ব্যাংক হিসাব তলব আরও ১৪ সাংবাদিকের
Published: 15th, January 2025 GMT
আরও ১৪ সাংবাদিকের ব্যাংক হিসাবের তথ্য তলব করেছে বাংলাদেশ ফাইন্যান্সিয়াল ইন্টেলিজেন্স ইউনিট–বিএফআইইউ। এ নিয়ে কয়েক দফায় একশর মতো সাংবাদিকের তথ্য চাওয়া হলো। বুধবার সব ব্যাংকে এ-সংক্রান্ত চিঠি দিয়ে সাত দিনের মধ্যে তথ্য দিতে বলা হয়েছে।
বিএফআইইউ থেকে তথ্য চাওয়ার তালিকায় আছেন– ইউএনবির উপদেষ্টা সম্পাদক ফরিদ হোসেন, এপির ব্যুরো চিফ জুলহাস আলম, বাংলাদেশ জার্নালের সম্পাদক শাহজাহান সরদার, ঢাকা ট্রিবিউনের স্টাফ রিপোর্টার আলী আসিফ শাওন, ডেইলি পিপল লাইফের সম্পাদক আজিজুল হক ভূঁইয়া, বাসসের স্পোর্টস ইনচার্জ স্বপন বসু, ডিবিসি নিউজের সিনিয়র রিপোর্টার রাজীব ঘোষ ও স্টাফ রিপোর্টার তাহমিদা সাদেক জেসি, চ্যানেল আইয়ের সিনিয়র রিপোর্টার নীলাদ্রি শেখর কুণ্ডু, বাংলা টিভির সাংবাদিক নজরুল কবীর, গাজী টিভির বার্তা সম্পাদক ইকবাল করিম নিশান, গ্রীন টিভির সাংবাদিক সাজু রহমান ও বাংলা ভিশনের সাবেক কর্মী আমিনুর রশীদ। প্রত্যেকের হিসাব খোলার ফরম, শুরু থেকে হালনাগাদ লেনদেন বিবরণীসহ বিস্তারিত তথ্য দিতে বলা হয়েছে।
বিএফআইইউর এক কর্মকর্তা সমকালকে বলেন, অভিযোগ বা বিভিন্ন সরকারি সংস্থার চাহিদার ভিত্তিতে হিসাব তলব করা হয়। সেখানে কোনো অনিয়ম পাওয়া গেলে সংশ্লিষ্ট ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠানের হিসাব ফ্রিজ বা অন্য ব্যবস্থা নেওয়া হয়। অনিয়ম-দুর্নীতি, ক্ষমতার অপব্যবহার করে অবৈধ সম্পদ অর্জন ছাড়াও অর্থের বিনিময়ে সাম্প্রতিক সময়ে বিভিন্ন মাধ্যমে অপপ্রচার ছড়ানোর অভিযোগ পাওয়া যাচ্ছে। যে কারণে অনেকের ব্যাংক হিসাব তলব করা হচ্ছে।
.উৎস: Samakal
কীওয়ার্ড: ব এফআইইউ
এছাড়াও পড়ুন:
ফুটবলার প্রতিমা এগিয়ে যাচ্ছেন, পাশে আছে কিশোর আলোসহ অনেকে
একটি পরিবারের ওপর নেমে আসা অপ্রত্যাশিত চাপ আর হতাশাকে দূর করেছে একটি সংবাদ। বাংলাদেশ অনূর্ধ্ব-১৫ ও অনূর্ধ্ব-১৭ জাতীয় ফুটবল দলের খেলোয়াড় প্রতিমা মুন্ডার পড়াশোনা ও খেলাধুলা থমকে যাওয়ার উপক্রম হয়েছিল মাত্র ৪৭ হাজার টাকার জন্য। প্রথম আলোয় প্রতিবেদন প্রকাশের পর মিলেছে সহযোগিতা, পরিশোধ হয়ে গেছে বিকেএসপির বকেয়া।
এতে স্বস্তির নিশ্বাস ফেলেছেন প্রতিমার মা সুনিতা মুন্ডা। তাঁদের ওপর থেকে নেমে গেছে বড় ধরনের আর্থিক চাপ।
গত ২৫ সেপ্টেম্বর বিকেএসপি প্রতিমার অভিভাবককে পাঠানো চিঠিতে জানিয়েছিল, তাঁদের মেয়ের বকেয়া বেতন ৪৬ হাজার ৮৪০ টাকা। সেই চিঠিতেই সতর্ক করে বলা হয়, ছয় মাসের বেশি বেতন বকেয়া থাকলে চূড়ান্ত সতর্কীকরণ, আর ১২ মাসের বেশি বকেয়া থাকলে বহিষ্কারের বিধান আছে। অর্থাভাবে যখন অনিশ্চিত হয়ে উঠেছিল প্রতিমার ভবিষ্যৎ, ঠিক সেই সময় ১১ অক্টোবর প্রথম আলোয় প্রকাশিত হয় তাঁদের পরিবারের সংগ্রামের গল্প।
আরও পড়ুনবকেয়া বেতন চেয়ে বিকেএসপির চিঠি, ফুটবলার প্রতিমার পড়াশোনা বন্ধের পথে ১১ অক্টোবর ২০২৫প্রতিবেদনটি পাঠকের হৃদয়ে নাড়া দেয়। কিশোর আলোর পক্ষ থেকে প্রতিমার বকেয়া পরিশোধের উদ্যোগ নেওয়া হয়। ওই দিনই বিকেলে সাতক্ষীরার তালা উপজেলার দুর্গাপুর গ্রামে গিয়ে প্রথম আলোর সাতক্ষীরার নিজস্ব প্রতিবেদক কল্যাণ ব্যানার্জি প্রতিমা ও তাঁর মা সুনিতা মুন্ডার হাতে ৫০ হাজার টাকা তুলে দেন। মিডিয়া ব্যক্তিত্ব ও শিশুসাহিত্যিক ফরিদুর রেজা সাগরের সৌজন্যে নেওয়া হয় এই উদ্যোগ। নাম প্রকাশ না করার শর্তে একজন ব্যবসায়ী সহায়তা করেন আরও ১০ হাজার টাকা। তালা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) দীপা রানী সরকার দেন পাঁচ হাজার টাকা ও একটি ফুটবল।
সহায়তা পেয়ে স্বস্তি ফিরেছে পরিবারে। মুঠোফোনে প্রতিমা বলেন, ‘এখন আর কোনো অনিশ্চয়তা নেই। বিকেএসপির পাওনা ৪৬ হাজার ৮৪০ টাকা পরিশোধ করে দিয়েছি। আমি ভালো আছি, মনোযোগ দিয়ে পড়াশোনা আর অনুশীলন করছি।’
সাতক্ষীরার তালা উপজেলার প্রতিমা মুন্ডা ও তাঁর মা সুনিতা মুন্ডার হাতে কিশোর আলোর পক্ষ থেকে ৫০ হাজার টাকা তুলে দেওয়া হয়। মিডিয়া ব্যক্তিত্ব ও শিশুসাহিত্যিক ফরিদুর রেজা সাগরের সৌজন্যে এই উদ্যোগ নেওয়া হয়