গাজীপুরে বন্ধ ১৬ কারখানা খোলার দাবিতে মানববন্ধন
Published: 14th, January 2025 GMT
গাজীপুর মহানগরীর সারাব এলাকার বেক্সিমকো ইন্ডাস্ট্রিয়াল পার্কের বন্ধ ঘোষণা করা ১৬ কারখানা খুলে দেওয়া ও ব্যাংকিং সুবিধা চালুর দাবিতে মানববন্ধন কর্মসূচি পালন করছেন শ্রমিক-কর্মকর্তা ও কর্মচারীরা।
মঙ্গলবার (১৪ জানুয়ারি) সকাল ৯টা থেকে চক্রবর্তী এলাকার চন্দ্রা-নবীনগর মহাসড়কের পাশ ধরে কয়েক কিলোমিটার এলাকাজুড়ে শান্তিপূর্ণভাবে মানববন্ধন এ কর্মসূচি পালন করা হয়।
এর আগে সকাল থেকে চাকরি হারানো কয়েক হাজার শ্রমিক এই কর্মসূচিতে যোগ দেন।
গত ১৫ ডিসেম্বর শ্রম ও কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে বেক্সিমকোর শিল্প প্রতিষ্ঠানগুলোর শ্রম ও ব্যবসায় পরিস্থিতি পর্যালোচনা সংক্রান্ত উপদেষ্টা পরিষদের কমিটির সভায় ১৬ কারখানা বন্ধের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। ওই কারখানাগুলোতে কাজ করতেন অন্তত ৪০ হাজার শ্রমিক।
মানববন্ধনে শ্রমিকরা জানান, আমাদের প্রতিষ্ঠানের সকল কারখানার পুনরায় চালু করার দাবি জানাচ্ছি। আমাদের কর্মসংস্থান ও ভবিষ্যৎ সুরক্ষার জন্য আমরা কাজের পরিবেশ বহাল চাই। পাশাপাশি ব্যাংকিং ব্যবস্থা পুনরায় চালু ও অনন্য সকল বকেয়া দাবি পূরণ করতে হবে।
এ ঘটনায় শিল্প পুলিশ-২ এর এসপি একেএম জহিরুল ইসলাম বলেন, “বেক্সিমকো ইন্ডাস্ট্রিয়াল পার্কের এলসি খুলে দেওয়া, ব্যাংকিং সুবিধা চালুসহ বেশ কিছু দাবিতে শান্তিপূর্ণ মানববন্ধন করছেন। প্রায় ৯-১০ কিলোমিটার এলাকা জুড়ে মানববন্ধন হচ্ছে।”
তিনি আরো বলেন, “শান্তিপূর্ণ মানববন্ধন কর্মসূচিতে যাতে অপ্রীতিকর ঘটনা না ঘটে এবং মহাসড়ক পরিস্থিতি শান্তিপূর্ণ রাখতে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা দায়িত্ব পালন করছেন।”
ঢাকা/রেজাউল/ইমন
.উৎস: Risingbd
এছাড়াও পড়ুন:
মাগুরছড়া ট্র্যাজেডির ২৮তম বার্ষিকী পালিত
মৌলভীবাজারের কমলগঞ্জ উপজেলার মাগুরছড়া ট্র্যাজেডির ২৮তম বার্ষিকী মানববন্ধন কর্মসূচির মধ্যদিয়ে পালিত হয়েছে।
গতকাল শনিবার সকাল ১১টায় মাগুরছড়া গ্যাসক্ষেত্রের সামনে পাহাড় রক্ষা পরিবেশ, উন্নয়ন সোসাইটিসহ বিভিন্ন সংগঠনের আয়োজনে এক মানববন্ধন কর্মসূচি পালিত হয়।
মৌলভীবাজার জেলা পাহাড় রক্ষা পরিবেশ ও উন্নয়ন সোসাইটির সভাপতি ময়নুল ইসলাম চৌধুরীর সভাপতিত্বে ও প্রভাষক সেলিম আহমেদ চৌধুরীর সঞ্চালনায় এ সময় বক্তব্য দেন কমলগঞ্জ সরকারি গণমহাবিদ্যালয়ের প্রভাষক হামিদা খাতুন, সাংবাদিক আব্দুর রাজ্জাক রাজা, নিছসা সভাপতি আব্দুস সালাম, সাধারণ সম্পাদক রাসেল হাসান বক্ত, পরিবেশকর্মী সাজু আহমেদ, শাহারা ইসলাম রুহিন, শ্রমিক নেতা দুলাল মিয়া, ছাত্রনেতা লিটন গাজী, মিনহাজুল ইসলাম মুন্না, আব্দুল মতিন, মিসবাউর রহমান, আদিবাসী নেতা সুচিনগুল প্রমুখ।
মানববন্ধনে বক্তারা বলেন, এখনও বাংলাদেশ সেই বিপর্যয়ের জন্য দায়ী মার্কিন প্রতিষ্ঠানের কাছ থেকে কোনো ক্ষতিপূরণ আদায় করতে পারেনি। বাংলাদেশ সরকার এ বিষয়ে নিষ্ক্রিয় হলেও দেশের স্বার্থরক্ষায় আন্দোলনকারীরা সরব রয়েছেন। ২৮ বছর পার হয়ে গেলেও দুর্ঘটনায় ক্ষতিগ্রস্ত ব্যক্তি ও পরিবারের ক্ষতিপূরণ আদায়ে সচেতন হয়নি সরকার। বিষয়টি আমলে নেয়নি কোম্পানি।