খাগড়াছড়িতে পৃথক সড়ক দুর্ঘটনায় একই দিনে প্রাণ গেল তিন জনের। খাগড়াছড়ির দীঘিনালা, মানিকছড়ি ও সদর উপজেলায় মর্মান্তিক এ দুর্ঘটনা ঘটে।

খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, সোমবার সকাল সাড়ে ১০টার দিকে খাগড়াছড়ির মানিকছড়ি উপজেলাধীন তিনটহরী উচ্চ বিদ্যালয় সংলগ্ন চট্টগ্রাম-খাগড়াছড়ি সড়কে মালবাহী ট্রাকের সঙ্গে মোটরসাইকেলের ধাক্কা লেগে মোটরসাইকেল চালক মো.

শাহিন আলম (১৮) সড়কে পড়ে যান। পরে ঘটনাস্থল থেকে তাকে উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে আসলে কর্তব্যরত চিকিৎসক প্রাথমিক চিকিৎসা শেষে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠান। চমেক হাসপাতালে নেওয়ার পথে তার মৃত্যু হয়।

অন্যদিকে, বেলা ১১টার দিকে খাগড়াছড়ি জেলা সদর উপজেলাধীন দাতকুপ্যা নামক এলাকায় জমি চাষ শেষে বাড়ি ফেরার পথে ট্রাক্টর উল্টে মো. চাঁন মিয়া (৩৫) নামের এক যুবক মারা যান। তিনি মহালছড়ি উপজেলার চোংড়াছড়ি এলাকার মৃত মো. সুলতান মিয়ার ছেলে।

এদিকে দুপুরে খাগড়াছড়ির দীঘিনালা উপজেলার বেলছড়ি এলাকায় অটোরিকশা-মোটরসাইকেল সংঘর্ষে মরিয়ম খাতুন (৬০) নামের আরেক বৃদ্ধা নিহত হয়েছেন। তিনি বেলছড়ি এলাকার হাসু মিয়ার স্ত্রী।

সড়ক দুর্ঘটনা রোধে চালক ও যাত্রীদের সতর্ক অবস্থায় চলাচলের অনুরোধ জানিয়েছেন খাগড়াছড়ি জেলার পুলিশ সুপার মো. আরেফিন জুয়েল।

উৎস: Samakal

এছাড়াও পড়ুন:

জামাইয়ের ছুরিকাঘাতে শাশুড়ি খুন

ময়মনসিংহের মুক্তাগাছায় পারিবারিক কলহের জেরে জামাইয়ের ছুরিকাঘাতে শাশুড়ি নিহত হয়েছেন। এতে আহত হয়েছেন একজন। বুধবার দিবাগত রাতে উপজেলার হরিরামপুর ব্যাপারী গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।

নিহত ফজিলা খাতুন (৪৫) উপজেলার হরিরামপুর ব্যাপারী গ্রামের বাসিন্দা মৃত জালাল উদ্দিনের স্ত্রী। 

পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, মনির মিয়া (৩০) উপজেলার হরিরামপুর ব্যাপারী গ্রামের সেলিম মিয়ার ছেলে। ঘটনার রাতে স্ত্রী রুমা আক্তারের সঙ্গে তার কথা কাটাকাটি হয়। একপর্যায়ে বাড়ি থেকে বের হয়ে যান মনির। পরে রাত আনুমানিক আড়াইটার দিকে তিনি বাড়ি ফিরে আসেন এবং চার বছরের ছেলে রোহানকে নিয়ে চলে যেতে চান। এতে স্ত্রীর সঙ্গে তার আবারও বাগবিতণ্ডা হয়। একপর্যায়ে মনির হাতে থাকা ছুরি দিয়ে স্ত্রীকে আঘাত করতে গেলে শাশুড়ি ফজিলা খাতুন বাধা দেন। তখন মনির শাশুড়িকে ছুরিকাঘাত করেন। পাশাপাশি স্ত্রীকেও আঘাত করেন তিনি। পরে উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে গেলে সেখানে ফজিলা খাতুনের মৃত্যু হয়।

মুক্তাগাছা থানার ওসি মো. কামাল হোসেন বলেন, খবর পাওয়ার সঙ্গে সঙ্গেই ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠানো। তবে অভিযুক্ত পালিয়েছে। তাকে ধরার চেষ্টা চলছে।

সম্পর্কিত নিবন্ধ