নতুন ছবি পোস্ট করে কীসের ইঙ্গিত দিলেন শাবনূর
Published: 13th, January 2025 GMT
দীর্ঘ বিরতির পর গত বছর তিনটি চলচ্চিত্রে অভিনয়ের খবর দিয়ে নতুন করে আলোচনায় আসেন ঢালিউডের তুমুল জনপ্রিয় নায়িকা শাবনূর। দেশের এসে সশরীরে সিনেমার মহরত অনুষ্ঠানেও উপস্থিত হন তিনি। এরপর ফের চলে যান অস্ট্রেলিয়ায়। দীর্ঘদিন পর নতুন রূপে হাজির হয়ে একবাক্যে বিশেষ বার্তা দিলেন তিনি।
সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে বর্তমানের কিছু ছবি পোস্ট করেছেন শাবনূর। ক্যাপশনে তিনি লিখেছেন, ‘নতুন বাস্তবতাকে আলিঙ্গন করে হাসিমুখে সামনে এগিয়ে যাওয়া।’ তার এমন লেখা দেখে বোঝাই যাচ্ছে, জীবনে নতুন কিছুর ইঙ্গিত দিচ্ছেন অভিনেত্রী। মন্তব্যে শাবনূরের ছবির প্রশংসা করেছেন তার ভক্ত অনুরাগীরা।
নির্মাতা চয়নিকা চৌধুরীর ‘মাতাল হাওয়া’ সিনেমায় অভিনয় করার কথা থাকলেও এটি শুরু করতে পারেননি তিনি। গত ১১ ফেব্রুয়ারিতে আরাফাত হোসাইনের ‘রঙ্গনা’ সিনেমার মহরতে উপস্থিত ছিলেন শাবনূর। ওই অনুষ্ঠানে ‘এখনো ভালবাসি’ নামের আরও একটি সিনেমার অভিনয়ের ঘোষণা দেন তিনি। তবে সিনেমার শুটিং শুরু না করেই অস্ট্রেলিয়ায় ফিরে যান এই নায়িকা। সেসময় জানা যায়, পুরোপুরি ফিট হয়েই শুটিংয়ে নামবেন তিনি।
চলচ্চিত্রে অনিয়মিত হলেও শাবনূরকে নিয়ে ভক্তদের আগ্রহ মোটেও কমেনি। তার অভিনীত সিনেমার গানগুলো এখনো সর্বোচ্চ ভিউ অর্জন করে। এরই মধ্যে চলচ্চিত্র ক্যারিয়ারে তিন দশক পূর্ণ হয়েছে।
১৯৯৩ সালের ১৫ অক্টোবর নির্মাতা এহতেশাম পরিচালিত ‘চাঁদনী রাতে’ ছবির মাধ্যমে বড় পর্দায় অভিষেক ঘটে নায়িকার। এরপর আর পেছনে ফিরে তাকাতে হয়নি তাকে। একের পর এক সুপারহিট সিনেমা উপহার দিয়েছেন দর্শকদের। প্রয়াত চিত্রনায়ক সালমান শাহর সঙ্গে গড়ে ওঠে জনপ্রিয় এক জুটি, যা এখনো দর্শকদের হৃদয়ে নাড়া দেয়।
দীর্ঘ ৩১ বছরের অভিনয়জীবনে অসংখ্য ব্যবসাসফল সিনেমা উপহার দিয়েছেন শাবনূর। এর মধ্যে আছে ‘স্বপ্নের ঠিকানা’, ‘প্রেমের তাজমহল’, ‘আমার প্রাণের স্বামী’, ‘ও প্রিয়া তুমি কোথায়’, ‘ভালোবাসি তোমাকে’, ‘আনন্দ অশ্রু’, ‘বউ–শাশুড়ির যুদ্ধ’, ‘হৃদয়ের বন্ধন’ ও ‘মোল্লাবাড়ীর বউ’।
.উৎস: Samakal
এছাড়াও পড়ুন:
পটুয়াখালীতে সৎমা ও দাদিকে গলা কেটে হত্যা
পটুয়াখালীতে কুলসুম বেগম ও মোসা. সাহিদা বেগম নামের দুই নারীকে গলা কেটে হত্যার অভিযোগ উঠেছে এক তরুণের বিরুদ্ধে। আজ শুক্রবার বেলা একটার দিকে সদর উপজেলার মাদারবুনিয়া ইউনিয়নের চারাবুনিয়া গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।
অভিযুক্ত আল আমিন (২৭) সম্পর্কে নিহত সাহিদা বেগমের সৎছেলে এবং বৃদ্ধা কুলসুম বেগমের নাতি। ঘটনার পর থেকে তিনি পলাতক। পুলিশ লাশ দুটি উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য পটুয়াখালী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মর্গে পাঠিয়েছে।
নিহত দুই নারীর স্বজন মো. আশ্রাফ খাঁ জানান, আল আমিন দীর্ঘদিন ধরে অস্বাভাবিক চলাফেরা করছেন। এরপর তাঁর পরিবার তাঁকে মানসিক হাসপাতালে পাঠানোর সিদ্ধান্ত নেন। দুপুরে আল আমিনের বাবা রাজ্জাক খাঁ পাশের একটি মসজিদে জুমার নামাজ পড়তে গেলে আল আমিন দা দিয়ে গলা কেটে তাঁর সৎমা সাহিদা বেগম ও বৃদ্ধ দাদি কুলসুম বেগমকে হত্যা করেন।
বাহাদুর আলম খাঁ (৫০) নামের এক আত্মীয় বলেন, নিহত সাহিদা সম্পর্কে তাঁর চাচিশাশুড়ি এবং কুলসুম বেগম দাদিশাশুড়ি। দুপুরে বাড়ির সবাই জুমার নামাজ পড়তে গেলে মানসিক ভারসাম্যহীন ছোট ছেলে আল আমিন রান্নার কাজে ব্যবহৃত ধারালো দা দিয়ে প্রথমে সৎমা এবং পরে দাদিকে গলা কেটে হত্যা করেন। তিনি বলেন, আল আমিন মাদ্রাসা থেকে দাখিল পাস করে পটুয়াখালী সরকারি কলেজে ভর্তি হয়েছিলেন। এরপর তিন বছর আগে চট্টগ্রামের হাটহাজারী মাদ্রাসায় পড়াশোনা করতে যান। সেখান থেকে বাড়িতে ফিরে অস্বাভাবিক আচরণ শুরু করেন। পরে পরিবারের পক্ষ থেকে চিকিৎসক দেখালেও সুস্থ হননি।
পটুয়াখালী সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো. ইমতিয়াজ আহম্মেদ প্রথম আলোকে বলেন, দুই নারীকে হত্যার খবর পেয়ে তাৎক্ষণিকভাবে ঘটনাস্থলে যায় পুলিশ। হত্যাকাণ্ড ঘটানো ব্যক্তি ওই পরিবারের সদস্য। ঘটনার পর মরদেহের সুরতহাল প্রতিবেদন শেষে উদ্ধার করে পটুয়াখালী মর্গে পাঠানো হয়েছে। জড়িত তরুণ এখন পলাতক। তিনি মানসিক ভারসাম্যহীন কি না, তদন্ত করে দেখা হবে।