ময়মনসিংহের কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় কলেজ বোমা মেরে উড়িয়ে দেওয়া ও শিক্ষকদের মারধরের হুমকি এবং বহিরাগত ও অভ্যন্তরীণ ষড়যন্ত্রের প্রতিবাদে শহীদ মিনারে আমরণ অনশনে বসেছেন অধ্যক্ষ ড. আতাউর রহমান। তার সঙ্গে অংশ নিয়েছেন কলেজের শিক্ষকরা।

শনিবার (১৩) সেপ্টেম্বর দুপুর ১২টার দিকে কলেজের অধ্যক্ষ ড. আতাউর রহমান শহীদ মিনারে ব্যানার টাঙিয়ে অনশনে বসেন।

শিক্ষকরা জানিয়েছেন, কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় কলেজ দেশের স্বনামধন্য শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান। এখানে শিক্ষার্থীদের খেলাধুলার জন্য আছে একটি সুন্দর মাঠ। এ মাঠে বহিরাগত ও কলেজের সাবেক শিক্ষার্থীরা নিষেধ সত্ত্বেও জোর করে খেলতে আসে। এ সময় কলেজের স্থাপনা ও গাছপালা ক্ষতিগ্রস্ত হয়। কলেজের ফটক-সংলগ্ন কাকলি ক্লাবে বসে বহিরাগতরা কলেজের মেয়ে শিক্ষার্থীদের উত্ত্যক্ত করে বলেও অভিযোগ পাওয়া যায়।

রসায়ন বিভাগের প্রভাষক শফিকুল ইসলাম বলেছেন, হুমকিদাতাদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা না নেওয়া পর্যন্ত অনশন চলবে। বিষয়টি বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যসহ কলেজ সভাপতিকে অবহিত করা হলেও এখনো কোনো পদক্ষেপ নেওয়া হয়নি। শিক্ষার সুষ্ঠু পরিবেশ ফিরিয়ে দেওয়ার লক্ষ্যে আমরা বদ্ধপরিকর। 

কলেজের অধ্যক্ষ ড.

আতাউর রহমান বলেছেন, কলেজকে উড়িয়ে দেওয়ার লক্ষ্যে বহিরাগতরা সরাসরি এবং সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে অনবরত হুমকি দিচ্ছে। সুন্দর প্রতিষ্ঠানটিকে ধ্বংসের পাঁয়তারা করা হচ্ছে। তাই, আমাদের পাশাপাশি কলেজের নিরাপত্তা নিশ্চিত না করা পর্যন্ত আন্দোলন চলবে। 

কলেজের সাবেক শিক্ষার্থী আল-আমীন আহমেদ হৃদয় মন্ডল বলেছেন, ৫ আগস্টের পর থেকে আমরা কলেজ মাঠে খেলাধুলা করতে পারছি না। স্যাররা গেট বন্ধ করে দিয়েছেন। স্যারদের হুমকির দেওয়ার কোনো প্রশ্নই ওঠে না। আমাদের দাবি, কলেজ ছুটির পর যেন সেখানে আমরা খেলাধুলা করতে পারি।

ঢাকা/মিলন/রফিক

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর কল জ র

এছাড়াও পড়ুন:

বিদেশিদের বন্দর দেওয়ার সিদ্ধান্ত পাল্টাতে হবে

নিউমুরিং কনটেইনার টার্মিনালসহ চট্টগ্রাম বন্দরের স্থাপনা দেশি বা বিদেশি প্রতিষ্ঠানকে ইজারা দেওয়ার সিদ্ধান্ত বাতিলের দাবিতে গণ–অনশন কর্মসূচি পালন করছে শ্রমিক-কর্মচারী ঐক্য পরিষদ (স্কপ)। আজ শনিবার সকাল ৯টা থেকে চট্টগ্রাম প্রেসক্লাব চত্বরে শুরু হওয়া অনশন চলবে বিকেল ৪টা পর্যন্ত।

সকালে শতাধিক শ্রমিক প্রেসক্লাব চত্বরে জড়ো হন। একে একে বক্তব্য দেন শ্রমিক সংগঠনের বিভিন্ন নেতা-কর্মী। তাঁরা দাবি করেন, দেশের প্রধান সমুদ্রবন্দর হিসেবে চট্টগ্রাম বন্দর নিজস্ব সক্ষমতায় সফলভাবে পরিচালিত হচ্ছে। এখানে বিদেশি অপারেটরের প্রয়োজন নেই।

স্কপের যুগ্ম সমন্বয়ক রিজওয়ানুর রহমান খান বলেন, চট্টগ্রাম বন্দর নিজস্ব ব্যবস্থাপনাতেই ভালোভাবে চলছে। বছরে আড়াই হাজার কোটি টাকার বেশি মুনাফা করে এই প্রতিষ্ঠান। এমন একটি লাভজনক প্রতিষ্ঠানের পরিচালনা বিদেশিদের হাতে তুলে দেওয়ার কোনো যুক্তি নেই। ফলে সরকারকে এ সিদ্ধান্ত থেকে সরে আসতে হবে।

কর্মসূচিতে বক্তারা অভিযোগ করেন, লাভজনক প্রতিষ্ঠান হয়েও নিউমুরিং টার্মিনাল ও লালদিয়া চর বিদেশি কোম্পানির হাতে তুলে দেওয়ার চেষ্টা চলছে। তাঁরা বলেন, চট্টগ্রামের মানুষ কোনোভাবেই এটি সফল হতে দেবে না। বন্দর বিদেশিদের হাতে তুলে দেওয়া মানে দেশের সার্বভৌমত্ব নিয়ে খেলা।

অনশন কর্মসূচিতে অংশ নেওয়া বাম গণতান্ত্রিক জোট চট্টগ্রাম জেলা পরিচালনা পরিষদের সমন্বয়ক শফি উদ্দিন কবির বলেন, ‘বিগত ফ্যাসিবাদী সরকার কাউকে না জানিয়ে বিদেশিদের হাতে বন্দর তুলে দেওয়ার চুক্তি করেছিল। বর্তমান সরকারও সেটি পর্যালোচনা না করে বাস্তবায়ন করছে। এটি দেশের মানুষের কাছে কোনোভাবেই গ্রহণযোগ্য নয়।’

চট্টগ্রাম বন্দরের চারটি কনটেইনার টার্মিনালে বিনিয়োগ ও পরিচালনার জন্য বিদেশি অপারেটর নিয়োগ নিয়ে দেশে দীর্ঘদিন ধরেই বিতর্ক চলছে। আওয়ামী লীগ সরকারের তৃতীয় মেয়াদে শুরু হওয়া সেই প্রক্রিয়া বর্তমান অন্তর্বর্তী সরকারও এগিয়ে নিচ্ছে।

এর আগে গত ২২ অক্টোবর ইজারা বাতিলের দাবিতে বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশ করে স্কপ। সমাবেশ শেষে বন্দর এলাকার দিকে মিছিল নিয়ে যেতে চাইলে পুলিশ তাদের বাধা দেয়। ওই কর্মসূচি থেকেই আজকের গণ–অনশনের ঘোষণা দেওয়া হয়। ২৭ অক্টোবর ঢাকায় বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশ করে বাম গণতান্ত্রিক জোট ও ফ্যাসিবাদবিরোধী বাম মোর্চা।

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • বিদেশিদের বন্দর দেওয়ার সিদ্ধান্ত পাল্টাতে হবে