দারুণ সব ফ্যাশন সেন্স নিয়ে নিয়মিতই ভক্তদের মুগ্ধ করেন জনপ্রিয় অভিনেত্রী জয়া আহসান। এবারও যেন তার ব্যতিক্রম হলো না। মঙ্গলবার শীতের সকালে চোখ আটকে গেল তার ৭ ছবিতে!

আজ সকালে পোস্ট করা সাতটি ছবিতে খুবই ছিমছাম এই লুকে ধরা দিয়েছেন তিনি।

ক্যাপশনে জুড়ে দিয়েছেন, ‘এক সন্দেহের ছায়া!’

জয়ার পোস্ট করা এসব স্থিরচিত্রে এক ঘণ্টায় ৬ হাজারের বেশি রিঅ্যাকশন পড়েছে। মন্তব্য পড়েছে প্রায় ১ এক হাজার। ভক্তদের অনেকে জয়ার পোস্ট করা এসব স্থিরচিত্র তাঁদের ফেসবুক ওয়ালেও শেয়ার করেছেন।

ব্যক্তিজীবনে পোশাক-আশাকে অনেকটাই শৌখিন জয়া আহসান। প্রায়শই ভিন্ন রূপে-অবতারে নিজেকে মেলে ধরেন তিনি। 

মাস কয়েক আগে ভারতের এক ফিল্মফেয়ার অনুষ্ঠানে ভিন্নভাবে জামদানি পরে শাড়ির ফ্যাশনে নতুনত্ব তুলে ধরেছিলেন।

সম্প্রতি ‘২ষ’ সিরিজের 'বেসুরা' নামের একটি পর্বে ক্যামিও চরিত্রে কাজ করেছেন জয়া।‘২ষ’ সিরিজে ডাইনির চরিত্রে অভিনয় করেছেন তিনি। মেকআপের গুণে ডাইনি চরিত্রে তাকে বোঝাই ছিল কষ্টসাধ্য।

গল্পের প্রয়োজনে শেষভাগে নিজের রূপে ধরা দেন অভিনেত্রী। রূপ-কিংবা অভিনয়; উভয় দিক থেকেই দেশের মানুষের কাছে জনপ্রিয় জয়া আহসান।

.

উৎস: Samakal

এছাড়াও পড়ুন:

শ্রমিকের সামাজিক সুরক্ষা নিশ্চিত ও নিপীড়ন বন্ধের দাবি সমাজতান্ত্রিক শ্রমিক ফ্রন্টের

গণতান্ত্রিক শ্রম আইন, শ্রমিকের সামাজিক সুরক্ষা, ন্যায্য মজুরি, অবাধ ট্রেড ইউনিয়নের অধিকার নিশ্চিত ও শ্রমিক নিপীড়ন বন্ধের দাবিতে সমাবেশ ও মিছিল করেছে সমাজতান্ত্রিক শ্রমিক ফ্রন্ট। একই সঙ্গে তারা বিশেষ ক্ষমতা আইনে গ্রেপ্তারকৃত শ্রমিকনেতাদের মুক্তির দাবিও জানায়।

মে দিবস উপলক্ষে বৃহস্পতিবার সকালে জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে সমাবেশটি অনুষ্ঠিত হয়।

সমাজতান্ত্রিক শ্রমিক ফ্রন্টের সভাপতি রাজেকুজ্জামান রতনের সভাপতিত্বে সমাবেশে বক্তব্য দেন দলটির সাধারণ সম্পাদক আহসান হাবিব বুলবুল, সাংগঠনিক সম্পাদক খালেকুজ্জামান লিপন, প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক জুলফিকার আলী, আইনবিষয়ক সম্পাদক বিমল চন্দ্র সাহা, নির্বাহী সদস্য আফজাল হোসেন, নির্বাহী সদস্য ও বোম্বে সুইটস শ্রমিক ইউনিয়নের সভাপতি রতন মিয়া প্রমুখ।

সমাবেশে নেতারা বলেন, ট্রেড ইউনিয়ন করার চেষ্টার অপরাধে বিশেষ ক্ষমতা আইনে মামলা দিয়ে গার্মেন্টস উইংয়ের সাধারণ সম্পাদক সেলিম মাহমুদ, রবিনটেক্স শ্রমিক ইউনিয়নের সভাপতি সীমা আক্তারসহ ৭ জনকে নারায়ণগঞ্জ কারাগারে এবং রিকশা শ্রমিকদের রুটি–রুজির আন্দোলনে সংহতি জানানোর অপরাধে চট্টগ্রামে রিকশা সংগ্রাম পরিষদ চট্টগ্রামের সভাপতি আল কাদেরি জয়, মিরাজ উদ্দিন ও রোকন উদ্দিনকে কারাগারে আটকে রাখা হয়েছে। অথচ সরকার প্রতিশ্রুতি দিচ্ছে, তারা শ্রমক্ষেত্রে আন্তর্জাতিক শ্রমমান বাস্তবায়ন করবে।

এ সময় নেতারা শ্রম সম্পর্ক উন্নয়নে সরকারের প্রতিশ্রুতি প্রতিফলিত হচ্ছে কি না, তা জানতে চান। তাঁরা বলেন, ট্রেড ইউনিয়ন গঠন করার অধিকার চর্চায় বাধা দেওয়া বন্ধ না হলে, শ্রমিকের ওপর নিপীড়ন বন্ধ না হলে অন্তর্ভুক্তিমূলক রাষ্ট্র পরিচালনা বা বৈষম্য নিরসনের প্রতিশ্রুতি শ্রমজীবী মানুষের কাছে প্রতারণা হিসেবে পরিগণিত হবে।

মে দিবসের ইতিহাস তুলে ধরে নেতারা আরও বলেন, বাংলাদেশের স্বাধীনতার ৫৪ বছর পরও দেশের শ্রমজীবী মানুষের ৮৫ শতাংশ শ্রম আইনের সুরক্ষার বাইরে। শ্রম সংস্কার কমিশনের প্রতিবেদনে বাংলাদেশের শ্রম খাতের দুর্দশার যে ভয়ানক চিত্র ফুটে উঠেছে, তা প্রমাণ করে স্বাধীনতা–পরবতী প্রতিটি সরকার শ্রম শোষণকে তীব্র থেকে তীব্রতর করার ক্ষেত্র তৈরি করেছে।

এ সময় গ্রেপ্তার সব শ্রমিকের মুক্তি, শ্রমিক নিপীড়ন বন্ধ এবং মে দিবসের প্রকৃত চেতনায় ঐক্যবদ্ধ আন্দোলন গড়ে তোলার আহ্বান জানান সমাজতান্ত্রিক শ্রমিক ফ্রন্টের নেতারা।

সম্পর্কিত নিবন্ধ