হবিগঞ্জ সদর উপজেলার পইল গ্রামে চলছে প্রায় ২০০ বছরের ঐতিহ্যবাহী ‘মাছ মেলা’। পৌষ সংক্রান্তিতে এই মেলার আয়োজন এখানে দীর্ঘদিনের রেওয়াজ। প্রতি বছরের মতো এবারও পইল গ্রামের ঈদগাহের পাশে বসেছে মেলা। এবারের মেলায় মুদ্দত আলী ও ইমরান মিয়া নামে দুই মৎস্য ব্যবসায়ী দুটি বাঘাইড় মাছ এনেছেন। তারা মাছ দুটির দাম চেয়েছেন তিন লাখ টাকা।
মঙ্গলবার (১৪ জানুয়ারি) বিকেল পইল মেলায় কথা হয় কিশোরগঞ্জের কুলিয়ারচরের বাসিন্দা ইমরান মিয়ার সঙ্গে। তিনি জানান, মাছটি নদীর। জেলেদেরর কাছ থেকে কিনে মাছটি মেলায় এনেছেন তিনি। বিশাল এ মাছটির দাম চাচ্ছেন দেড় লাখ টাকা। ক্রেতারা দাম বলছেন। কিছু লাভে মাছটি বিক্রি করে দেবেন বলেও জানান তিনি।
আরো পড়ুন: পইলের মাছের মেলায় মানুষের ঢল
আরো পড়ুন:
পইলের মাছের মেলায় মানুষের ঢল
শতবর্ষী মাছের মেলা, কোটি টাকা বিক্রির আশা
মাছটি কতো টাকায় কিনেছেন জানতে চাইলে কোনো উত্তর দেননি এই বিক্রেতা।
ইমরানের পাশেই মাছ নিয়ে বসেছেন হবিগঞ্জ সদর উপজেলার নোয়াগাঁও গ্রামের মুদ্দত আলী। তিনি জানান, মেঘনা নদীতে ধরা পড়া ৩০ কেজির ওজনের বাঘাইড় নিয়ে তিনি এসেছেন মেলায় বিক্রির জন্য। তিনিও তার কাছে থাকা মাছটির দাম চেয়েছেন দেড় লাখ টাকা।
সাংবাদিক বদরুল আলম বলেন, “পৌষ সংক্রান্তি এই মেলা প্রায় ২০০ বছর ধরে আয়োজন করা হচ্ছে। মেলার প্রধান আকর্ষণ মিঠা পানির বাঘাইড়সহ বিভিন্ন প্রজাতির মাছ। এখানে দেখা মেলে বিলুপ্তপ্রায় অনেক মাছেরও। বাঘাইড় ছাড়াও মেলায় বিশালাকৃতির বোয়াল ও কাতল মাছের দেখা মিলেছে। এসব মাছ দেখতে ভিড় করেন মেলায় আসা নারী, পুরুষ ও শিশুরা।”
জেলা যুবদলের যুগ্ম-আহ্বায়ক মিজানুর রহমান সুমন বলেন, “প্রতি বছর মাঘ মাসের ১ তারিখে এখানে মাছের মেলা বসে। মেলায় আশপাশের বিভিন্ন জেলা থেকে ক্রেতা ও মাছ বিক্রেতারা আসেন। এ মেলাকে কেন্দ্র করে একটি উৎসবের আমেজ বিরাজ করে। মেলায় নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে স্থানীয় স্বেচ্ছাসেবকদের পাশাপাশি পুলিশও মোতায়েন রয়েছে। প্রতি বছর মেলায় কয়েক কোটি টাকার মাছ বিক্রি করা হয়ে থাকে।
হবিগঞ্জ সদর মডেল থানার ওসি আলমগীর কবির বলেন, পইল মেলার ঐতিহ্য রয়েছে। মেলায় কঠোর নিরাপত্তার ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে। শান্তিপূর্ণভাবে মেলা চলছে।
ঢাকা/মামুন/মাসুদ
.উৎস: Risingbd
এছাড়াও পড়ুন:
নতুন আইফোন কেনার মতো টাকা আয় করতে যুক্তরাষ্ট্রে লাগবে ৫ দিন, বাংলাদেশে কত দিন
ছবি: অ্যাপল