বরেণ্য তারকা দম্পতি হেমা মালিনি ও ধর্মেন্দ্রর কন্যা এশা দেওল। ব্যক্তিগত জীবনে ভরত তাখতানির সঙ্গে ঘর বেঁধেছিলেন। গত বছরের ৬ ফেব্রুয়ারি বছরের সংসার ভাঙার ঘোষণা দেন এই দম্পতি। গুঞ্জন উড়ছে, উদ্যোক্তা মেঘনা লাখানির সঙ্গে প্রেমের সম্পর্কে জড়িয়েছেন এশার প্রাক্তন স্বামী। 

কয়েক দিন আগে ভরত তাখতানি তার ইনস্টাগ্রাম স্টোরিতে একটি ছবি শেয়ার করেন। তাতে দেখা যায়, রাস্তায় বসে আসে আছেন ভরত-মেঘনা। তারা পরস্পরের দিকে তাকিয়ে হাসছেন। ইনস্টাগ্রাম স্টোরিতে ভরস লেখেন, “আমার পরিবারে স্বাগতম।” এ পোস্ট মেঘনাকে ট্যাগ করে হ্যাশট্যাগে ভরত লেখেন, “এটি অফিশিয়াল।”  

আরো পড়ুন:

আরবাজের সঙ্গে সুখী ছিলাম না: মালাইকা

৩ সন্তানের মা হতে চান জাহ্নবী

ইনস্টাগ্রামে মেঘনার অনুসারী ৮২ হাজারের বেশি। সম্প্রতি ভরতের সঙ্গে ছুটি কাটানোর বেশ কিছু ছবি শেয়ার করেছেন তিনি। ইনস্টাগ্রাম স্টোরিতে দেখা যায় ভরতের সঙ্গে মাদ্রিদ, স্পেনে ছুটি কাটিয়েছেন মেঘনা। যেখানে তিনি লেখেন: “এখান থেকেই যাত্রা শুরু।” পাশাপাশি জুড়ে দেন হার্ট ও নজর না লাগার টোটকার ইমোজি। 

এশা ও ভরত তাখতানি দুজনেই ছোটবেলার বন্ধু। যদিও দুজনের ক্যারিয়ার আলাদা। ভরত তার বাবার পথ ধরে ব্যবসা করছেন। এশা তো বলিউডে পুরোদস্তুর নায়িকা।  

স্কুলবন্ধুর সঙ্গে অনেক দিনই দেখা-সাক্ষাৎ ছিল না এশার। ‘টেল মি ও খুদা’ সিনেমা তৈরির সময় দেখা হয় পুরোনো এ দুই বন্ধুর। এরপর প্রেম, বিয়ে। ২০১২ সালের ২৯ জুন বিয়ের পিঁড়িতে বসেন তারা। এ দম্পতির দুটি কন্যা সন্তান রয়েছে। তবে শেষটা ভালো হয়নি এই প্রাক্তন দম্পতির। 

ঢাকা/শান্ত

.

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর চলচ চ ত র ইনস ট গ র ম ভরত ত

এছাড়াও পড়ুন:

ছুটি না পেয়ে অসুস্থ শ্রমিকের মৃত্যু, মহাসড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ 

নারায়ণগঞ্জের বন্দরের মদনপুর এলাকায় লারিজ ফ্যাশনের পোশাক কারখানায় অসুস্থ হয়ে রিনা আক্তার (৩২) নামের এক শ্রমিকের মৃত্যুর প্রতিবাদে বিক্ষোভ করেছেন শ্রমিকরা। 

সোমবার (৩ নভেম্বর) সকালে তারা মদনপুরে ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়ক অবরোধ করেন। খবর পেয়ে থানা পুলিশের সঙ্গে হাইওয়ে ও ইন্ডাস্ট্রিয়াল পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। 

প্রত্যক্ষদর্শী ও শ্রমিকরা জানিয়েছেন, রিনা আক্তার অসুস্থ অবস্থায় কারখানায় কাজ করছিলেন। রোববার তিনি বেশি অসুস্থতা অনুভব করলে ছুটি চেয়ে আবেদন করেন। তবে, কর্তৃপক্ষ ওই শ্রমিকের আবেদনে সাড়া না দিয়ে কাজ করতে বাধ্য করেন। ওই নারী গুরুতর অসুস্থ হয়ে ফ্লোরে লুটিয়ে পড়লে তাৎক্ষণিকভাবে সহকর্মীরা স্থানীয় একটি হাসপাতালে নিয়ে যান। সেখানে তার শারীরিক অবস্থার আরো অবনতি ঘটলে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হয়। সেখানে চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।

অবরোধকারী শ্রমিকদের অভিযোগ, তাদের সহকর্মীর মৃত্যুর জন্য মালিকপক্ষ দায়ী। রিনা অসুস্থ হওয়া সত্ত্বেও তাকে ছুটি দেওয়া হয়নি। চিকিৎসার অভাবে মারা গেছেন তিনি। 

লারিজ ফ্যাশনের মালিকপক্ষ ও কর্মকর্তাদেরকে গ্রেপ্তার করার দাবি জানিয়েছেন শ্রমিকরা।

এ বিষয়ে জানতে যোগাযোগ করা হলে লারিজ ফ্যাশন কোম্পানির প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা (সিইও) শিমুল বলেছেন, আমাদের একজন শ্রমিক অসুস্থ হয়ে পড়লে তাৎক্ষণিকভাবে তাকে স্থানীয় একটি হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানে তার শারীরিক অবস্থার অবনতি ঘটলে ঢাকা মেডিকেল কলেজে হাসপাতালে নিয়ে গেলে সেখানে মৃত্যু হয়। এতে আমাদের কোনো গাফিলতি নেই। আমরা আমাদের সর্বাত্মক চেষ্টা করেছি।

কাঁচপুর হাইওয়ে থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আব্দুল কাদের জিলানী বলেছেন, সহকর্মীর মৃত্যুর জন্য গার্মেন্টস মালিকপক্ষ দায়ী, এমন অভিযোগ করে শ্রমিকরা আন্দোলনে নেমেছেন। আমরা তাদের সঙ্গে কথা বলার চেষ্টা করছি। ঘটনাস্থলে থানা পুলিশের সঙ্গে হাইওয়ে ও ইন্ডাস্ট্রিয়াল পুলিশও আছে। শ্রমিকরা রাস্তা থেকে সরে গেছেন। যানচলাচল স্বাভাবিক হয়েছে।

ঢাকা/অনিক/রফিক

সম্পর্কিত নিবন্ধ