ফতুল্লায় বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনে আন্দোলনকারীদের উপর হামলার মামলা ও হত্যা, ডাকাতি,ছিনতাই, মাদক মামলা সহ পেশাদার অপরাধী মহিউদ্দিন ওরফে ডাকাত মহিউদ্দিন কে গণপিটুনি দিয়ে পুলিশে সোপর্দ করেছে স্থানীয় এলাকাবাসী। মহিউদ্দিন ওরফে ডাকাত মহিউদ্দিন ফতুল্লা থানার শিয়াচর লালখা এলাকার মৃত গিয়াসউদ্দিনের পুত্র।

স্থানীয় একাধিক তথ্য মতে, মহিউদ্দিন ওরফে ডাকাত মহিউদ্দিন আন্তঃজেলা ডাকাত দলের সক্রিয় সদস্য।  এলাকার সকলের নিকট তিনি ডাকাত মহিউদ্দিন নামেই পরিচিত।

হাসিনা সরকারের শাসনামলে সে ফতুল্লা থানা আওয়ামীলীগের সহ-সভাপতি মোস্তফা কামালের আর্শীবাদে শিয়াচর লালখা, স্টেডিয়ামসহ  আশপাশ এলাকায় গড়ে তুলেছিলো মাদকের বিশাল সম্রাজ্য।  তার সাথে যোগদেয় ভুইগড় রুপায়ণ টাওয়ারের পেশাদার ছিনতাইকারী ও মাদক ব্যবসায়ী রানা। তার অপরাধজগত নিয়ন্ত্রণে তৈরি করেছে একটি কিশোর গ্যাং।

তথ্য মতে, ডাকাত মহিউদ্দিনের সাথে সখ্যতা রয়েছে আন্তঃজেলা ডাকাত দলের একাধিক চক্রের সাথে। এ সকল ডাকাত দলের সদস্যরা নিজ এলাকা ছেড়ে দেশের বিভিন্ন এলাকায় গিয়ে অপরাধ সংঘটিত করে। 

বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে মোস্তফা কামালের হয়ে আন্দোলনকারীদের উপর হামলার অভিযোগ সহ একাধিক মামলা রয়েছে ডাকাত মহিউদ্দিনের বিরুদ্ধে। তাছাড়া শিয়াচর তক্কার মাঠ এলাকার  হোসিয়ারী কারখনার শ্রমিক সিয়াম হত্যার  মামলার এজাহারনামীয় আসামি।

গ্রেফতারের বিষয়টি নিশ্চিত করে ফতুল্লা মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) শরিফুল ইসলাম জানান, গ্রেফতারকৃত মহিউদ্দিন কে সিয়াম হত্যা মামলায় শুক্রবার দুপুরে আদালতে পাঠানো হয়েছে।

মহিউদ্দিনের বিরুদ্ধে বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে আন্দোলনরতকারীদের উপর হামলার ঘটনার মামলা,সিয়াম হত্যা মামলা,ডাকাতি  মাদক  সহ একাধিক মামলা রয়েছে থানায়।
 

.

উৎস: Narayanganj Times

কীওয়ার্ড: ন র য়ণগঞ জ এক ধ ক

এছাড়াও পড়ুন:

চাকরিতে না ফেরালে রাজপথ ছাড়বেন না ইআরপিপি স্বাস্থ্যকর্মীরা

পাঁচ মাস ধরে বেতন নেই। পরিবার চালাতে হিমশিম খাচ্ছেন কেউ, কেউ আবার চাকরির বয়সসীমা পার করে এখন আর নতুন কোথাও আবেদন করার সুযোগ পাচ্ছেন না। এর মধ্যেই প্রকল্প শেষের অজুহাতে চাকরিচ্যুত হয়েছেন তারা—যারা ২০২০ সালের করোনা মহামারির সময় জীবনের ঝুঁকি নিয়ে বাংলাদেশের ফ্রন্টলাইন স্বাস্থ্যসেবায় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখেছিলেন। এই অবস্থায় নিজেদের চাকরি স্থায়ীকরণ এবং অবিলম্বে বকেয়া বেতনের দাবিতে তৃতীয় দিনের মতো স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের প্রধান ফটকে অবস্থান কর্মসূচি পালন করছেন কোভিড-১৯ ইমার্জেন্সি রেসপন্স অ্যান্ড প্যানডেমিক প্রিপেয়ারডনেস (ইআরপিপি) প্রকল্পের আউটসোর্সিং স্বাস্থ্যকর্মীরা। 

আজ সোমবার বেলা ১১টা থেকে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের প্রধান ফটকে অবস্থান কর্মসূচি পালন শুরু করেন।

আন্দোলনকারীরা বলছেন, তাদের প্রধান দাবি হলো স্থায়ীকরণের মাধ্যমে চাকরি বহাল রাখতে হবে এবং রাজস্ব খাতে অন্তর্ভুক্তির লিখিত নিশ্চয়তা দিতে হবে। সেইসঙ্গে গত চার মাসের বকেয়া ভাতা অবিলম্বে পরিশোধ করতে হবে। তা না হলে অবস্থান কর্মসূচি চলবে, প্রয়োজনে আরও কঠোর কর্মসূচিতে যাবেন বলেও হুঁশিয়ারি দিয়েছেন আন্দোলনকারীরা।

বিক্ষোভরত কর্মীদের একজন বলেন, সরকারের ডাকেই তো আমরা এসেছিলাম। ভয়ঙ্কর সময় ছিল সেটা। তখন যদি পেছনে না ফিরে মানুষকে সেবা দিতে পারি, আজ যখন একটু স্থিতি এসেছে—তখন কেন আমরা উপেক্ষিত হবো? ৫ মাস ধরে একটা টাকাও পাইনি, পরিবার চালানো দুঃস্বপ্ন হয়ে দাঁড়িয়েছে।

নিপসমে কর্মরত ইআরপিপির মেডিকেল টেকনোলজিস্ট আবু সুফিয়ান বলেন, প্রায় পাঁচ বছর এই প্রকল্পে কাজ করেছি। এখন বয়স ৩৫ ছাড়িয়েছে। সরকারি চাকরির আবেদনের শেষ সীমা পেরিয়ে গেছি। এখন আমাদের বাদ দিয়ে নতুন অদক্ষ জনবল নেয়ার চেষ্টা চলছে। এটা শুধু অবিচার না, আমাদের মর্যাদায় আঘাত।

ন্যাশনাল ল্যাবরেটরি সেন্টারের ডাটা অপারেটর আব্দুর রহমান বলেন, ঘরে ছোট বাচ্চা, স্কুলের বেতন দিতে পারিনি। স্ত্রী-সংসার নিয়ে অনিশ্চয়তায় পড়ে গেছি। করোনার সময় এই স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের ডাকেই আমি কাজে গিয়েছিলাম, এখন সেই অধিদপ্তরের সিঁড়িতেই বসে থাকতে হচ্ছে দাবি আদায়ের জন্য।

ইআরপিপি প্রকল্পের আওতায় কর্মরত এসব স্বাস্থ্যকর্মীদের অভিযোগ, করোনার সময় গড়ে তোলা আরটি-পিসিআর ল্যাব, ডেডিকেটেড আইসিইউ বা আইসোলেশন ইউনিটে তারাই প্রথম দিন থেকে দায়িত্ব পালন করেছেন। অথচ আজ তাদের বাদ দিয়ে সেই পদে নতুন লোক নিয়োগের পাঁয়তারা চলছে। 

তারা বলছেন, আমরা চাকরি ভিক্ষা চাই না। আমরা যেটুকু প্রাপ্য, সেটুকু চাই। স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী ২০২৫ সালের ৩০ জুন পর্যন্ত প্রকল্প চলবে, তবে আমাদের চাকরি কেড়ে নেয়া হলো কেন? আমাদের রাজস্ব খাতে অন্তর্ভুক্ত না করে অন্যদের সুযোগ দেওয়া মানে অবিচারকে পুরস্কৃত করা।

সম্পর্কিত নিবন্ধ