2025-05-30@20:07:11 GMT
إجمالي نتائج البحث: 6
«সৎকর ম»:
জিলহজ মাসের প্রথম ১০ দিন মুসলিম জীবনে এক অপূর্ব আধ্যাত্মিক সময়। মহান আল্লাহ এই দিনগুলোকে বিশেষ মর্যাদা দান করেছেন, যখন সৎকর্মের প্রতিদান বহুগুণ বৃদ্ধি পায়। রাসুল (সা.) বলেছেন, ‘এমন কোনো দিন নেই, যেদিন সৎকর্ম আল্লাহর কাছে এই দিনগুলোর (জিলহজের প্রথম ১০ দিন) তুলনায় বেশি প্রিয়।’ (সহিহ বুখারি, হাদিস: ৯৬৯)দিনগুলো কেন এত বিশেষজিলহজের প্রথম ১০ দিনের মর্যাদা বহুমুখী। প্রথমত, এই সময়ে ইসলাম ধর্মের পূর্ণতা লাভ করে। পবিত্র কোরআনে আছে, ‘আজ আমি তোমাদের জন্য তোমাদের দীনকে পূর্ণ করে দিয়েছি, তোমাদের প্রতি আমার নিয়ামত সম্পূর্ণ করেছি এবং ইসলামকে তোমাদের দীন হিসেবে মনোনীত করেছি।’ (সুরা মায়িদা, আয়াত: ৩)দ্বিতীয়ত, ইমাম ইবনে হাজার (রহ.) বলেন, এই দিনগুলোয় ইসলামের পাঁচটি স্তম্ভ—শাহাদাত, নামাজ, রোজা, হজ ও জাকাত একত্র হয়, যা অন্য কোনো সময়ে এভাবে মিলিত হয় না। এই...
সুরা বাইয়িনা, পবিত্র কোরআনের ৯৮তম সুরা, মদিনায় অবতীর্ণ। এতে ৮টি আয়াত রয়েছে। ‘বাইয়িনা’ অর্থ সুস্পষ্ট প্রমাণ, যা কোরআন ও মহানবী (সা.)-এর মাধ্যমে প্রকাশিত। এই সুরা বিশ্বাসী ও অবিশ্বাসীদের পরিণতি, কোরআনের সত্যতা এবং সরল ধর্মের বিধান তুলে ধরে। সুরাটি মানুষকে দুই ভাগে বিভক্ত করে: যারা বিশ্বাস ও সৎকাজ করে তারা জান্নাতে, আর যারা অবিশ্বাস করে তারা জাহান্নামে চিরকাল থাকবে। সুরার প্রধান বিষয় সুরা বাইয়িনা কিতাবি (আহলে কিতাব) ও মুশরিকদের অবিশ্বাসের কথা দিয়ে শুরু হয়। তারা সুস্পষ্ট প্রমাণ আসার আগে নিজ নিজ মতে অটল ছিল: ‘কিতাবি ও অংশীবাদীদের মধ্যে যারা অবিশ্বাস করেছিল, তারা নিজ নিজ মতে অবিচল ছিল যতক্ষণ না তাদের কাছে এল সুস্পষ্ট প্রমাণ।’ (সুরা বাইয়িনা, আয়াত: ১) ‘সুস্পষ্ট প্রমাণ’ বলতে মহানবী (সা.) ও কোরআনকে বোঝানো হয়েছে: ‘আল্লাহর কাছ থেকে এক রাসুল, যে আবৃত্তি...
পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক উপদেষ্টা রাষ্ট্রদূত (অব.) সুপ্রদীপ চাকমা বলেছেন, “আমাদের দেশে কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা ও আত্মনির্ভরশীল হওয়ার সুযোগ সৃষ্টি করে মানুষের ভাগ্যের পরিবর্তন ঘটাতে চায় সরকার।” তিনি বলেন, “আমাদের সরকার ক্ষতিকর ও দুষ্টচক্রের শাস্তির ব্যবস্থা নিশ্চিত করতে চায়। সরকার দেশের সম্পদ বিনষ্ট রোধ ও ব্যাপক অপচয় রোধসহ উন্নয়ন কাজ অব্যাহতভাবে চালিয়ে যেতে বদ্ধপরিকর।” শুক্রবার (৯ মে) রাঙামাটি জেলা সদরের রাজবন বিহার কমপ্লেক্স ভবনে বৈশাখী পূর্ণিমার ধর্মীয় অনুষ্ঠানে যোগ দিয়ে ধর্মীয় উপাসকদের উদ্দেশ্যে এসব কথা বলেন পার্বত্য উপদেষ্টা। আরো পড়ুন: আ.লীগ নিষিদ্ধের দাবি: যমুনার সামনে তৈরি হচ্ছে মঞ্চ বিমানবন্দরের তৃতীয় টার্মিনাল পরিদর্শন করলেন তিন উপদেষ্টা সুপ্রদীপ চাকমা বলেন, “সৎকর্ম যারা করেন ও কীর্তিমান তাদের মৃত্যু নাই। আমরা সৎকর্ম করব, পরজীবনে অবশ্যই শান্তি ভোগ করব। একজন মানুষের...
পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক উপদেষ্টা সুপ্রদীপ চাকমা বলেছেন, সরকার দেশের সম্পদ বিনষ্ট রোধ ও ব্যাপক অপচয় রোধসহ উন্নয়ন কাজ অব্যাহতভাবে চালিয়ে যেতে বদ্ধপরিকর। শুক্রবার রাঙ্গামাটি জেলা সদরের রাজবন বিহার কমপ্লেক্স ভবনে বৈশাখী পূর্ণিমার ধর্মীয় অনুষ্ঠানে যোগ দিয়ে ধর্মীয় উপাসকগণের উদ্দেশ্যে তিনি এই কথা বলেন। সুপ্রদীপ চাকমা বলেন, সরকার দেশে কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা ও আত্মনির্ভরশীল হওয়ার সুযোগ সৃষ্টি করে মানুষের ভাগ্যের পরিবর্তন ঘটাতে চায়। তিনি বলেন, আমাদের সরকার ক্ষতিকর ও দুষ্টচক্রের শাস্তির ব্যবস্থা নিশ্চিত করতে চায়। উপদেষ্টা আরো বলেন, যারা সৎকর্ম করেন ও কীর্তিমান তাদের মৃত্যু নাই। আমরা সৎকর্ম করব, পরজীবনে অবশ্যই শান্তি ভোগ করবো। একজন মানুষের জন্ম, জ্ঞান-প্রজ্ঞা ও মৃত্যু তখনই সার্থক হয়, যখন বিশ্ব ব্রহ্মাণ্ডের সকল প্রাণীর মঙ্গলের জন্য নিজেকে উৎসর্গ করা হয়। ধর্মীয় উৎসবে সদ্যপ্রয়াত নবারুণ চাকমার বিদেহী আত্মার শান্তি...
হজরত ওমর (রা.)-এর বর্ণনায় একটি হাদিসে রাসুল (সা.) একদিন প্রাচীনকালের একটি ঘটনা বলেছেন। তিন ব্যক্তি একটি গুহায় আশ্রয় নিয়ে সেখানে অবস্থান করছিল। হঠাৎ পাহাড়ের ওপর থেকে বিরাট এক পাথরের চাই গড়িয়ে পড়ে গুহার মুখ বন্ধ হয়ে যায়। তিনজন এবার নিজেদের সৎকর্মের অছিলায় আল্লাহর কাছে প্রার্থনা করলেন, যেন তিনি তাদের এই বিপদ থেকে উদ্ধার করেন। তাদের মধ্যে দ্বিতীয়জন বললেন, ‘আল্লাহ, আমার চাচার একটা মেয়ে ছিল। সে ছিল আমার সবচেয়ে প্রিয়। আমি এতই যে ভালোবাসতাম—একজন পুরুষ কোনো নারীকে যতটা ভালোবাসতে পারে, ততটা। তাকে আমি নিজের কাছে একান্তে পাওয়ার ইচ্ছা করেছিলাম। সে রাজি হয়নি। বছরখানেক পড়ে প্রচণ্ড অভাবের মুখে পড়ে একদিন সে আমার কাছে এলো। আমি তাকে এই শর্তে এক শ বিশটি স্বর্ণমুদ্রা দিয়েছিলাম, যেন নির্জনে সে আমার সঙ্গে সাক্ষাৎ করে। সে তা-ই করল। তাকে...
পবিত্র কোরআনের ১৮ তম সুরা আল কাহাফ। কাহাফ মানে গুহা। এ সুরার আয়াত সংখ্যা ১১০। মক্কায় অবতীর্ণ এই সুরায়, গুহাবাসীদের বিবরণ স্থান পেয়েছে। জ্ঞানান্বেষণে এক আল্লাহ ভক্ত মহাপুরুষের সাক্ষাৎ এবং জুল কারনাইন ও ইয়াজুজ মাজুজের বিবরণ রয়েছে। সরল পথের আলোচনা করে মোহাম্মদ (সা.)-কে সান্ত্বনা দেওয়া হয়েছে।জুলকারনাইন ছিলেন ন্যায়পরায়ণ ও সৎ বাদশাহ। তিনি পশ্চিম থেকে পূর্ব পর্যন্ত সফর করেছিলেন। দুই পর্বতের মাঝখানে তিনি এক জনগোষ্ঠীকে খুঁজে পান। তারা তাঁর কাছে ইয়াজুজ ও মাজুজের হাত থেকে রক্ষা পেতে একটি দেয়াল নির্মাণের আবেদন জানাল। জুলকারনাইন কাজটি করে দিতে সম্মত হলেন। তিনি তাঁর কাজ নিয়ে গর্ব দেখাননি।কোরআনে আছে, ওরা বলল, 'হে জুলকারনাইন! ইয়াজুজ ও মাজুজ পৃথিবীতে অশান্তি সৃষ্টি করছে; আমরা কি তোমাকে কর এই শর্তে দেব যে তুমি আমাদের ও ওদের মধ্যে এক প্রাচীর...