জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় (জাবি) প্রেস ক্লাবের কার্যকরী পরিষদ ২০২৫-২৬ এর নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়েছে।

এতে সভাপতি পদে দৈনিক জনকণ্ঠ পত্রিকার বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিনিধি ওয়াজহাতুল ইসলাম ও সাধারণ সম্পাদক পদে দৈনিক ভোরের কাগজ পত্রিকার প্রতিনিধি তানভীর ইবনে মোবারক নির্বাচিত হয়েছেন।

মঙ্গলবার (১৪ জানুয়ারি) দুপুর ১টায় ফলাফল ঘোষণা করেন সহকারী নির্বাচন কমিশনার ইতিহাস বিভাগের অধ্যাপক ড.

সুলতানা আক্তার। 

এর আগে, সকাল সাড়ে ৯টা থেকে দুপুর সাড়ে ১২টার পর্যন্ত প্রেস ক্লাব কার্যালয়ে ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হয়। এ সময় বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন সামাজিক ও রাজনৈতিক সংগঠনের নেতাকর্মীরা নির্বাচন পরিদর্শন করতে আসেন।

নতুন কার্যকরী কমিটির নির্বাচিতরা হলেন, সহ-সভাপতি মাহমুদুল হাসান (বার্তা ২৪), যুগ্ম-সম্পাদক রাহাত চৌধুরী (প্রতিদিনের সংবাদ), কোষাধ্যক্ষ ওসমান সরদার (দৈনিক যায়যায়দিন), দপ্তর সম্পাদক এসএম তাওহীদ (বাংলা ট্রিবিউন), গ্রন্থাগার ও প্রকাশনা সম্পাদক মো. শাহরিয়ার আলম (দৈনিক খোলা কাগজ)।

এছাড়া কার্যকরী সদস্য পদে মো. আহসান হাবীব (রাইজিংবিডি ডটকম) ও মো. রবিউল ইসলাম (ঢাকা টাইমস টুয়েন্টিফোর) নির্বাচিত হয়েছে।

এদিকে, সকালে নির্বাচন পরিদর্শন করতে আসেন বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. কামরুল আহসান। পরিদর্শন শেষে তিনি প্রেস ক্লাবের কার্যক্রম আরও গতিশীল করতে সংশ্লিষ্টদের সঙ্গে মতবিনিময় করেন এবং ক্লাবের উন্নয়নের বিভিন্ন দিক নিয়ে আলোচনা করেন।

নির্বাচন কমিশনার হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন দর্শন বিভাগের অধ্যাপক মো. জাকির হোসেন। এছাড়া সহকারী নির্বাচন কমিশনার ছিলেন, ইতিহাস বিভাগের অধ্যাপক ড. সুলতানা আক্তার ও প্রত্নতত্ত্ব বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ড. মো. মিজানুর রহমান। এছাড়া নির্বাচন কমিশনে সচিবের দায়িত্ব পালন করেন জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় প্রেসক্লাবের সাবেক সাধারণ সম্পাদক হাসিব সোহেল।

ফলাফল ঘোষণার পর সহকারী নির্বাচন কমিশনার সহযোগী অধ্যাপক মিজানুর রহমান বলেন, ‘একটি উৎসবমুখর পরিবেশে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় প্রেস ক্লাবের নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়েছে। আশা করি নবনির্বাচিত কমিটি এবং এর সদস্যরা বস্তুনিষ্ঠ সংবাদ পরিবেশন করার মাধ্যমে বিশ্ববিদ্যালকে জাতীয় ও আন্তর্জাতিক পর্যায়ে উপস্থাপন করবেন।”

ঢাকা/আহসান/মেহেদী

উৎস: Risingbd

এছাড়াও পড়ুন:

যশোরে ৪ আইনজীবীকে বহিষ্কার

যশোরে নানা অনিয়ম ও দুর্নীতিতে জড়িত থাকার অভিযোগ প্রমাণিত হওয়ায় চার আইনজীবীকে জেলা আইনজীবী সমিতি থেকে সাময়িক বহিষ্কারের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। 

বুধবার (১৭ সেপ্টেম্বর) জেলা আইনজীবী সমিতির নির্বাহী কমিটির সভায় সর্বসম্মতিক্রমে এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন জেলা আইনজীবী সমিতির সাধারণ সম্পাদক এম.এ. গফুর। 

অভিযুক্ত আইনজীবীরা হলেন- আব্দুর রাজ্জাক, সৈয়দ কবীর হোসেন জনি, রফিকুল ইসলাম এবং তরফদার আব্দুল মুকিত।

জেলা আইনজীবী সমিতি সূত্র জানায়, ওই চার আইনজীবীর মধ্যে আব্দুর রাজ্জাক এক এনজিওর ৪১ লাখ ১২ হাজার ৫০০ টাকা আত্মসাৎ করেন। ওই টাকা ফেরত দিতে তিনি অঙ্গীকার করে ১৫ লাখ টাকার একটি চেক দেন। কিন্তু পরবর্তীতে ওই চেক ডিজ অনার হয় এবং একই সাথে তিনি টাকা দিতে অস্বীকার করেন। এ ঘটনায় মক্কেল আইনজীবী সমিতিতে লিখিত অভিযোগ দেন।

অন্যদিকে, সৈয়দ কবীর হোসেন জনি একটি জমি ক্রয় করেন। কিন্তু ওই জমির মালিককে পূর্ণাঙ্গ টাকা না দিয়ে তালবাহানা করেন। শেষমেষ আট লাখ টাকা না দেওয়ায় জমির মালিক আইনজীবী সমিতিতে লিখিত অভিযোগ দেন।

এছাড়া, রফিকুল ইসলাম নিজে আইনজীবী হয়েও আরেক আইনজীবী নুরুল ইসলামকে নির্বাহী আদালতে অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ ও লাঞ্ছিত করেন। এ ঘটনায় নুরুল ইসলাম অভিযোগ দেন। অন্যদিকে, তরফদার আব্দুল মুকিত এক মক্কেলের কাছ থেকে টাকা নিয়ে কাজ করেননি। এছাড়া তিনি ওই মক্কেলের কাগজপত্র আটকে রেখে জিম্মি করে রাখেন। বাধ্য হয়ে তিনি মুকিতের বিরুদ্ধে অভিযোগ দেন সমিতিতে। 

এসব অভিযোগ জেলা আইনজীবী সমিতি পৃথকভাবে তদন্ত করে। একই সাথে চার আইনজীবীর বিরুদ্ধে অভিযোগ প্রমাণিত হওয়ায় তাদের বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা গ্রহণের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছেন জেলা আইনজীবী সমিতির সাধারণ সম্পাদক এম.এ. গফুর। 

তিনি বলেন, “বৃহস্পতিবার লিখিতভাবে তাদেরকে নোটিশ দিয়ে অবগত করা হবে।”

ঢাকা/রিটন/এস

সম্পর্কিত নিবন্ধ