৪ কোটি বাজেটে ১০৮ কোটি আয়, রাজ–সিমরানের জাদু চলছেই
Published: 20th, October 2025 GMT
হিন্দি রোমান্টিক সিনেমা কম হয়নি। তবে সব সিনেমার মধ্যে ‘দিলওয়ালে দুলহানিয়া লে যায়েঙ্গে’র (‘ডিডিএলজে’) জায়গা যে আলাদা, সেটা হিন্দি সিনেমার দর্শক হিসেবে আপনার জেনে যাওয়ার কথা। মুক্তির পর কয়েক দশক পেরিয়ে গেছে, তবু রাজ–সিমরানের রসায়নে বুঁদ অনেক দর্শক। আজ সিনেমাটির মুক্তির ৩০ বছর পূর্ণ হচ্ছে; ১৯৯৫ সালের আজকের দিনেই মুক্তি পেয়েছিল আদিত্য চোপড়ার সিনেমাটি।
গল্প কী নিয়ে
সিমরান (কাজল) তার ঐতিহ্যবাহী পরিবার নিয়ে লন্ডনের উপকণ্ঠে নিরুত্তাপ জীবন কাটাচ্ছে। তার স্বপ্ন নিজের মতো করে জীবন কাটানো। সিমরানের বাবা বলদেব (অমরেশ পুরী) কঠোর স্বভাবের মানুষ; পারিবারিক ঐতিহ্যের বাইরে যেতে চান না। ছোটবেলা থেকেই সিমরানকে বলা হয়েছে বাবার বন্ধু অজিতের ছেলে কুলজিতের (পারমিত শেঠি) সঙ্গে তার বিয়ে হবে। সিমরান বন্ধুদের সঙ্গে ইউরোপ সফরে যেতে চায়, তাকে অবাক করে বাবা অনুমতিও দেন। লন্ডন থেকে ছেড়ে যাওয়া ট্রেনে সিমরানের সঙ্গে দেখা হয় রাজের (শাহরুখ খান)। শুরুতে ঝামেলা, পরে বন্ধুত্ব থেকে প্রেমে গড়ায় সম্পর্ক। এরপরেই শুরু হয় ঝামেলা। শেষ পর্যন্ত রাজ–সিমরানের কী হয়, সেটা জানতে দেখতে হবে সিনেমাটি।
এখনো চর্চায়
মুক্তির ৩০ বছর পরও ‘দিলওয়ালে দুলহানিয়া লে যায়েঙ্গে’ এখনো দর্শকের মনে জায়গা করে রেখেছে। রাজ-সিমরানের (শাহরুখ খান ও কাজল) প্রেমকাহিনি শুধু হৃদয় ছুঁয়েই যায়নি, বলিউডে এক নতুন ধারা সৃষ্টি করেছিল। আর সেই গল্পের স্মরণীয় চরিত্র ছিল সিমরানের বাবা বলদেব সিংয়ের চরিত্র; যাতে অভিনয় করেছিলেন অমরেশ পুরী।
বলদেব চরিত্রটি দ্বন্দ্বের প্রতীক। সিমরানকে বিদেশে পড়াশোনা করতে দেন, বন্ধুদের সঙ্গে ইউরোপ ভ্রমণে পাঠান, আধুনিক পোশাক পরার স্বাধীনতাও দেন। কিন্তু প্রেম-বিয়ের ক্ষেত্রে তিনি কড়া নিয়ন্ত্রণ চান—মেয়ের বিয়ে যেন শুধু তাঁর পছন্দের ছেলের সঙ্গেই হয়। এই নিয়ন্ত্রিত স্বাধীনতা আজও বলিউডে দেখা যায়।
উৎস: Prothomalo
এছাড়াও পড়ুন:
সকালেই পড়ুন আলোচিত ৫ খবর
ছবি: তারেক রহমানের ফেসবুক থেকে নেওয়া