প্রয়াত বলিউড অভিনেত্রী শ্রীদেবী ও প্রযোজক-অভিনেতা বনি কাপুর দম্পতির বড় কন্যা জাহ্নবী কাপুর। ভারতের প্রাক্তন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী সুশীল কুমার শিন্ডের নাতি শিখর পাহাড়িয়ার সঙ্গে চুটিয়ে প্রেম করছেন এই অভিনেত্রী। যদিও তারা বিয়ে করেননি। এরই মধ্যে জাহ্নবী জানালেন, ৩ সন্তানের মা হতে চান তিনি।
কপিল শর্মার ‘দ্য গ্রেট ইন্ডিয়ান কপিল শো’-তে অতিথি হিসেবে উপস্থিত হন জাহ্নবী কাপুর। সেখানেই মাতৃত্ব নিয়ে কথা বলেন জাহ্নবী। কারণ ব্যাখ্যা করে এই অভিনেত্রী বলেন, “আমার মনে হয়, ৩টি সন্তান থাকা ভালো। প্রথমত, ৩ আমার জন্য লাকি নম্বর। দ্বিতীয়ত, সবসময় ২ জনের মধ্যে ঝগড়া হয়। এমন পরিস্থিতিতে একজনের সমর্থন প্রয়োজন। বোন হোক বা ভাই (তৃতীয় সন্তান), সে যেই হোক না কেন, সে দুই নৌকায় পা দিয়ে চলবে। দুজনেই সমর্থন পাবে। আমি খুব ভেবেচিন্তে এই পরিকল্পনা করেছি।”
আরো পড়ুন:
ভাঙা প্রেমকে ‘মুছে ফেলা অধ্যায়’ বললেন শমিতা শেঠি
‘ঈশ্বরও আমাদের আলাদা করতে পারবে না, গোবিন্দ শুধুই আমার’
অন্ধ্রপ্রদেশে বিয়ে করতে চান জাহ্নবী কাপুর। এর আগে অন্য এক সাক্ষাৎকারে জাহ্নবী কাপুর বলেছিলেন, “আমি তিরুমালা তিরুপতিতে বিয়ে করে স্বামী-সন্তান নিয়ে থাকতে চাই। আমরা রোজ কলাপাতায় খাবার খাব আর গোবিন্দের নাম জপ করব। আমার চুলে মোগরা (জুঁইয়ের মালা) থাকবে এবং আমি মণি রত্নমের গান শুনব। আমি আমার স্বামীর মাথায় তেল মালিশ করে দেব।”
তিরুপতির সঙ্গে জাহ্নবী কাপুরের বিশেষ সম্পর্ক রয়েছে। প্রতি বছর শ্রীদেবীর জন্মবার্ষিকীতে সেখানে যান জাহ্নবী। ছোটবেলায় মায়ের হাত ধরে তিরুপতি যেতেন জাহ্নবী আর এখন তার সঙ্গে থাকেন প্রেমিক শিখর পাহাড়িয়া। বিয়ের বিষয়ে এখনো কোনো পরিকল্পনার কথা জানাননি এই যুগল।
‘ধড়ক’ সিনেমার মাধ্যমে ২০১৮ সালে বলিউডে পা রাখেন জাহ্নবী কাপুর। এরপর ‘রুহি’, ‘গুঞ্জন সাক্সেনা: দ্য কার্গিল গার্ল’, ‘ঘোস্ট স্টোরিজ’, ‘মিলি’সহ বেশ কিছু সিনেমায় অভিনয় করেন। তার অভিনীত সর্বশেষ মুক্তিপ্রাপ্ত সিনেমা ‘পরম সুন্দরী’। বর্তমানে জাহ্নবীর হাতে দুটি সিনেমার কাজ রয়েছে।
ঢাকা/শান্ত
.উৎস: Risingbd
কীওয়ার্ড: চ কর চ কর জ হ নব ক প র চলচ চ ত র ন জ হ নব সন ত ন
এছাড়াও পড়ুন:
ছুটি না পেয়ে অসুস্থ শ্রমিকের মৃত্যু, মহাসড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ
নারায়ণগঞ্জের বন্দরের মদনপুর এলাকায় লারিজ ফ্যাশনের পোশাক কারখানায় অসুস্থ হয়ে রিনা আক্তার (৩২) নামের এক শ্রমিকের মৃত্যুর প্রতিবাদে বিক্ষোভ করেছেন শ্রমিকরা।
সোমবার (৩ নভেম্বর) সকালে তারা মদনপুরে ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়ক অবরোধ করেন। খবর পেয়ে থানা পুলিশের সঙ্গে হাইওয়ে ও ইন্ডাস্ট্রিয়াল পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।
প্রত্যক্ষদর্শী ও শ্রমিকরা জানিয়েছেন, রিনা আক্তার অসুস্থ অবস্থায় কারখানায় কাজ করছিলেন। রোববার তিনি বেশি অসুস্থতা অনুভব করলে ছুটি চেয়ে আবেদন করেন। তবে, কর্তৃপক্ষ ওই শ্রমিকের আবেদনে সাড়া না দিয়ে কাজ করতে বাধ্য করেন। ওই নারী গুরুতর অসুস্থ হয়ে ফ্লোরে লুটিয়ে পড়লে তাৎক্ষণিকভাবে সহকর্মীরা স্থানীয় একটি হাসপাতালে নিয়ে যান। সেখানে তার শারীরিক অবস্থার আরো অবনতি ঘটলে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হয়। সেখানে চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
অবরোধকারী শ্রমিকদের অভিযোগ, তাদের সহকর্মীর মৃত্যুর জন্য মালিকপক্ষ দায়ী। রিনা অসুস্থ হওয়া সত্ত্বেও তাকে ছুটি দেওয়া হয়নি। চিকিৎসার অভাবে মারা গেছেন তিনি।
লারিজ ফ্যাশনের মালিকপক্ষ ও কর্মকর্তাদেরকে গ্রেপ্তার করার দাবি জানিয়েছেন শ্রমিকরা।
এ বিষয়ে জানতে যোগাযোগ করা হলে লারিজ ফ্যাশন কোম্পানির প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা (সিইও) শিমুল বলেছেন, আমাদের একজন শ্রমিক অসুস্থ হয়ে পড়লে তাৎক্ষণিকভাবে তাকে স্থানীয় একটি হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানে তার শারীরিক অবস্থার অবনতি ঘটলে ঢাকা মেডিকেল কলেজে হাসপাতালে নিয়ে গেলে সেখানে মৃত্যু হয়। এতে আমাদের কোনো গাফিলতি নেই। আমরা আমাদের সর্বাত্মক চেষ্টা করেছি।
কাঁচপুর হাইওয়ে থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আব্দুল কাদের জিলানী বলেছেন, সহকর্মীর মৃত্যুর জন্য গার্মেন্টস মালিকপক্ষ দায়ী, এমন অভিযোগ করে শ্রমিকরা আন্দোলনে নেমেছেন। আমরা তাদের সঙ্গে কথা বলার চেষ্টা করছি। ঘটনাস্থলে থানা পুলিশের সঙ্গে হাইওয়ে ও ইন্ডাস্ট্রিয়াল পুলিশও আছে। শ্রমিকরা রাস্তা থেকে সরে গেছেন। যানচলাচল স্বাভাবিক হয়েছে।
ঢাকা/অনিক/রফিক