ওষুধের ভ্যাট কমানো হবে বলে আশা করছি: স্বাস্থ্য উপদেষ্টা
Published: 18th, January 2025 GMT
ওষুধে যে ভ্যাট বাড়ানো হয়েছে, সেটি কমানো হবে বলে আশা প্রকাশ করেছেন স্বাস্থ্য ও পরিবারকল্যাণ মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা নূরজাহান বেগম।
ওষুধে ভ্যাট বাড়ানো প্রসঙ্গে তিনি বলেন, “আমরা সে সময় কেবিনেটে বলেছিলাম, এগুলো আর বাড়ায়েন না। যাই হোক, তিনি (অর্থ উপদেষ্টা) এগুলো কনসিডার করবেন। সামনে আরো ভালো কিছু আমরা আশা করছি।”
শনিবার (১৮ জানুয়ারি) সিলেট এম এ জি ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল পরিদর্শন শেষে হাসপাতাল ও কলেজের চিকিৎসক এবং কর্মকর্তাদের সঙ্গে মতবিনিময় সভা শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি এসব কথা বলেন।
আরো পড়ুন:
চট্টগ্রামের জলাবদ্ধতা সমাধানে ৩ উপদেষ্টা ও মেয়রের খাল পরিদর্শন
‘গুয়াগাছিয়া ইউনিয়নে পুলিশ তদন্ত কেন্দ্র স্থাপনের কথা ভাবা হচ্ছে’
স্বাস্থ্য খাতে সংস্কার কমিশনের প্রস্তাব সম্পর্কে করা প্রশ্নের জবাবে উপদেষ্টা নূরজাহান বেগম বলেন, “আমি তো এখনো জানি না, সংস্কার কমিশন কী কী প্রস্তাব দেবে। তবে যতটুকু দেবে, আমাদের তরফ থেকে তাদের বলেছিলাম, কিছু স্বল্পমেয়াদি প্রস্তাব দিতে, যেগুলো আমরা করে ফেলতে পারি। কারণ, আমাদের সময়টা তো.
বৃষ্টির দিনে সিলেট এম এ জি ওসমানী মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালে জলাবদ্ধতা বিষয়ে তিনি বলেন, “সামান্য বৃষ্টিতেই হাসপাতাল জলমগ্ন হয়ে পড়ে, বিষয়টি চিন্তার। এর সমাধানে সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিদের কাছে প্রস্তাবনা চাওয়া হয়েছে।”
নির্বাচন প্রসঙ্গে প্রশ্নের জবাবে নূরজাহান বেগম বলেন, “প্রধান উপদেষ্টা জানিয়েই দিয়েছেন, ডিসেম্বর নাগাদ অথবা আরো কিছু সংস্কার করতে যদি বাধ্য হয়, তাহলে সেটা জুনে হতে পারে।”
এসময় উপস্থিত ছিলেন- সিলেট এম এ জি ওসমানী মেডিকেল কলেজের অধ্যক্ষ, হাসপাতালের পরিচালক, উপপরিচালকসহ মেডিকেল কলেজের শিক্ষক ও কর্মকর্তারা।
ঢাকা/নূর/মাসুদ
উৎস: Risingbd
কীওয়ার্ড: চ কর চ কর উপদ ষ ট ম ড ক ল কল জ উপদ ষ ট
এছাড়াও পড়ুন:
সাকিবের পথে হাঁটছেন মিরাজ
সাকিব আল হাসানের সঙ্গে নিজের তুলনাকে মেহেদী হাসান মিরাজ হয়তো উপভোগই করেন। কারণ, তাঁর স্বপ্ন সাকিবের মতো বিশ্বনন্দিত অলরাউন্ডার হয়ে ওঠা। সেই পথে বোধ হয় গুটি গুটি পায়ে এগিয়ে যাচ্ছেন। বিশেষ করে টেস্টে দেশে-বিদেশে সম্প্রতি ভালো করছেন। পাকিস্তানে দারুণ প্রশংসিত ছিলেন অলরাউন্ড পারফরম্যান্স করে। জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে দুই টেস্টের হোম সিরিজে উভয় টেস্টে নিজেকে ছাপিয়ে গেলেন। সিলেটের হারের ম্যাচেও ১০ উইকেট ছিল তাঁর। চট্টগ্রামে সেঞ্চুরি ও পাঁচ উইকেট নিয়ে সাকিব ও সোহাগ গাজীর কাতারে নাম লেখালেন। মূলত মিরাজের অলরাউন্ড নৈপুণ্যে ইনিংস ব্যবধানে টেস্ট জেতা সম্ভব হয়।
গতকাল শতকের ঘরে যেতে কম কসরত করতে হয়নি তাঁর। নব্বইয়ের ঘরে গিয়ে তো অনিশ্চয়তায় পড়ে গিয়েছিলেন হাসানের আউটের শঙ্কায়। ভাগ্য সুপ্রসন্ন হওয়ায় দ্বিতীয় শতকের দেখা পান তিনি। ২০২১ সালে এই চট্টগ্রামেই ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে প্রথম টেস্ট সেঞ্চুরি ছিল মিরাজের। গতকালের পারফরম্যান্স নিয়ে টাইগার এ অলরাউন্ডার বলেন, ‘ব্যাটিংয়ের সময় চেষ্টা করেছিলাম ২ রান নিয়ে ১০০ রানে যেতে। সেভাবে দৌড় দিয়েছিলাম। কিন্তু ফিল্ডারের হাতে বল চলে গিয়েছিল (হাসি)। তার পর তো আল্লাহর ওপর ছেড়ে দিয়েছিলাম। হাসান অনেক ভালো সাপোর্ট দিয়েছে। তানজিমও ভালো সাপোর্ট দিয়েছে। তাইজুল ভাইও। এই তিনজনকেই অনেক অনেক ধন্যবাদ। কারণ, ওদের জন্যই আমি ১০০ রান করতে পেরেছি।’
জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে করা সেঞ্চুরি ও পাঁচ উইকেট প্রাপ্তিকে নিজের সেরা পারফরম্যান্স দাবি মিরাজের, ‘ওয়েস্ট ইন্ডিজের সাথে ১০০ করেছিলাম, ৩ উইকেট নিয়েছিলাম। অল্পের জন্য ৫ উইকেট হয়নি। হলে ভালো লাগত। ওই ম্যাচ হেরেছিলাম এই মাঠে। সে জিনিসটা মাথায় ছিল। ভালো লাগছে ম্যাচটি জিতেছি।’ মিরাজ ১৬২ বলে ১১টি চার ও একটি ছয় মেরে ১০৪ রান করেন। ২১ ওভারে ৩২ রান দিয়ে নেন পাঁচ উইকেট।
টেস্টে এ রকম অলরাউন্ড পারফরম্যান্স বাংলাদেশে আর দু’জনের আছে। সাকিব আল হাসান দু’বার ম্যাচে সেঞ্চুরি ও পাঁচ উইকেট পেয়েছেন ২০১১ সালে পাকিস্তানের বিপক্ষে মিরপুরে আর ২০১৪ সালে খুলনায়। সোহাগ গাজী নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে সেঞ্চুরি ও পাঁচ উইকেট শিকার করেন চট্টগ্রামে। সেই মাইলফলক ছোঁয়া মিরাজকে সম্প্রতি অলরাউন্ডার ক্যাটেগরিতে ফেলা হয়। সাকিবের বিকল্প ভাবা হয় তাঁকে এখন।
এ ব্যাপারে মিরাজের অভিমত, ‘দেখেন একটা জিনিস, যখন সাকিব ভাই ছিলেন, ভিন্ন রোল ছিল। এখন ভিন্ন রোল। যেহেতু টিম ম্যানেজমেন্ট, সবাই ব্যাটিংয়ে আস্থা রাখে। আমিও ভেবেছি আমার ব্যাটিংটা গুরুত্বপূর্ণ। এখন হয়তো আমি লিডিং রোল প্লে করছি, আগে সাকিব ভাই করত। এখন আমাদের দায়িত্ব আরও বেশি।’
সিলেটে দুই ইনিংসে পাঁচ উইকেট করে নিয়েও দলকে জেতাতে পারেননি মিরাজ। চট্টগ্রামে সাদমান, তাইজুলের সঙ্গে পাল্লা দিয়ে ম্যাচ জয়ের নায়ক হন। এই সাফল্য নিয়ে বলেন, ‘সত্যি কথা বলতে, প্রথম ম্যাচ হারার পর যেভাবে কামব্যাক করেছি, এটা খুবই দরকার ছিল। আমাদের সবাই ভেবেছিল, আমরা ভালো করব।’ মিরাজ কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেছেন কোচিং স্টাফ ও সতীর্থের কাছে। আর তাঁর কাছে কৃতজ্ঞতা পুরো দলের।