বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে হামলাকারীকে গণপিটুনী, পুলিশে সোপর্দ
Published: 17th, January 2025 GMT
ফতুল্লায় বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনে আন্দোলনকারীদের উপর হামলার মামলা ও হত্যা, ডাকাতি,ছিনতাই, মাদক মামলা সহ পেশাদার অপরাধী মহিউদ্দিন ওরফে ডাকাত মহিউদ্দিন কে গণপিটুনি দিয়ে পুলিশে সোপর্দ করেছে স্থানীয় এলাকাবাসী। মহিউদ্দিন ওরফে ডাকাত মহিউদ্দিন ফতুল্লা থানার শিয়াচর লালখা এলাকার মৃত গিয়াসউদ্দিনের পুত্র।
স্থানীয় একাধিক তথ্য মতে, মহিউদ্দিন ওরফে ডাকাত মহিউদ্দিন আন্তঃজেলা ডাকাত দলের সক্রিয় সদস্য। এলাকার সকলের নিকট তিনি ডাকাত মহিউদ্দিন নামেই পরিচিত।
হাসিনা সরকারের শাসনামলে সে ফতুল্লা থানা আওয়ামীলীগের সহ-সভাপতি মোস্তফা কামালের আর্শীবাদে শিয়াচর লালখা, স্টেডিয়ামসহ আশপাশ এলাকায় গড়ে তুলেছিলো মাদকের বিশাল সম্রাজ্য। তার সাথে যোগদেয় ভুইগড় রুপায়ণ টাওয়ারের পেশাদার ছিনতাইকারী ও মাদক ব্যবসায়ী রানা। তার অপরাধজগত নিয়ন্ত্রণে তৈরি করেছে একটি কিশোর গ্যাং।
তথ্য মতে, ডাকাত মহিউদ্দিনের সাথে সখ্যতা রয়েছে আন্তঃজেলা ডাকাত দলের একাধিক চক্রের সাথে। এ সকল ডাকাত দলের সদস্যরা নিজ এলাকা ছেড়ে দেশের বিভিন্ন এলাকায় গিয়ে অপরাধ সংঘটিত করে।
বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে মোস্তফা কামালের হয়ে আন্দোলনকারীদের উপর হামলার অভিযোগ সহ একাধিক মামলা রয়েছে ডাকাত মহিউদ্দিনের বিরুদ্ধে। তাছাড়া শিয়াচর তক্কার মাঠ এলাকার হোসিয়ারী কারখনার শ্রমিক সিয়াম হত্যার মামলার এজাহারনামীয় আসামি।
গ্রেফতারের বিষয়টি নিশ্চিত করে ফতুল্লা মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) শরিফুল ইসলাম জানান, গ্রেফতারকৃত মহিউদ্দিন কে সিয়াম হত্যা মামলায় শুক্রবার দুপুরে আদালতে পাঠানো হয়েছে।
মহিউদ্দিনের বিরুদ্ধে বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে আন্দোলনরতকারীদের উপর হামলার ঘটনার মামলা,সিয়াম হত্যা মামলা,ডাকাতি মাদক সহ একাধিক মামলা রয়েছে থানায়।
উৎস: Narayanganj Times
কীওয়ার্ড: ন র য়ণগঞ জ এক ধ ক
এছাড়াও পড়ুন:
অমর একুশে বইমেলা ফেব্রুয়ারিকে স্পর্শ করুক
অমর একুশে বইমেলা বাংলাদেশের মানুষের প্রাণের মেলা। মূলত প্রকাশকদের উদ্যোগে মুক্তিযুদ্ধ উত্তর বাংলাদেশে এই বইমেলার সূত্রপাত। সম্প্রতি এই বইমেলা নানা কারণে-অকারণে ডিসেম্বরে করার কথা শোনা যাচ্ছে। এ প্রেক্ষিতে সুস্পষ্টভাবে বলতেই হচ্ছে -ডিসেম্বরে কিছুতেই মেলা করা যাবে না। কারণ সেসময় সারাদেশে শিক্ষার্থীদের বার্ষিক পরীক্ষা চলবে।
বইমেলার প্রধান পাঠক আমাদের শিক্ষার্থী। তারা ডিসেম্বরে কিছুতেই মেলায় আসতে পারবে না। প্রধান পাঠকই যদি মেলায় আসতে না পারে তাহলে মেলা প্রাণহীন হয়ে পড়বে। বইমেলায় অংশগ্রহণকারি প্রকাশকরাও ভয়াবহ ক্ষতির মুখে পড়বে। তাছাড়া একুশের চেতনাকে ধারণ করে যে অমর একুশে বইমেলা, সেটা ফেব্রুয়ারিকে স্পর্শ করুক। ভাষা শহীদদরর প্রতি বইমেলার মাধ্যমে আমাদের যে শ্রদ্ধাঞ্জলি, তা অক্ষুন্ন থাকুক।
আরো পড়ুন:
রাজশাহীতে বইপড়ায় কৃতিত্বের পুরস্কার পেল ২৩০৩ শিক্ষার্থী
‘গল্পকারের পছন্দের ৫০ গল্প’ গ্রন্থ প্রকাশিত
সর্বোপরি ৫ জানুয়ারি থেকে ৪ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, এই সময়ে বইমেলা হতে কোন সমস্যা হওয়ার কথা নয়। অথবা তারিখ দুই একদিন এদিক-সেদিক করে নেয়া যেতে পারে। এ সময়ে রোজা নেই, নির্বাচনও নেই। নির্বাচনী ক্যাম্পেইন চলবে। এই মাঠে বইমেলা চলাকালীন সর্বদলীয় সিদ্ধান্তে কেউ সভা-সমাবেশ না করার সিদ্ধান্ত নিলে অনায়াসে এই সময়টাতে বইমেলা করা যেতে পারে। আমার বিশ্বাস- সব দলই অমর একুশে বইমেলার জন্য এই ছাড়টুকু দেবেন।
প্রায় পঞ্চাশ বছরের অধিক সময়ের প্রচেষ্টায় অমর একুশে বইমেলা মহিরুহ হয়ে আমাদের কাছে আবির্ভূত, হঠকারি কোন সিদ্ধান্তে তা যেনো ধ্বংস হওয়ার উপক্রম না হয়। জেনে শুনে বাঙালির এতো বড় একটি সাংস্কৃতিক উৎসবকে ভয়াবহভাবে ক্ষতিগ্রস্থ না করে বরং তা যে কোন মূল্যে আমাদের রক্ষা করা উচিত।
জানুয়ারিতে বাণিজ্যমেলায়ও হয়ে থাকে। এতে অমর একুশে বইমেলার ওপর কোনো বিরূপ প্রভাব পড়বে বলে আমি তা মনে করি না। বইমেলার প্রধান পাঠক শিক্ষার্থী। তারা বইমেলায় আসার জন্য মুখিয়ে থাকে। বাণিজ্য মেলায় যাওয়ার লোকজন বেশির ভাগই আলাদা। তবে অনেকেই বইমেলা এবং বাণিজ্যমেলা দুটোতেই যান। এটা তারা ম্যানেজ করে নিতে পারবেন বলে আমার বিশ্বাস।
আমি বলেছি শুধুমাত্র মেলার মাঠ প্রাঙ্গনে সভা-সমাবেশ না করার মাধ্যমে যদি সর্বদলীয় একটা সিদ্ধান্ত গৃহীত হয় তাহলে জানুয়ারি- ফেব্রুয়ারি মিলিয়ে বইমেলা করা সম্ভব।আমার মনে হয়, বইমেলা চলাকালীন এই মাঠ কোন দলকে সভা-সমাবেশের জন্য সরকার বরাদ্দ না দিলে, অথবা বইমেলা চলাকালীন দলগুলো নিজের থেকেই এই মাঠের বরাদ্দ না চাইলে সমস্যা আর থাকে না।
লেখক: প্রকাশক পাঞ্জেরী পাবলিকেশন্স লিমিটেড
ঢাকা/লিপি