বন্দর উপজেলা পরিষদে চুরি ঘটনা ঘটেছে। এ ঘটনায় উপজেলা পরিষদের নিরাপত্তা প্রহরীরা চোরাইকৃত লোহার রড ও তামার তার উদ্ধারসহ ২ চোরকে আটক করে মদনগঞ্জ পুলিশে ফাঁড়িতে সোর্পদ করেছে । 

আটককৃত চোরেরা  হলো বন্দর থানার ১৯ নং ওয়ার্ডের মদনগঞ্জ  গুবুইরাপট্রি এলাকার সামছু মিয়ার ছেলে টিটু (১৯) ও একই ওয়ার্ডের মদনগঞ্জ সৈয়াল বাড়িঘাট এলাকার আব্দুল আলী মিয়ার ছেলে সিফাত (১৯)।

এ ব্যাপারে উপজেলা পরিষদের নিরাপত্তা প্রহরী মোঃ বাদল মিয়া বাদী হয়ে আটককৃত ২ চোর ও   পলাতক চোরসহ  অজ্ঞাত আসামী করে  বন্দর থানায় এ  চুরি মামলা দায়ের করেন। যার মামলা ৪৯(৮)২৫। ধৃতদের রোববার (৩১ আগস্ট) দুপুরে উল্লেখিত চুরি মামলায় আদালতে প্রেরণ করেছে পুলিশ। এর আগে গত শনিবার (৩০ আগস্ট) ভোর ৫টায় বন্দর উপজেলা প্রাঙ্গনে এ চুরি ঘটনা ঘটে।

মামলার তথ্য সূত্রে জানা গেছে, নারায়ণগঞ্জ শহরের মাসদাইর এলাকার মৃত আব্দুর রশিদ সিকদারের ছেলে বাদল মিয়া দীর্ঘদিন ধরে বন্দর উপজেলা পরিষদে নিরাপত্তা প্রহরী হিসাবে দায়িত্ব পালন করে আসছে।

চোরের দল বন্দর উপজেলা পরিষদের ভিতরে অনাধিকার ভাবে প্রবেশ করে উপজেলা প্রাঙ্গনে রক্ষিত লোহার রড ও তামার তার চুরি করে চোরাইকৃত মালামাল নিয়া পালানোর সময় সিকিউরিটি গার্ড মোঃ মোহসিনের নজরে পরে।

তার ডাক-চিৎকার করিলে আশেপাশের লোকজন এসে টিটু ও সিফাত নামে  উপরোক্ত আসামীদ্বয়কে গত শনিবার  ভোর ৫টায় বন্দর  উপজেলা পরিষদের নির্বাচন অফিসের সামনে পাকা রাস্তার উপর হইতে  এদেরকে আটক করলে ওই সময় আরো এক চোরসহ চোরের দল  চোরাইকৃত মালামাল নিয়ে পালিয়ে যায়।

পরবর্তীতে বিষয়টি  মদনগঞ্জ পুলিশ ফাঁড়ীতে সংবাদ দিলে খবর পেয়ে পুলিশ  ঘটনাস্থলে এসে ধৃত চোর টিটু হেফাজত  হেফাজত হইতে  ৮ টি লোহার রড ও তিন সুতা ২টি লোহার রড মোট ওজন অনুঃ ৮ কেজি, যার মূল্য অনুঃ ৫৬০ টাকা, এবং ২ নং আসামীর হেফাজত হইতে (খ), বিদ্যুতের তামার তার ১ ফুট যাহার ওজন অনুঃ প্লাষ্টিকের কভার সহ ১ কেজি যার মূল্য অনুঃ ৭০০ টাকা উদ্ধার করে।  
 

.

উৎস: Narayanganj Times

কীওয়ার্ড: ন র য়ণগঞ জ উপজ ল মদনগঞ জ ল হ র রড র উপজ ল

এছাড়াও পড়ুন:

জঙ্গি সন্দেহে কলকাতায় গ্রেপ্তার বাংলাদেশি যুবক

জঙ্গি সন্দেহে কলকাতা পুলিশের বিশেষ টাস্ক ফোর্সের (এসটিএফ) হাতে গ্রেপ্তার হয়েছে এক বাংলাদেশি নাগরিক। মুফতি আবদুল্লাহ আল মাসুদ নামে ওই বাংলাদেশি নাগরিককে গ্রেপ্তার করা হয় পশ্চিমবঙ্গের নদীয়া জেলার গয়েশপুর পুলিশ ফাঁড়ি এলাকা থেকে। এরপর তাকে ফাঁড়িতে নিয়ে এসে দফায় দফায় জিজ্ঞাসাবাদ চলে। বৃহস্পতিবার এই ঘটনাটি ঘটেছে। 

ভিসার মেয়াদ শেষ হয়ে যাওয়ার পরেও ভারত থেকে নিজের দেশে ফিরে যাননি মাসুদ। তিনি অবৈধভাবে পশ্চিমবঙ্গের নদীয়া জেলার কাটাগঞ্জ এলাকায় বসবাস করতেন। সম্প্রতি তার বেশ কিছু কর্মকান্ডে সন্দেহ প্রকাশ করেন স্থানীয় বাসিন্দারা। এর পরই মাসুদকে ইসলামী উগ্রপন্থী বলে দাবি করে পুলিশে অভিযোগ করা হয়। যেহেতু তার ভিসার মেয়াদ শেষ হয়ে গেছে, তাই পুলিশ তাকে একজন অবৈধ অভিবাসী হিসেবে বিবেচনা করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। ভারতীয় আইনের সংশ্লিষ্ট ধারায় তার বিরুদ্ধে মামলাও দায়ের করা হয়েছে। 

বিষয়টি সামনে আসার পরই যথেষ্ট উত্তেজনা ছড়িয়েছে। যদিও এ ব্যাপারে কলকাতা পুলিশের পক্ষে কিছুই জানানো হয়নি। 

অন্যদিকে, গত ২৪ ঘন্টায় ভারত বাংলাদেশের দিনাজপুর সীমান্ত ও ভোমরা ঘোজাডাঙা সীমান্তে এলাকায় অবৈধ অনুপ্রবেশের অভিযোগে গ্রেপ্তার হয়েছেন আরো ১১ জন বাংলাদেশি নাগরিক। 

পুলিশ ও বিএসএফের যৌথ অভিযানে পশ্চিমবঙ্গের উত্তর দিনাজপুর জেলার ইসলামপুর এলাকা থেকে গ্রেপ্তার করা হয় এক বাংলাদেশি নাগরিককে। আটককৃতে ওই ব্যক্তির নাম পঞ্চানন পাল। তিনি বাংলাদেশের ঠাকুরগাঁও জেলার বালিয়াডাঙ্গা থানার বাসিন্দা। ভারতে তিনি পরিচয় বদল করে রূপায়ণ পাল নামে বসবাস করছিলেন বলে অভিযোগ। তার কাছ থেকে বাংলাদেশি পাসপোর্ট ছাড়াও ভারতের আধার কার্ড, ভোটার কার্ড ও এমনকি ভারতীয় পাসপোর্ট পর্যন্ত উদ্ধার হয়েছে। 

একইদিনে ভারত থেকে অবৈধ পথে বাংলাদেশে অনুপ্রবেশের সময়ে ঘোজাডাঙ্গা ভোমরা সীমান্তের কাছে সরুপনগর এলাকার তারালি সীমান্ত থেকে বিএসএফের ১৪৩নম্বর ব্যাটালিয়নের হাতে আটক হয়েছেন আরো বাংলাদেশি নাগরিক। 

সীমান্তরক্ষী বাহিনী জানিয়েছে আটকের পর তাদের স্বরূপনগর থানার হাতে তুলে দেওয়া হয়েছে। আটককৃতদের মধ্যে রয়েছে তিন শিশু, তিনজন পুরুষ ও চারজন নারী। এর সবাই বাংলাদেশের সাতক্ষীরা এবং খুলনার বাগেরহাটের বাসিন্দা।

সুচরিতা/শাহেদ

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • বন্দরে ছিনতাইকারী সন্দেহে আটক ১ 
  • জঙ্গি সন্দেহে কলকাতায় গ্রেপ্তার বাংলাদেশি যুবক