ভারতীয় বাংলা সিনেমার পরিচালক সৃজিত মুখার্জি। একই ইন্ডাস্ট্রির জনপ্রিয় অভিনেত্রী ঋতাভরী চক্রবর্তীকে ঘিরে খবরের শিরোনাম হয়েছেন বাংলাদেশি মডেল-অভিনেত্রী রাফিয়াথ রশীদ মিথিলার বর সৃজিত। দুই বাংলার গণমাধ্যমে একযোগে তাদের নিয়ে খবর প্রকাশিত হয়েছে।
মূলত, সৃজিত মুখার্জি তার ইনস্টাগ্রাম অ্যাকাউন্টে গতকাল একটি ছবি পোস্ট করেন। তাতে দেখা যায়, সৃজিতের বুকে মাথা রেখে ফ্রেমবন্দি হয়েছেন ঋতাভরী। ছবিটির ক্যাপশনে ‘অটোগ্রাফ’খ্যাত এই নির্মাতা লেখেন— “জমাখরচ হিসেবনিকেশ, কোথায় শুরু, কোথায় বা শেষ, কেমন আছো? অনেক বছর পেরিয়ে এলাম, হঠাৎ তোমার দেখা পেলাম, কেমন আছো?”
এরপর থেকে চর্চায় পরিণত হয়েছেন সৃজিত-ঋতাভরী। কিন্তু একজন নির্মাতার সঙ্গে জনপ্রিয় একজন অভিনেত্রী এভাবে ছবি তুলতেই পারেন! তবু কেন চর্চাটা জোরালো হয়েছে সেটাই মূল প্রশ্ন। এ প্রশ্নের উত্তর খুঁজতে কয়েক বছর পেছনে যেতে হবে। কারণ আট বছর আগে প্রেমের সম্পর্কে জড়িয়েছিলেন এই জুটি। দুই প্রাক্তন মুখোমুখি হয়ে পাতাঢাকা গল্প বাইরে টেনে বের করেছেন তারা।
আরো পড়ুন:
পাঁজরের হাড় ভেঙেছে বাসন্তী চ্যাটার্জির, পাশে নেই পরিবার
‘তোমায় আর একবার দেখার জন্য সব করতে পারি বাবা’
২০১৭ সালে সৃজিত ও ঋতাভরী আচমকাই প্রেমের সম্পর্কে জড়ান। সেই সময় পরিচালক ব্যস্ত ছিলেন ‘কাকাবাবু’ সিনেমার শুটিং নিয়ে। আর শুটিংয়ের ফাঁকেই ঋতাভরীর সঙ্গে লাঞ্চ কিংবা ডিনার ডেটে দেখা যেত। হোয়াসঅ্যাপেও দীর্ঘ সময় চ্যাট করতেন। শুধু তাই নয়, সেই সময় ঋতাভরী প্রায়ই মুম্বাই যেতেন শুটের কাজে। বিমানবন্দর থেকে আনতে যেতেও দেখা গেছে এই পরিচালককে।
একই বছর ঋতাভরীর জন্মদিনের পার্টিতেও উপস্থিতি ছিলেন সৃজিত। প্রিয় মানুষকে কেক খাওয়ানো থেকে একসঙ্গে ছবি তোলা— সবই তারা সকলের সামনে করেছেন। টলিপাড়ায় গুঞ্জন চাউর হয়েছিল সৃজিতের ঘরণী হতে যাচ্ছেন ঋতাভরী। সৃজিতের সঙ্গে ঋতাভরীর পরিচয় ‘চতুষ্কোণ’ সিনেমা থেকে। এক সাক্ষাৎকারে ঋতাভরী বলেছিলেন— “গত তিন বছরে ভালোবাসার চেয়ে সৃজিতের সঙ্গে ঝগড়া বেশি করেছি।”
সবকিছু মিলিয়ে সৃজিত-ঋতাভরীর প্রেমের রসায়ন সবারই দৃষ্টি কেড়েছিল। যদিও সৃজিত এ সম্পর্ক নিয়ে কখনো খোলামেলা আলোচনা করেননি। বরং সম্পর্কটাকে গোপন রেখেছিলেন। সৃজিত আড়াল করলেও ঋতাভরী এই পরিচালকের সঙ্গে ঘর বাঁধার স্বপ্নও সাজিয়েছিলেন। কিন্তু সেই প্রেম আকস্মিকভাবে ভেঙে যায়।
এরপর দুজনের পথ আলাদা হয়ে যায়। ২০১৯ সালে মিথিলাকে বিয়ে করে সংসারী হন সৃজিত। আর ঋতাভরী মনোবিদ তথাগত চ্যাটার্জির সঙ্গে প্রেমের সম্পর্কে জড়ান। কিন্তু এ সম্পর্কও টিকেনি। বর্তমানে ‘জওয়ান’ সিনেমার সংলাপ রচয়িতা সুমিত আরোরার সঙ্গে প্রেম করছেন ঋতাভরী। শোনা যাচ্ছে, চলতি বছরের শেষের দিকে বিয়েও করবেন তারা। এরই মাঝে পুরোনো প্রেম ছাইচাপা আগুনের মতো জ্বলে উঠেছে।
তথ্যসূত্র: হিন্দুস্তান টাইমস, আজতাক
ঢাকা/শান্ত
.উৎস: Risingbd
এছাড়াও পড়ুন:
সায়েমের অলরাউন্ড পারফরম্যান্সে পাকিস্তানের জয়ে শুরু
জয়ের ধারাবাহিকতায় পাকিস্তান। বাংলাদেশের বিপক্ষে ঢাকায় শেষ টি-টোয়েন্টি জয়ের পর ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে তিন ম্যাচ সিরিজের প্রথমটিতেও জয় পেয়েছে তারা।
অলরাউন্ড পারফরম্যান্সে পাকিস্তানের জয়ের নায়ক সায়েম আইয়ুব। তার ৩৮ বলে ৫৭ রানের ইনিংসে ভর করে পাকিস্তান লাডারহিলে ৬ উইকেটে ১৭৮ রান করে। জবাব দিতে নেমে ওয়েস্ট ইন্ডিজ ৭ উইকেটে ১৬৪ রানের বেশি করতে পারেননি। দারুণ ব্যাটিংয়ের পর বোলিংয়ে সায়েম ২০ রানে ২ উইকেট নেন। ১৪ রানের জয়ে সিরিজে ১-০ ব্যবধানে এগিয়ে পাকিস্তান।
টস হেরে ব্যাটিংয়ে নেমে পাকিস্তান শুরুতে শাহিবজাদা ফারহানের উইকেট হারায়। ১২ বলে ১৪ রান করে আউট হন ডানহাতি ব্যাটসম্যান। তিনে নেমে ফখর সায়েমকে সঙ্গ দেন। দুজন ৮১ রানের জুটি গড়েন। এ সময়ে ফখর ২ চার ও ১ ছক্কায় ২৪ বলে ২৮ রান করেন। বাকি রান আসে সায়েমের ব্যাটে। এ সময়ে তিনি তুলে নেন ক্যারিয়ারের দ্বিতীয় ফিফটি। হোল্ডারের বলে এলবিডব্লিউ হলে থেমে যায় তার ইনিংস।
এরপর হাসান নওয়াজের ১৮ বলে ২৪, সালমান আগার ১০ বলে ১১, ফাহিম আশরাফের ৯ বলে ১৫ রানে পাকিস্তান লড়াকু পুঁজি পায়। শেষ দিকে ১ বল খেলার সুযোগ পান হারিস। ছক্কায় উড়িয়ে পাকিস্তানের শেষটা ভালো করেন তিনি।
বোলিংয়ে ওয়েস্ট ইন্ডিজের হয়ে সেরা ছিলেন শামার জোসেফ। ৩০ রানে নেন ৩ উইকেট।
লক্ষ্য তাড়ায় উদ্বোধনী জুটিতে ৭২ রান পায় ওয়েস্ট ইন্ডিজ। এরপর হঠ্যাৎ ছন্দপতন। ৫ রান পেতেই ৩ উইকেট হারায় স্বাগতিকরা। ওই ধাক্কার পর তারা আর ঘুরে দাঁড়াতে পারেনি। জনসন চার্লস ও জুয়েল অ্যান্ড্রু ৩৫ রানের দুটি ইনিংস খেলেন। শেই হোপ (২), গুদাকেশ মোটি (০), শেফরন রাদারফোর্ড (১১) ও রস্টন চেজ (৫) দ্রুত আউট হন। শেষ দিকে পরাজয়ের ব্যবধান কমান হোল্ডার ও জোসেফ। হোল্ডার ১২ বলে ৪ ছক্কায় ৩০ রান করেন। ১২ বলে ১ চার ও ২ ছক্কায় ২১ রান করেন জোসেফ ।
পাকিস্তানের বোলারদের মধ্যে সেরা ছিলেন হাসান নওয়াজ। ২৩ রানে ৩ উইকেট নেন বাঁহাতি স্পিনার। সায়েমের ২ উইকেট বাদে ১টি করে উইকেট পেয়েছেন শাহীন শাহ আফ্রিদি ও সুফিয়ান মুকিম।
আগামীকাল একই মাঠে সিরিজের দ্বিতীয় টি-টোয়েন্টি অনুষ্ঠিত হবে।
ঢাকা/ইয়াসিন