ওষুধে যে ভ্যাট বাড়ানো হয়েছে, সেটি কমানো হবে বলে আশা প্রকাশ করেছেন স্বাস্থ্য ও পরিবারকল্যাণ মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা নূরজাহান বেগম। 

ওষুধে ভ্যাট বাড়ানো প্রসঙ্গে তিনি বলেন, “আমরা সে সময় কেবিনেটে বলেছিলাম, এগুলো আর বাড়ায়েন না। যাই হোক, তিনি (অর্থ উপদেষ্টা) এগুলো কনসিডার করবেন। সামনে আরো ভালো কিছু আমরা আশা করছি।”

শনিবার (১৮ জানুয়ারি) সিলেট এম এ জি ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল পরিদর্শন শেষে হাসপাতাল ও কলেজের চিকিৎসক এবং কর্মকর্তাদের সঙ্গে মতবিনিময় সভা শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি এসব কথা বলেন।

আরো পড়ুন:

চট্টগ্রামের জলাবদ্ধতা সমাধানে ৩ উপদেষ্টা ও মেয়রের খাল পরিদর্শন

‘গুয়াগাছিয়া ইউনিয়নে পুলিশ তদন্ত কেন্দ্র স্থাপনের কথা ভাবা হচ্ছে’

স্বাস্থ্য খাতে সংস্কার কমিশনের প্রস্তাব সম্পর্কে করা প্রশ্নের জবাবে উপদেষ্টা নূরজাহান বেগম বলেন, “আমি তো এখনো জানি না, সংস্কার কমিশন কী কী প্রস্তাব দেবে। তবে যতটুকু দেবে, আমাদের তরফ থেকে তাদের বলেছিলাম, কিছু স্বল্পমেয়াদি প্রস্তাব দিতে, যেগুলো আমরা করে ফেলতে পারি। কারণ, আমাদের সময়টা তো.

. আপনারা বুঝতেই পারছেন, বেশি সময় না।”

বৃষ্টির দিনে সিলেট এম এ জি ওসমানী মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালে জলাবদ্ধতা বিষয়ে তিনি বলেন, “সামান্য বৃষ্টিতেই হাসপাতাল জলমগ্ন হয়ে পড়ে, বিষয়টি চিন্তার। এর সমাধানে সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিদের কাছে প্রস্তাবনা চাওয়া হয়েছে।”

নির্বাচন প্রসঙ্গে প্রশ্নের জবাবে নূরজাহান বেগম বলেন, “প্রধান উপদেষ্টা জানিয়েই দিয়েছেন, ডিসেম্বর নাগাদ অথবা আরো কিছু সংস্কার করতে যদি বাধ্য হয়, তাহলে সেটা জুনে হতে পারে।”

এসময় উপস্থিত ছিলেন- সিলেট এম এ জি ওসমানী মেডিকেল কলেজের অধ্যক্ষ, হাসপাতালের পরিচালক, উপপরিচালকসহ মেডিকেল কলেজের শিক্ষক ও  কর্মকর্তারা।

ঢাকা/নূর/মাসুদ

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর উপদ ষ ট ম ড ক ল কল জ উপদ ষ ট

এছাড়াও পড়ুন:

ফুটবলার প্রতিমা এগিয়ে যাচ্ছেন, পাশে আছে কিশোর আলোসহ অনেকে

একটি পরিবারের ওপর নেমে আসা অপ্রত্যাশিত চাপ আর হতাশাকে দূর করেছে একটি সংবাদ। বাংলাদেশ অনূর্ধ্ব-১৫ ও অনূর্ধ্ব-১৭ জাতীয় ফুটবল দলের খেলোয়াড় প্রতিমা মুন্ডার পড়াশোনা ও খেলাধুলা থমকে যাওয়ার উপক্রম হয়েছিল মাত্র ৪৭ হাজার টাকার জন্য। প্রথম আলোয় প্রতিবেদন প্রকাশের পর মিলেছে সহযোগিতা, পরিশোধ হয়ে গেছে বিকেএসপির বকেয়া।

এতে স্বস্তির নিশ্বাস ফেলেছেন প্রতিমার মা সুনিতা মুন্ডা। তাঁদের ওপর থেকে নেমে গেছে বড় ধরনের আর্থিক চাপ।

গত ২৫ সেপ্টেম্বর বিকেএসপি প্রতিমার অভিভাবককে পাঠানো চিঠিতে জানিয়েছিল, তাঁদের মেয়ের বকেয়া বেতন ৪৬ হাজার ৮৪০ টাকা। সেই চিঠিতেই সতর্ক করে বলা হয়, ছয় মাসের বেশি বেতন বকেয়া থাকলে চূড়ান্ত সতর্কীকরণ, আর ১২ মাসের বেশি বকেয়া থাকলে বহিষ্কারের বিধান আছে। অর্থাভাবে যখন অনিশ্চিত হয়ে উঠেছিল প্রতিমার ভবিষ্যৎ, ঠিক সেই সময় ১১ অক্টোবর প্রথম আলোয় প্রকাশিত হয় তাঁদের পরিবারের সংগ্রামের গল্প।

আরও পড়ুনবকেয়া বেতন চেয়ে বিকেএসপির চিঠি, ফুটবলার প্রতিমার পড়াশোনা বন্ধের পথে ১১ অক্টোবর ২০২৫

প্রতিবেদনটি পাঠকের হৃদয়ে নাড়া দেয়। কিশোর আলোর পক্ষ থেকে প্রতিমার বকেয়া পরিশোধের উদ্যোগ নেওয়া হয়। ওই দিনই বিকেলে সাতক্ষীরার তালা উপজেলার দুর্গাপুর গ্রামে গিয়ে প্রথম আলোর সাতক্ষীরার নিজস্ব প্রতিবেদক কল্যাণ ব্যানার্জি প্রতিমা ও তাঁর মা সুনিতা মুন্ডার হাতে ৫০ হাজার টাকা তুলে দেন। মিডিয়া ব্যক্তিত্ব ও শিশুসাহিত্যিক ফরিদুর রেজা সাগরের সৌজন্যে নেওয়া হয় এই উদ্যোগ। নাম প্রকাশ না করার শর্তে একজন ব্যবসায়ী সহায়তা করেন আরও ১০ হাজার টাকা। তালা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) দীপা রানী সরকার দেন পাঁচ হাজার টাকা ও একটি ফুটবল।

সহায়তা পেয়ে স্বস্তি ফিরেছে পরিবারে। মুঠোফোনে প্রতিমা বলেন, ‘এখন আর কোনো অনিশ্চয়তা নেই। বিকেএসপির পাওনা ৪৬ হাজার ৮৪০ টাকা পরিশোধ করে দিয়েছি। আমি ভালো আছি, মনোযোগ দিয়ে পড়াশোনা আর অনুশীলন করছি।’

সাতক্ষীরার তালা উপজেলার প্রতিমা মুন্ডা ও তাঁর মা সুনিতা মুন্ডার হাতে কিশোর আলোর পক্ষ থেকে ৫০ হাজার টাকা তুলে দেওয়া হয়। মিডিয়া ব্যক্তিত্ব ও শিশুসাহিত্যিক ফরিদুর রেজা সাগরের সৌজন্যে এই উদ্যোগ নেওয়া হয়

সম্পর্কিত নিবন্ধ