সোনারগাঁয়ে গ্যাস লিকেজ থেকে বিস্ফোরণ, দগ্ধ ৫
Published: 4th, September 2025 GMT
নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁয়ের কাঁচপুরের একটি বাসায় গ্যাস সিলিন্ডার বিস্ফোরণে তিন শিশুসহ একই পরিবারের পাঁচজন দগ্ধ হয়েছেন। তাদের ঢাকার জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে ভর্তি করা হয়েছে।
বৃহস্পতিবার (৪ সেপ্টেম্বর) ভোর সাড়ে ৫টার দিকে কাঁচপুর বেসিক পুরান বাজার এলাকার শেখ ফরিদের তিন তলা ভবনের নিচ তলায় দুর্ঘটনাটি ঘটে।
আরো পড়ুন:
মিয়ানমার সীমান্তে মাইন বিস্ফোরণে হাতি আহত
গাজীপুরে গ্যাস সিলিন্ডার বিস্ফোরণে শিশুর মৃত্যু, দগ্ধ বাবা-মা
দগ্ধরা হলেন- মানব চৌধুরী, তার স্ত্রী বাচা চৌধুরী ও তিনি মেয়ে মুন্নি, তিন্নি ও মৌরি।
এলাকাবাসী জানান, ভবনটির নিচ তলায় ভাড়া থাকে পরিবারটি। ভোরে রান্নার জন্য চুলা জ্বালানোর সঙ্গে সঙ্গে সিলিন্ডারে বিস্ফোরণ ঘটে। এ ঘটনায় পরিবারটির পাঁচ সদস্য দগ্ধ হন। চিৎকার শুনে প্রতিবেশীরা গিয়ে আগুন নেভান। তারা দগ্ধদের উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে যান।
মন্ডলপাড়া ফায়ার সার্ভিসের উপ-পরিচালক আব্দুল্লাহ আল আরেফিন জানান, লিকেজ থেকে জমে থাকা গ্যাসে বিস্ফোরণ ঘটে। একই পরিবারের তিন শিশুসহ পাঁচজন দগ্ধ হন। তাদের জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে ভর্তি করা হয়েছে।
ঢাকা/অনিক/মাসুদ
.উৎস: Risingbd
এছাড়াও পড়ুন:
ছুটি না পেয়ে অসুস্থ শ্রমিকের মৃত্যু, মহাসড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ
নারায়ণগঞ্জের বন্দরের মদনপুর এলাকায় লারিজ ফ্যাশনের পোশাক কারখানায় অসুস্থ হয়ে রিনা আক্তার (৩২) নামের এক শ্রমিকের মৃত্যুর প্রতিবাদে বিক্ষোভ করেছেন শ্রমিকরা।
সোমবার (৩ নভেম্বর) সকালে তারা মদনপুরে ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়ক অবরোধ করেন। খবর পেয়ে থানা পুলিশের সঙ্গে হাইওয়ে ও ইন্ডাস্ট্রিয়াল পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।
প্রত্যক্ষদর্শী ও শ্রমিকরা জানিয়েছেন, রিনা আক্তার অসুস্থ অবস্থায় কারখানায় কাজ করছিলেন। রোববার তিনি বেশি অসুস্থতা অনুভব করলে ছুটি চেয়ে আবেদন করেন। তবে, কর্তৃপক্ষ ওই শ্রমিকের আবেদনে সাড়া না দিয়ে কাজ করতে বাধ্য করেন। ওই নারী গুরুতর অসুস্থ হয়ে ফ্লোরে লুটিয়ে পড়লে তাৎক্ষণিকভাবে সহকর্মীরা স্থানীয় একটি হাসপাতালে নিয়ে যান। সেখানে তার শারীরিক অবস্থার আরো অবনতি ঘটলে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হয়। সেখানে চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
অবরোধকারী শ্রমিকদের অভিযোগ, তাদের সহকর্মীর মৃত্যুর জন্য মালিকপক্ষ দায়ী। রিনা অসুস্থ হওয়া সত্ত্বেও তাকে ছুটি দেওয়া হয়নি। চিকিৎসার অভাবে মারা গেছেন তিনি।
লারিজ ফ্যাশনের মালিকপক্ষ ও কর্মকর্তাদেরকে গ্রেপ্তার করার দাবি জানিয়েছেন শ্রমিকরা।
এ বিষয়ে জানতে যোগাযোগ করা হলে লারিজ ফ্যাশন কোম্পানির প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা (সিইও) শিমুল বলেছেন, আমাদের একজন শ্রমিক অসুস্থ হয়ে পড়লে তাৎক্ষণিকভাবে তাকে স্থানীয় একটি হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানে তার শারীরিক অবস্থার অবনতি ঘটলে ঢাকা মেডিকেল কলেজে হাসপাতালে নিয়ে গেলে সেখানে মৃত্যু হয়। এতে আমাদের কোনো গাফিলতি নেই। আমরা আমাদের সর্বাত্মক চেষ্টা করেছি।
কাঁচপুর হাইওয়ে থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আব্দুল কাদের জিলানী বলেছেন, সহকর্মীর মৃত্যুর জন্য গার্মেন্টস মালিকপক্ষ দায়ী, এমন অভিযোগ করে শ্রমিকরা আন্দোলনে নেমেছেন। আমরা তাদের সঙ্গে কথা বলার চেষ্টা করছি। ঘটনাস্থলে থানা পুলিশের সঙ্গে হাইওয়ে ও ইন্ডাস্ট্রিয়াল পুলিশও আছে। শ্রমিকরা রাস্তা থেকে সরে গেছেন। যানচলাচল স্বাভাবিক হয়েছে।
ঢাকা/অনিক/রফিক