ফরিদপুর শ্রমিক লীগ সভাপতি নাছিরের ভিডিও ভাইরাল
Published: 19th, January 2025 GMT
জাতীয়তাবাদী শ্রমিক দলের সমন্বয়ক ও বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার বিশেষ সহকারী শামসুর রহমান শিমুল বিশ্বাস প্রধান অতিথি এমন একটি অনুষ্ঠানে বক্তব্য রেখেছেন ছাত্র-জনতার আন্দোলনে সরাসরি হামলায় অংশ নেওয়া ফরিদপুর জেলা শ্রমিক লীগের সভাপতি ও পুলিশের তালিকাভুক্ত শীর্ষ সন্ত্রাসী গোলাম নাছির। শুধু নাছির একা নন, অনুষ্ঠান সঞ্চালনা করতে দেখা গেছে জেলা শ্রমিক লীগের সিনিয়র সহসভাপতি মো.
স্থানীয় বাসিন্দাদের ভাষ্য, পুলিশ খুঁজে না পেলেও, এমন একটি অনুষ্ঠানে বক্তব্য দিতে দেখে তারা অবাক হয়েছেন।
বৃহস্পতিবার বেলা ১১টায় রাজধানীর ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউশনে বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন শ্রমিক ফেডারেশন আয়োজিত কেন্দ্রীয় কমিটির বর্ধিত সভায় সভাপতিত্ব করেন ফেডারেশনের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি আবদুর রহিম বক্স দুদু। বিশেষ অতিথি উপস্থিত ছিলেন ফেডারেশনের সাধারণ সম্পাদক হুমায়ূন কবির খান। সভাটি বিকেল ৪টায় শেষ হয়।
৫ আগস্ট ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানের পর ফরিদপুর জেলার সবচেয়ে আলোচিত ব্যক্তি গোলাম নাছির। তিনি ছাত্র-জনতার আন্দোলনে সরাসরি তাঁর বাহিনী নিয়ে হামলায় অংশ নেন। আন্দোলন চলাকালে ঢাকায় আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কর্মসূচিতেও দলবল নিয়ে অংশ নিতেন। তাঁর বিরুদ্ধে ঢাকা ও ফরিদপুর জেলায় ছাত্র হত্যার কমপক্ষে ৫টি মামলা হয়েছে। সরকার পতনের পর থেকে পলাতক গোলাম নাছির।
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে ফরিদপুরের অন্যতম সমন্বয়ক আবরাব নাদিম ইতু বলেন, সন্ত্রাসী নাছির গত ৩ ও ৪ আগস্ট তাঁর সহযোগীদের নিয়ে আন্দোলনকারী ছাত্র-জনতার ওপর অস্ত্র নিয়ে প্রকাশ্যে হামলা চালায়। পুলিশ তাদের সহযোগী ছিল। আমরা নাছির ও তার সহযোগীদের অবিলম্বে গ্রেপ্তার এবং দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দাবি করি।
সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে নাছিরের ভাইরাল হওয়া ভিডিওতে দেখা যায়, ফরিদপুর মোটর ওয়ার্কার্স ইউনিয়নের পক্ষে বহিষ্কৃত এই নেতা বক্তব্য রাখছেন। এ সময় তাঁর পাশে দাঁড়িয়ে ছিলেন ফরিদপুর মোটর ওয়ার্কার্স ইউনিয়নের বহিষ্কৃত সভাপতি ও অনুষ্ঠানের সঞ্চালক জুবায়ের জাকির।
বক্তব্যে নাছির বলেন, ‘আমি ২২ বছর ফরিদপুর মোটর ওয়ার্কার্স ইউনিয়নের সাধারণ সম্পাদকের দায়িত্ব পালন করেছি। এই সময় বাংলাদেশ শ্রমিক ফেডারেশন যখন যে আন্দোলনের ডাক দিয়েছে আমরা সঙ্গে থেকেছি।’
ফরিদপুর জেলা পুলিশের তালিকাভুক্ত শীর্ষ সন্ত্রাসী গোলাম নাছিরের আসল নাম আশরাফুল আলম নাছির। শহরের ওয়্যারলেসপাড়ার বাসিন্দা নাছিরের বাবা মৃত মনিরুজ্জামান ওরফে বদরুল। সন্ত্রাস, হত্যা, ডাকাতি, চাঁদাবাজি, ছিনতাইসহ বিস্ফোরক বোমা প্রস্তুত ও অবৈধ অস্ত্র সরবরাহের অসংখ্য মামলার আসামি নাছির। নাছিরের বোন মাহমুদা বেগম ফরিদপুর জেলা মহিলা আওয়ামী লীগের সভাপতি। তাঁর বড় ভাই প্রয়াত তপনও ছিলেন কেন্দ্রীয় শ্রমিক লীগ নেতা।
ফরিদপুর কোতোয়ালি থানার ওসি মো. আসাদউজ্জামান বলেন, ‘ভাইরাল হওয়া ভিডিওটি দেখেছি। গোলাম নাছিরকে আটক করতে পুলিশ তৎপর।’
উৎস: Samakal
কীওয়ার্ড: ব এনপ ছ ত র জনত র
এছাড়াও পড়ুন:
ক্রান্তিকালে বিসিবির প্রস্তুতির অভাব দেখছেন তামিম
জাতীয় দলের দীর্ঘদিনের নির্ভরতার প্রতীক তামিম ইকবাল মনে করছেন, সাকিব-মুশফিক-রিয়াদদের বিদায়ের পর বাংলাদেশের ক্রিকেটে যে সংকট তৈরি হয়েছে, তার জন্য আগেভাগে প্রস্তুত ছিল না বিসিবি। এই পরিস্থিতিতে হাই পারফরম্যান্স (এইচপি), টাইগার্স ও ‘এ’ দলের কাঠামোতে আরও বেশি বিনিয়োগের ওপর জোর দিয়েছেন তিনি।
সমকালকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে তামিম বলেন, ‘পাঁচজন অভিজ্ঞ ক্রিকেটার সরে গেছে, যাদের অভিজ্ঞতা ১৫-১৭ বছরের। তারা হাজারের বেশি ম্যাচ খেলেছে। এই মানের ক্রিকেটারদের বিদায়ে শূন্যতা আসবেই। কিন্তু প্রশ্ন হচ্ছে, বোর্ড কি এই ক্রান্তিকালের জন্য প্রস্তুত ছিল?’
তামিমের মতে, জাতীয় দলের অনেক ক্রিকেটারই এখন ৭-১০ বছর ধরে খেলছেন। এই সময়টাতে তাদের পাশাপাশি ভবিষ্যতের জন্য বিকল্প খেলোয়াড় গড়ে তোলার উদ্যোগ নেওয়া উচিত ছিল। তিনি বলেন, ‘জাতীয় দলকে যতটা সম্ভব সুযোগ-সুবিধা দিন, কিন্তু ভবিষ্যতের কথা ভেবে এইচপি, টাইগার্স ও “এ” দলে বেশি ফোকাস করুন। এই জায়গাগুলোতে ভালো বিনিয়োগ না হলে জাতীয় দল সবসময় ধুঁকতেই থাকবে।’
তবে সামগ্রিকভাবে দেশের ক্রিকেট নিয়ে আশাবাদী তামিম। তার ভাষায়, ‘আমরা কখনোই তিন সংস্করণে একসঙ্গে ভালো করিনি। এই দলটাকেও যদি সময় দেওয়া হয়, তারা ঘুরে দাঁড়াবে।’
ভবিষ্যৎ তারকা নিয়ে কথা বলতে গিয়ে তামিম বেশ কয়েকজনের নাম তুলে ধরেন। তিনি বলেন, ‘পেস বিভাগে তাসকিন আছে, নতুন নাহিদ রানা ভালো করছে। তাইজুল চমৎকার স্পিনার। হৃদয়, জাকের আলীরাও সম্ভাবনাময়। এদের মধ্য থেকেই কেউ কেউ বড় তারকা হয়ে উঠতে পারে।’
সবশেষে তিনি বোর্ডের প্রতি ক্রিকেটারদের পাশে দাঁড়ানোর আহ্বান জানিয়ে বলেন, ‘ক্রিকেটারদের আত্মবিশ্বাস দিন, বোঝান– তারা বোর্ডের পূর্ণ সমর্থন পাচ্ছে।’