রাবি কর্মকর্তা-কর্মচারীদের ফের পূর্ণদিবস কর্মবিরতি
Published: 16th, January 2025 GMT
রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের (রাবি) ভর্তি পরীক্ষায় পোষ্য কোটা পুনর্বহালের দাবিতে আবারো পূর্ণদিবস কর্মবিরতি পালন করেছেন কর্মকর্তা-কর্মচারীরা।
বৃহস্পতিবার (১৬ জানুয়ারি) সকাল ১০টা থেকে বিশ্ববিদ্যালয়ের সৈয়দ নজরুল ইসলাম প্রশাসন ভবনের সামনে এ কর্মসূচি শুরু হয়। এ সময় জরুরি পরিষেবা ছাড়া বিশ্ববিদ্যালয়ের সব ধরনের দাপ্তরিক কাজ বন্ধ রাখেন তারা।
কর্মসূচিতে বক্তারা বলেন, পোষ্য কোটা কোনো কোটা নয়, এটা তাদের প্রাতিষ্ঠানিক অধিকার। তারা প্রাতিষ্ঠানিক অধিকার ১ শতাংশ চান না, তারা ৫ শতাংশই বহাল চান। যতদিন না তাদের অধিকার প্রতিষ্ঠিত হবে, ততদিন পর্যন্ত আন্দোলন চালিয়ে যাওয়ার ঘোষণা দিয়েছেন তারা।
কর্মসূচিতে বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাপাখানার কর্মকর্তা রবিউল ইসলাম বলেন, “এ দাবি শুধু নির্দিষ্ট কিছু কর্মচারী, কর্মকর্তা বা শিক্ষকদের নয়, এটা আমাদের সবার দাবি। গত জুলাই বিপ্লবে সবার সম্মিলিত অংশগ্রহণে আমরা দ্বিতীয় স্বাধীনতা অর্জন করেছি। যে স্বাধীনতার লক্ষ্য ছিল সকল প্রকার বৈষম্য দূর করা। কিন্তু এই বিপ্লবের পরে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় অশান্ত হয়ে ওঠেছে। যেখানে অন্য বিশ্ববিদ্যালয়ে ফ্যাসিবাদের দোসরদের বিরুদ্ধে আন্দোলন হলো, সেখানে এ বিশ্ববিদ্যালয়ে অ-গুরুত্বপূর্ণ ইস্যু নিয়ে আন্দোলন করা হলো।”
তিনি আরো বলেন, “বিশ্ববিদ্যালয়ে যদি তিনটি ফুল হয়; তার একটা প্রশাসন, একটা কর্মকর্তা-কর্মচারী এবং আরেকটা সব থেকে গুরুত্বপূর্ণ শিক্ষার্থী। তাহলে আপনারা কেন আমাদের বুঝলেন না? কেন আলোচনা করলেন না? হটাৎ করে অবরুদ্ধ করে দিলেন। কোটার বিরুদ্ধে আন্দোলন করেছেন আমরা পাশে ছিলাম। কিন্তু আমাদের সঙ্গে এমন কেন করলেন? আমরা আপনাদের সহায়ক শক্তি। আমাদের ছাড়া চলতে পারবেন না।”
সেন্ট্রাল সায়েন্স ল্যাবের উপ-রেজিস্ট্রার মো.
তিনি বলেন, “আমরা বার বার বলে আসছি, এটা কোনো কোটা নয়, এটা আমাদের প্রাতিষ্ঠানিক অধিকার। যতদিন না আমাদের অধিকার প্রতিষ্ঠিত হবে, ততদিন পর্যন্ত আন্দোলন চালিয়ে যাব।”
রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় কর্মকর্তা সমিতির দপ্তর সম্পাদক রিয়াজ উদ্দিনের সঞ্চালনায় এতে বিভিন্ন বিভাগ, অনুষদ ও ইনস্টিটিউটের প্রায় ৩ শতাধিক কর্মকর্তা-কর্মচারী অংশগ্রহণ করেন।
ঢাকা/ফাহিম/মেহেদী
উৎস: Risingbd
এছাড়াও পড়ুন:
উত্তরা হত্যাকাণ্ডে সাবেক মেয়র আতিকসহ ৭ জনকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হবে
জুলাই গণ–অভ্যুত্থানের সময় রাজধানীর উত্তরা এলাকায় সংঘটিত মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের সাবেক মেয়র আতিকুল ইসলামসহ সাতজনকে জিজ্ঞাসাবাদের অনুমতি দিয়েছেন আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল। তাঁদের ২২ জুন থেকে ২৫ জুন ট্রাইব্যুনালের তদন্ত সংস্থায় জিজ্ঞাসাবাদ করা হবে।
বিচারপতি মো. গোলাম মর্তূজা মজুমদারের নেতৃত্বে তিন সদস্যের ট্রাইব্যুনাল সোমবার এ আদেশ দেন। ট্রাইব্যুনালের অপর দুই সদস্য হলেন বিচারপতি মো. শফিউল আলম মাহমুদ ও বিচারপতি মো. মোহিতুল হক এনাম চৌধুরী।
শুনানিতে প্রসিকিউটর মো. সাইমুম রেজা তালুকদার বলেন, জুলাই গণ–অভ্যুত্থানের তিন দিনে উত্তরায় ৯২ জনকে হত্যা করা হয়েছে। এ জন্য সাবেক মেয়র আতিকুল ইসলামসহ সাতজনকে জিজ্ঞাসাবাদ করা প্রয়োজন।
পরে ট্রাইব্যুনাল জিজ্ঞাসাবাদের সেই আবেদন মঞ্জুর করেন। ২২ জুন জিজ্ঞাসাবাদ করা হবে উত্তরা পূর্ব থানার সাবেক ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. মুজিবুর রহমানকে। সাবেক মেয়র আতিকুল ইসলাম ও উত্তরা পূর্ব থানা আওয়ামী লীগের শিক্ষাবিষয়ক সম্পাদক মো. শাহিনুর মিয়াকে ২৩ জুন জিজ্ঞাসাবাদ করা হবে।
এ ছাড়া উত্তরা পশ্চিম থানা আওয়ামী লীগের সভাপতি মনোয়ার ইসলাম চৌধুরী ও গাজীপুর মহানগর আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক আবদুল্লাহ আল মামুনকে ২৪ জুন। পরদিন ২৫ জুন জিজ্ঞাসাবাদ করা হবে উত্তরা ৬ নম্বর সেক্টর আওয়ামী লীগের সভাপতি মো. বশির উদ্দিন ও ঢাকা মহানগর উত্তরের ১ নম্বর ওয়ার্ডের যুবলীগের সভাপতি দেলোয়ার হোসেনকে।