রাজধানীতে ডাকাতি ও ছিনতাইয়ের অভিযোগে গ্রেপ্তার ৭
Published: 11th, January 2025 GMT
রাজধানী ঢাকায় ডাকাতি ও ছিনতাইয়ে জড়িত থাকার অভিযোগে সাতজনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। ঢাকা মহানগর পুলিশ (ডিএমপি) গতকাল শুক্রবার রাজধানীর বিভিন্ন স্থানে অভিযান চালিয়ে তাঁদের গ্রেপ্তার করে।
ডাকাতির অভিযোগে গ্রেপ্তার হয়েছেন একজন। তাঁর নাম রিয়াজ গোলদার (২৫)। আর ছিনতাইয়ে অভিযোগে গ্রেপ্তার অন্য ছয়জন হলেন মো. সিয়াম (২৩), মো.
ডিএমপির গণমাধ্যম ও জনসংযোগ বিভাগের দেওয়া তথ্য অনুযায়ী, কলাবাগানে গরু ডাকাতির সঙ্গে জড়িত থাকার অভিযোগে রাজধানীর শাহ আলী থানা এলাকা থেকে রিয়াজ গোলদারকে গ্রেপ্তার করা হয়। তাঁর কাছ থেকে একটি মুঠোফোন ও পিকআপ ভ্যান জব্দ করা হয়।
পুলিশ বলেছে, মেহেদী হাসান, আহমেদ শাহ, কাজী আনোয়ার হোসেন ও আবদুল লতিফ গরু ব্যবসায় জড়িত। গত বৃহস্পতিবার রাত আনুমানিক দেড়টার দিকে গাবতলী গরুর হাট থেকে তাঁরা ১১টি গরু কেনেন। পরে তাঁরা রাখালদের সরদার জাকিরের কাছে গরুগুলো বুঝিয়ে দেন। জাকির রাত দুইটার দিকে গাবতলী গরুর হাট থেকে পিকআপ ভ্যানে করে গরু ব্যবসায়ীদের কাছে গরুগুলো পাঠানোর ব্যবস্থা করেন। রাত সাড়ে তিনটার দিকে রাজধানীর শুক্রাবাদের এক গরু ব্যবসায়ীর কাছে দুটি গরু বুঝিয়ে দেওয়া হয়। অন্যদিকে রাত সাড়ে চারটার দিকে কলাবাগান এলাকায় পিকআপ থেকে তিনটি গরু নামানোর সময় একদল ডাকাত চাপাতি দিয়ে হামলা চালায়। ডাকাতেরা গরু নিয়ে পালিয়ে যায়। এই ডাকাতির সঙ্গে রিয়াজ গোলদার জড়িত।
অন্যদিকে ছিনতাইয়ে জড়িত থাকার অভিযোগে রাজধানীর মতিঝিল এলাকা থেকে সিয়াম ও রনিকে গ্রেপ্তার করা হয়। এই দুজনের বিরুদ্ধে ছিনতাই ও ডাকাতির চারটি মামলা রয়েছে।
এ ছাড়া রাজধানীর মিটফোর্ড হাসপাতালের সামনে থেকে ছিনতাইয়ের প্রস্তুতিকালে সুমন, ওসমান গনী, সোহেল ও আলামিনকে গ্রেপ্তার করা হয়। তাঁদের কাছ থেকে দুটি চাপাতি ও দুটি চাকু উদ্ধার করা হয়।
উৎস: Prothomalo
এছাড়াও পড়ুন:
শেখ হাসিনার সঙ্গে আসামি ৮ প্রাক্তন ভিসিসহ ২০১ জন
ঢাকার সরকারি আলিয়া মাদ্রাসার এক ছাত্রকে ‘হত্যাচেষ্টা’র অভিযোগে ক্ষমতাচ্যুত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, তাঁর বোন শেখ রেহানাসহ ২০১ জনের বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে। মামলায় বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাক্তন উপাচার্য, শিক্ষক, সাংবাদিক, অভিনেতা-অভিনেত্রীদেরও আসামি করা হয়েছে।
ঢাকা মহানগর হাকিম মনিরুল ইসলাম বুধবার অভিযোগটি আমলে নিয়ে শাহবাগ থানাকে এজাহার হিসেবে গ্রহণের নির্দেশ দিয়েছেন। গত ২০ মার্চ সরকারি আলিয়া মাদ্রাসার ছাত্র সাইফুদ্দিন মোহাম্মদ এমদাদের পক্ষে ছাত্রদলের সাবেক নেতা এম এ হাশেম রাজু আদালতে এ মামলার আবেদন করেন।
মামলায় অপর আসামিদের মধ্যে রয়েছেন– শেখ হাসিনার ছেলে সজীব ওয়াজেদ জয়, মেয়ে সায়মা ওয়াজেদ পুতুল, সাবেক মন্ত্রী ওবায়দুল কাদের, সালমান এফ রহমান, আসাদুজ্জামান খান কামাল, সাবেক আইজিপি বেনজীর আহমেদ প্রমুখ। বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাক্তন উপাচার্যসহ কয়েকজন শিক্ষক আছেন আসামির তালিকায়। তারা হলেন– ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক উপাচার্য ড. আখতারুজ্জামান, জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক উপাচার্য ড. হারুন-অর-রশিদ, ঢাবি শিক্ষক অধ্যাপক মেসবাহ কামাল ও অধ্যাপক আবু জাফর মো. শফিউল আলম ভূঁইয়া, অধ্যাপক মুনতাসীর মামুন, শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাক্তন উপাচার্য মুহম্মদ জাফর ইকবাল, জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাক্তন উপাচার্য আনোয়ার হোসেন, জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাক্তন উপাচার্য মীজানুর রহমান, চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাক্তন উপাচার্য আবদুল মান্নান, নোয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাক্তন উপাচার্য এম অহিদুজ্জামান, প্রিমিয়ার বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাক্তন উপাচার্য ড. অনুপম সেন, সাংবাদিক নাঈমুল ইসলাম খান, নঈম নিজাম, শ্যামল দত্ত, মোজাম্মেল বাবু, আলমগীর হোসেন, আবেদ খান প্রমুখ।
মামলায় অভিযোগ করা হয়েছে– ছাত্র-জনতার আন্দোলনের সময় গত ৪ আগস্ট সকালে মামলার বাদী এম এ হাশেম রাজুর নেতৃত্বে একটি মিছিল কেন্দ্রীয় শহীদ মিনার থেকে পরীবাগে হোটেল ইন্টারকন্টিনেন্টালের সামনের মোড়ে এসে পৌঁছায়। তখন ছাত্রলীগ, যুবলীগ, আওয়ামী লীগের বিভিন্ন স্তরের নেতাকর্মী পথরোধ করে ছাত্র-জনতাকে হত্যার উদ্দেশ্যে গুলিবর্ষণ, হাতবোমা, পেট্রোল বোমা ও ককটেলের বিস্ফোরণ ঘটায়। এ গুলিতে আলিয়া মাদ্রাসার শিক্ষার্থী সাইফুদ্দিন মোহাম্মদ এমদাদের ডান চোখ ক্ষতিগ্রস্ত হয়।
এদিকে জুলাই-আগস্ট গণঅভ্যুত্থানে রাজধানীর যাত্রাবাড়ীতে আব্দুন নূর নামে এক সাংবাদিক নিহতের ঘটনায় ক্ষমতাচ্যুত শেখ হাসিনাসহ ১৬২ জনের বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে। নিহতের বাবা হাফেজ আবুল বাশার গত মঙ্গলবার ঢাকা মহানগর হাকিম এম মিজবাউর রহমানের আদালতে এ মামলা করেন।
মামলায় অপর আসামিদের মধ্যে রয়েছেন– সাবেক মন্ত্রী ওবায়দুল কাদের, আসাদুজ্জামান খান কামাল, আনিসুল হক, হাছান মাহমুদ, সালমান এফ রহমান প্রমুখ।
মামলার বাদী আবুল বাশার বলেন, আব্দুন নূর ময়মনসিংহের গফরগাঁও এলাকায় অভিযান নিউজ নামে পত্রিকার রিপোর্টার ছিল। আন্দোলনের সময় ১ আগস্ট সে ঢাকায় আসে এবং যাত্রাবাড়ীতে ৫ আগস্ট গুলিতে মারা যায়।