বন্দরে সন্ত্রাসী হামলা, ভাংচুর লুটপাট : স্বামী-স্ত্রীকে কুপিয়ে
Published: 16th, January 2025 GMT
বন্দরের ধামগড়ে পূর্ব শত্রুতার জের ধরে বাড়ি ঘরে সন্ত্রাসীরা হামলা চালিয়ে ভাংচুর লুটপাট করেছে। এ সময় সন্ত্রাসীরা দেশীয় অস্ত্র সস্ত্র ও লোহার রড়, চাইনিজ কুড়াল, চাপাতি দিয়ে কুপিয়ে এক দম্পত্তিকে রক্তাক্ত জখম করে আহত করেছে। আহতরা হলো- ধামগড় এলাকার জহিরুল হক এর বাড়ির ভাড়াটিয়া রফিক ওরফে রকি (৫৫) ও তার স্ত্রী নুর নাহার (৪২)।
এ ঘটনায় মৃত ছাদেক আলীর ছেলে ভুক্তভোগী আহত মো: রফিক ওরফে রকি বাদী হয়ে বন্দর থানায় ৩ জনের নাম উল্লেখসহ ৩/৪ জনকে অজ্ঞাত করে লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন।
অভিযুক্তরা হলো- বন্দরের রামনগর ২৬নং ওয়ার্ডের ধামগড় এলাকার মৃত ফালু মুন্সির ছেলে মো: রহিম (৫০) ও মো: ইমাম হোসেন (৪০), একই এলাকার মো.
অভিযোগে আহত রকি উল্লেখ করেন, অভিযুক্তরা ও আমরা একই এলাকার প্রতিবেশি ও পাশাপাশি বসবাস করি। বিবাদীদের কাছে পাওনা টাকা সহ বিভিন্ন বিষয় নিয়ে বিরোধ ছিল।
এর জের ধরিয়া গত ১৩ জানুয়ারি বিকেল সাড়ে ৪টার দিকে উল্লেখিত বিবাদীরা সহ অজ্ঞাত নামা আরো কয়েক জন পূর্ব পরিকল্পিতভাবে বে আইনী জনতাবদ্ধে দেশীয় ধারালো অস্ত্র সস্ত্র ও লোহার রড়, চাইনিজ কুড়াল, চাপাতি দিয়া আমার ভাড়া বাড়িতে প্রবেশ করিয়া আমার স্ত্রী নুর নাহারকে অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করিতে থাকে। আমি ও আমার ছেলের বৌ লিছা (১৯), মেয়ে রেখা (২০) বিবাদীদের বাধা নিষেধ করিলে তারা আমাদের উপর এলোপাতাড়ি মারধর করতে থাকে।
পরবর্তীতে রাম দা দিয়ে হত্যার উদ্দেশ্যে আমার মাথার পিছনে ও মাথার বাম এবং ডান পাশে কুপিয়ে মারাত্মক রক্তাক্ত জখম করে। পরে আমার গলা চেপে ধরে হত্যাচেষ্টা করে।
এ সময় হামলাকারীরা আমার ছেলের বৌ এর গলায় থাকা ৮ আনা ওজনের স্বর্নের চেইন, ৬ আনা ওজনের কানের দুল নিয়া যায়, যার মূল্য ৬৫ হাজার টাকা, আমার মেয়ের গলায় থাকা ৮ আনা ওজনের স্বর্নের চেইন ও ৮ আনা ওজনের কানের দুল নিয়ে যায় যার মূল্য ৮৫ হাজার টাকা।
পরে তারা ঘরের বিভিন্ন আসবাবপত্র ভাংচুর করে ২৫ হাজার টাকার ক্ষতি সাধন করে। এক পর্যায় আমাদের ডাক চিৎকারে আশেপাশের লোকজন এগিয়ে আসলে হামলাকারীরা আমাদের প্রানানাশের হুমকী দিয়ে চলে যায়।
পরে আমি ও আমার স্ত্রী আশেপাশের লোকজনের সহায়াতায় বন্দর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে গিয়ে চিকিৎসা করি।
অভিযোগ তদন্তকারী কর্মকর্তা বন্দর থানার এসআই কামরুজ্জামান বলেন অভিযোগ পেয়েছি। বিষয়টি তদন্তনাধীন।
উৎস: Narayanganj Times
কীওয়ার্ড: ন র য়ণগঞ জ এল ক র ওজন র
এছাড়াও পড়ুন:
বিএনপির শ্রমিক সমাবেশ শুরু
কোরআন তেলাওয়াতের মধ্য দিয়ে শুরু হয়েছে বিএনপির শ্রমিক সমাবেশ। মহান মে দিবস উপলক্ষে ঢাকার নয়াপল্টনে জাতীয়তাবাদী শ্রমিক দল আয়োজিত এ সমাবেশে হাজার হাজার নেতকর্মী উপস্থিত হয়েছেন।
বৃহস্পতিবার (১ মে) দুপুর ২টা ১৫ মিনিটে ওলামা দলের সিনিয়র যুগ্ম আহ্বায়ক কারী গোলাম মোস্তফার কোরআন তেলাওয়াত শুরু করেন।
এর আগে দুপুর ১২টা থেকে সমাবেশ মঞ্চে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান শুরু হয়। এতে বিএনপির সাংস্কৃতিক সংগঠন জাসাসের শিল্পীরা গান পরিবেশন করেন।
দুপুর আড়াইটায় আনুষ্ঠানিকভাবে সমাবেশ শুরু হওয়ার কথা থাকলেও সকাল থেকেই মিছিল নিয়ে ঢাকা মহানগরী ও আশপাশের জেলা থেকে দলে দলে নেতাকর্মীরা যোগ দেন সমাবেশে।
নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে আয়োজিত এ সমাবেশে প্রধান অতিথি হিসেবে লন্ডন থেকে ভার্চুয়াল মাধ্যমে যুক্ত হয়ে বক্তব্য দেবেন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান।
শ্রমিক দলের সভাপতি আনোয়ার হোসেনের সভাপতিত্বে সমাবেশ মঞ্চে উপস্থিত আছেন বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা আমানউল্লাহ আমান, ভাইস চেয়ারম্যান আহমেদ আজম খান, সহ দপ্তর সম্পাদক তাইফুল ইসলাম টিপুসহ বিএনপির সিনিয়র নেতারা। সমাবেশে শ্রমিক দলের পক্ষ থেকে তুলে ধরা হবে ১২ দফা দাবি।
সমাবেশ স্থলে দেখা যায়, নেতাকর্মীরা ব্যানার, মাথায় নানা রঙের ক্যাপ, দলীয় টি-শার্ট পরে নয়পল্টনে আসছেন। জায়গায় জায়গায় চলছে স্লোগান, দলীয় সংগীত আর ঢাক-ঢোলের বাদ্য।
সমাবেশস্থলে দলের কেন্দ্রীয় নেতাদের পাশাপাশি উপস্থিত রয়েছেন বিএনপি চেয়ারপারসনের বিশেষ সহকারী শামসুর রহমান শিমুল বিশ্বাস, জাতীয়তাবাদী সাংস্কৃতিক সংস্থা (জাসাস) আহ্বায়ক হেলাল খান, সদস্যসচিব জাকির হোসেন রোকন প্রমুখ।
এদিকে, আইনশৃঙ্খলা রক্ষায় সমাবেশস্থলে পুলিশসহ অন্যান্য আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যরা সতর্ক অবস্থানে রয়েছেন। জিরো পয়েন্ট থেকে পল্টনমুখী সড়ক সাময়িকভাবে বন্ধ রাখা রাখা হয়েছে।
টানা চার মেয়াদে ক্ষমতায় থাকা আওয়ামী লীগের সরকার পতনের পর নয়া পল্টনে দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে প্রথম এতো বড় সমাবেশ করছে জাতীয়তাবাদী শ্রমিক দল।
এর আগে শেখ হাসিনা সরকারের পতনের পর গত বছরের ৮ আগস্ট প্রথম বাধাহীন সমাবেশ করে বিএনপি। এতে বিপুল সংখ্যক নেতাকর্মী অংশ নেন। পুরো এলাকায় ছিল উচ্ছ্বল নেতাকর্মীদের ভিড়।
ঢাকা/এএএম/ইভা