নাইজেরিয়ার উত্তরাঞ্চলে একটি পেট্রোল ট্যাঙ্কার ট্রাক উল্টে বিস্ফোরণে কমপক্ষে ৭০ জন নিহত হয়েছেন। আহত হয়েছেন অনেকে। 

শনিবার ( ১৮ জানুয়ারি) দেশটির রাজধানী আবুজা থেকে উত্তরাঞ্চলীয় শহর কাদুনার মধ্যে সংযোগকারী সড়কের ডিক্কো এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। দ্য ফেডারেল রোড সেফটি কর্পস (এফআরএসসি) এ তথ্য জানিয়েছে। খবর রয়টার্সের।

নাইজেরিয়ার নাইজার রাজ্যের ফেডারেল রোড সেফটি কর্পসের (এফআরএসসি) প্রধান কুমার সুকওয়াম বলেন, শনিবার সকাল ১০টার দিকে ডিক্কো এলাকায় ওই ট্যাংকার দুর্ঘটনার কবলে পড়ে। সেটিতে ৬০ হাজার লিটার পেট্রল ছিল। এখন পর্যন্ত বিস্ফোরণে ৭০ জন নিহত হয়েছেন।

দুর্ঘটনার পর ট্যাংকারটি থেকে লোকজন জ্বালানি সংগ্রহের সময় বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটে।

কুমার সুকওয়াম বলেন, নিহত বেশিরভাগ মানুষের শরীর এমনভাবে পুড়ে গেছে যে চেনার উপায় নেই।

এর আগে গত অক্টোবরে দেশটির জিগাওয়া রাজ্যে একই ধরনের একটি ঘটনায় ১৭০ জনের বেশি মানুষের মৃত্যু হয়েছিল।

নাইজেরিয়ায় মারাত্মক অর্থনৈতিক সংকট চলছে। এর মধ্যে গত ১৮ মাসে দেশটিতে জ্বালানি তেলের দাম পাঁচ গুণ বেড়েছে। সংশ্লিষ্টরা বলছেন, এ মূল্যবৃদ্ধির কারণেই জীবনের ঝুঁকি নিয়ে অনেকে দুর্ঘটনাকবলিত ওই ট্যাংকার থেকে জ্বালানি সংগ্রহ করতে গিয়েছিলেন।

ঢাকা/ফিরোজ

.

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর র ঘটন

এছাড়াও পড়ুন:

রুয়া নির্বাচন স্থগিতের প্রতিবাদে উপাচার্যের বাসভবনের সামনে ছাত্রশিবিরের বিক্ষোভ

রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় অ্যালামনাই অ্যাসোসিয়েশনের (রুয়া) কার্যনির্বাহী কমিটির নির্বাচন স্থগিতের প্রতিবাদে উপাচার্যের বাসভবনের সামনে অবস্থান নিয়ে বিক্ষোভ করছেন বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ইসলামী ছাত্রশিবিরের নেতা-কর্মীরা। আজ বৃহস্পতিবার বিকেলে সাড়ে চারটার দিকে উপাচার্যের বাসভবনের সামনে এ কর্মসূচি শুরু করেন তাঁরা। এর আগে তাঁরা একটি বিক্ষোভ মিছিল নিয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রধান ফটক হয়ে উপাচার্যের বাসভবনের সামনে অবস্থান নেন।

বিশ্ববিদ্যালয় সূত্রে জানা যায়, রুয়া অ্যাডহক কমিটির সিদ্ধান্ত অনুযায়ী ৯ মে পুনর্মিলনী এবং ১০ মে রুয়ার নির্বাচন অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা ছিল। কিন্তু গঠনতন্ত্র লঙ্ঘনের অভিযোগ তুলে নির্বাচন বর্জন করেন বিএনপিপন্থী সাবেক শিক্ষার্থীরা। পরে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে দুই পক্ষের নির্বাচন নিয়ে পাল্টাপাল্টি যুক্তি চলতে থাকে।

এদিকে গতকাল ব্যক্তিগত কারণ দেখিয়ে রুয়া নির্বাচন কমিশনের প্রধান কমিশনার পদত্যাগ করেন। সেই সঙ্গে গতকাল বুধবার গভীর রাতে বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার (ভারপ্রাপ্ত) অধ্যাপক ইফতিখারুল আলম মাসউদের বাসভবনে ককটেল হামলার ঘটনা ঘটে। এ পরিস্থিতিতে আজ বৃহস্পতিবার দুপুরে নির্বাচন স্থগিতের সিদ্ধান্ত জানিয়ে নোটিশ জারি করেন রুয়ার অ্যাডহক কমিটির আহ্বায়ক ও বিশ্ববিদ্যালয়ের সহ-উপাচার্য অধ্যাপক ফরিদ উদ্দিন খান। এই সিদ্ধান্তের প্রতিবাদে ছাত্রশিবিরের নেতা-কর্মীরা বিক্ষোভ করছেন।

এ সময় বিক্ষোভকারীরা ‘সিলেকশন না ইলেকশন, ইলেকশন ইলেকশন’, ‘প্রশাসন জবাব দে, রুয়া কি তোর বাপের রে’, ‘রুয়া নিয়ে টালবাহানা, চলবে চলবে না’, ‘অ্যাডহক না নির্বাচন, নির্বাচন নির্বাচন’, ‘সিন্ডিকেট না রুয়া, রুয়া রুয়া’ প্রভৃতি স্লোগান দেন।

এ সময় ছাত্রশিবিরের সাবেক নেতা-কর্মীদেরও উপস্থিত থেকে বক্তব্য দিতে দেখা গেছে। পরে জামায়াত ইসলামীর কয়েকজন নেতাও কর্মসূচিতে যোগ দেন। একপর্যায়ে বিকেল পৌনে ছয়টার দিকে বিক্ষোভকারীদের একটি প্রতিনিধি দল উপাচার্যের সঙ্গে আলোচনার জন্য বাসভবনের ভেতরে প্রবেশ করে। বিকেল ছয়টায় শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত বিক্ষোভ চলছিল।

বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ইসলামী ছাত্রশিবিরের সভাপতি মোস্তাকুর রহমান জাহিদ প্রথম আলোকে বলেন, ‘১০ মে রুয়া নির্বাচন হওয়ার কথা ছিল। কিন্তু আজ হঠাৎ সেই নির্বাচন স্থগিত ঘোষণা করেছে প্রশাসন। এই সিদ্ধান্তে ক্যাম্পাসের বর্তমান ও সাবেক শিক্ষার্থীরা মনঃক্ষুণ্ন হয়েছে। যারা রুয়া নির্বাচন দিতে পারে না, তারা রাকসু নির্বাচন কীভাবে বাস্তবায়ন করবে? ১০ মের নির্বাচন সেই একই তারিখে হতে হবে। এই সিদ্ধান্ত না আসা পর্যন্ত আন্দোলন অব্যাহত থাকবে।’

সম্পর্কিত নিবন্ধ