষার্থীদের অন্য দাবিগুলোর মধ্যে রয়েছে-
১.
২. দশম গ্রেডে ১০০ শতাংশ কোটা রয়েছে ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়ারদের জন্য। এটি বাতিল করে সবার জন্য উন্মুক্ত করতে হবে।
৩. বিএসসি ডিগ্রি ছাড়া ইঞ্জিনিয়ার পদবি ব্যবহার করা যাবে না। যদি এই পদবি ব্যবহার করে, তাহলে আইনানুগ ব্যবস্থা নিতে হবে।
ঢাকা/রায়হান/ইভা
উৎস: Risingbd
কীওয়ার্ড: চ কর চ কর ব শ বব দ য শ হব গ র জন য
এছাড়াও পড়ুন:
ছুটি না পেয়ে অসুস্থ শ্রমিকের মৃত্যু, মহাসড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ
নারায়ণগঞ্জের বন্দরের মদনপুর এলাকায় লারিজ ফ্যাশনের পোশাক কারখানায় অসুস্থ হয়ে রিনা আক্তার (৩২) নামের এক শ্রমিকের মৃত্যুর প্রতিবাদে বিক্ষোভ করেছেন শ্রমিকরা।
সোমবার (৩ নভেম্বর) সকালে তারা মদনপুরে ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়ক অবরোধ করেন। খবর পেয়ে থানা পুলিশের সঙ্গে হাইওয়ে ও ইন্ডাস্ট্রিয়াল পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।
প্রত্যক্ষদর্শী ও শ্রমিকরা জানিয়েছেন, রিনা আক্তার অসুস্থ অবস্থায় কারখানায় কাজ করছিলেন। রোববার তিনি বেশি অসুস্থতা অনুভব করলে ছুটি চেয়ে আবেদন করেন। তবে, কর্তৃপক্ষ ওই শ্রমিকের আবেদনে সাড়া না দিয়ে কাজ করতে বাধ্য করেন। ওই নারী গুরুতর অসুস্থ হয়ে ফ্লোরে লুটিয়ে পড়লে তাৎক্ষণিকভাবে সহকর্মীরা স্থানীয় একটি হাসপাতালে নিয়ে যান। সেখানে তার শারীরিক অবস্থার আরো অবনতি ঘটলে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হয়। সেখানে চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
অবরোধকারী শ্রমিকদের অভিযোগ, তাদের সহকর্মীর মৃত্যুর জন্য মালিকপক্ষ দায়ী। রিনা অসুস্থ হওয়া সত্ত্বেও তাকে ছুটি দেওয়া হয়নি। চিকিৎসার অভাবে মারা গেছেন তিনি।
লারিজ ফ্যাশনের মালিকপক্ষ ও কর্মকর্তাদেরকে গ্রেপ্তার করার দাবি জানিয়েছেন শ্রমিকরা।
এ বিষয়ে জানতে যোগাযোগ করা হলে লারিজ ফ্যাশন কোম্পানির প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা (সিইও) শিমুল বলেছেন, আমাদের একজন শ্রমিক অসুস্থ হয়ে পড়লে তাৎক্ষণিকভাবে তাকে স্থানীয় একটি হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানে তার শারীরিক অবস্থার অবনতি ঘটলে ঢাকা মেডিকেল কলেজে হাসপাতালে নিয়ে গেলে সেখানে মৃত্যু হয়। এতে আমাদের কোনো গাফিলতি নেই। আমরা আমাদের সর্বাত্মক চেষ্টা করেছি।
কাঁচপুর হাইওয়ে থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আব্দুল কাদের জিলানী বলেছেন, সহকর্মীর মৃত্যুর জন্য গার্মেন্টস মালিকপক্ষ দায়ী, এমন অভিযোগ করে শ্রমিকরা আন্দোলনে নেমেছেন। আমরা তাদের সঙ্গে কথা বলার চেষ্টা করছি। ঘটনাস্থলে থানা পুলিশের সঙ্গে হাইওয়ে ও ইন্ডাস্ট্রিয়াল পুলিশও আছে। শ্রমিকরা রাস্তা থেকে সরে গেছেন। যানচলাচল স্বাভাবিক হয়েছে।
ঢাকা/অনিক/রফিক