দুইদিনে ভিউ ২৩ লাখ, ফারিন বললেন এ বছর ঝুঁকি নিতে চাই না
Published: 19th, January 2025 GMT
সিনেমার ফারিন খান এখন পুরোপুরি ব্যস্ত নাটকে। গেলো বছররে শুরু থেকেই নাটক নিয়েই তার ধ্যানজ্ঞান। অভিনয় দিয়ে দর্শকদের কাছাকাছি যাওয়ার চেষ্টা করছেন ক্রমাগত। চলতি বছরের শুরুটাও দারুণ হল অভিনেত্রী ফারিন খানের।
সম্প্রতি মুক্তি পেয়েছে তার অভিনীত ‘মনের মাঝে তুমি’ নাটক। এতে তার বিপরীতে অভিনয় করেছেন মুশফিকর আর ফারহান। দুই দিনেই ২৩ লাখ ভিউ অতিক্রম করেছে নাটকটি। কাজটি নিয়ে বেশ উচ্ছ্বসিত অভিনেত্রী।
ফারিন বললেন, “কাজের মান ধরে রাখার ফল আমি বছরের শুরুতেই পেয়েছি। কারণ, আমার অভিনীত ‘মনের মাঝে তুমি’ নাটক নিয়ে আমি খুব আশাবাদী ছিলাম। দর্শক দারুণভাবে গ্রহণ করছে। দুই দিনে ২৩ লাখের বেশি মানুষের ভালোবাসা পাওয়া তো খারাপ কিছু না। আশাকরি কয়েকদিনের মধ্যে এটা কোটি মানুষের কাছে পৌঁছাবে।”
গেল ডিসেম্বরে মুক্তি পেয়েছে তার অভিনীত পাঁচ নাটক। চলতি মাসে মুক্তি পেয়েছে একটি নাটক। সংখ্যায় কম হলেও নাটকের মানের কথা চিন্তা করেই নতুন কাজে হাত দিচ্ছেন এই অভিনেত্রী।
ফারিন সমকালকে বলেন, ‘২০২৫ সাল খুব প্ল্যান করে গোছালো কাজ করে যেতে চাই। এবছর কোনো ধরণের ঝুঁকি নিতে চাই না। সে অনুযায়ী বেছে বেছে করছি। আমার মনে হয়, বেশি কাজ করার চেয়ে মান সম্মত কম কাজ করা ভালো। কোয়ালিটি ধরে রেখে ৬ মাসে একটি কাজ হলেও আমার কোনো সমস্যা নাই।’
এদিকে আসছে ভালোবাসা দিবস উপলক্ষে তিনটি নাটকে অভিনয় করেছেন তিনি। তার মধ্যে একটির নাম ‘আজান’। এখানে তার বিপরীতে অভিনয় করেছেন ইরফান সাজ্জাদ। সম্প্রতি চট্টগ্রামে এই নাটকের কিছু অংশের শুটিং শেষ হয়েছে। অন্য দুই নাটকের নাম এখনো ঠিক হয়নি। তবে দ্রুতই শুটিং শুরু করবেন বলেও জানালেন ফারিন।
.উৎস: Samakal
এছাড়াও পড়ুন:
যুবকদের মসজিদমুখী করার ৫টি উপায়
যুবকদের স্থানীয় মসজিদে নিয়মিত ধরে রাখা চ্যালেঞ্জিং। কিশোর বা তরুণ সন্তানদের নামাজে যেতে মাতাপিতাকে অনেক সময় বাধ্য করতে হয়। কলেজজীবন শুরু হলে অনেক তরুণ মসজিদে যাওয়া একেবারে বন্ধ করে দেন। তবে কিছু অনুপ্রেরণাদায়ী উদাহরণও আছে, যেখানে যুবকেরা শৈশব থেকেই মসজিদে সক্রিয় থাকেন।
তাহলে প্রশ্ন জাগে, পিতামাতা বা সমাজের নামাজিরা কী করতে পারেন, যাতে তাঁদের সন্তানেরা মসজিদের সঙ্গে নিয়মিত যুক্ত থাকে? এখানে পাঁচটি ব্যবহারিক উপায় উপস্থাপন করা হলো।
মাতাপিতা ও নামাজিদের উচিত মসজিদকে যুবকদের জন্য আকর্ষণীয় করে গড়ে তোলা। যেন মসজিদ তাদের ভালোলাগার স্থান হয়।১. মসজিদকে আকর্ষণীয় স্থান বানানযুবকদের প্রতি সহানুভূতি ও তাঁদের দৃষ্টিকোণ বোঝার জন্য মাতাপিতা, শিক্ষক বা যুব পরামর্শদাতাদের উচিত নিজেদের শৈশবের অভিজ্ঞতা স্মরণ করা। যদি আপনি চান যুবকেরা ভালো সাহিত্য পড়ুক, তাহলে ভাবুন, আপনার শৈশবে কী আপনাকে তা পড়তে উৎসাহিত করেছিল? কোনো বই বা পত্রিকা আপনার পছন্দ ছিল?
একইভাবে ভাবুন, শিশুকালে আপনি মসজিদে গিয়ে কী উপভোগ করতেন? যদি আপনি মসজিদে না যেতেন, তাহলে কোন জায়গায় মাতাপিতার সঙ্গে যেতে আপনার ভালো লাগত?
মাতাপিতা ও নামাজিদের উচিত মসজিদকে যুবকদের জন্য আকর্ষণীয় করে গড়ে তোলা। যেন মসজিদ তাদের ভালোলাগার স্থান হয়।
কাউকে মসজিদে যেতে অভ্যস্ত করার জন্য শৈশবই সবচেয়ে উপযুক্ত সময়। শিশুকে নিয়মিত মসজিদে নিয়ে যাওয়া সহজ।২. শৈশব থেকে শুরু করুনকাউকে মসজিদে যেতে অভ্যস্ত করার জন্য শৈশবই সবচেয়ে উপযুক্ত সময়। শিশুকে নিয়মিত মসজিদে নিয়ে যাওয়া সহজ। তবে পাশাপাশি তাদের মসজিদের শিষ্টাচার শেখানোও জরুরি।
ছোট বয়সে প্রশিক্ষণ দেওয়া সহজ। মসজিদে শিশুদের জন্য বিশেষ সুবিধা চালু করা উচিত। যেমন, শিশুদের জন্য পৃথক ওয়াশরুম ও অজুর জায়গা, মসজিদ প্রাঙ্গণে ক্যাফেটেরিয়া রাখা, ছোট শিশুদের জন্য খেলার জায়গা বানানো।
এইসব সুবিধা চালু করতে আর্থিক বিনিয়োগ এবং সমাজের প্রবীণদের মানসিকতার পরিবর্তন প্রয়োজন। তবে এটা করা গেলে শিশুরা শৈশব থেকেই মসজিদে যেতে আনন্দ পাবে।
ওমরাহ থেকে ফিরে অনেক যুবক বদলে যান এবং ভালো মুসলিম হিসেবে ফিরে আসেন। তাঁদের ইমান ও নেক আমলের প্রতি আগ্রহ বৃদ্ধি পায়।আরও পড়ুনসন্তানের সুশিক্ষায় ইসলাম যা বলে১৯ মার্চ ২০২৪৩. যুবকদেরমসজিদের কাজে যুক্ত করুনমসজিদে যুবকদের জন্য কিছু অ্যাকটিভিটি রাখা জরুরি। এতে তাঁরা সমাজের দায়িত্ববান ব্যক্তি হিসেবে নিজেদের উপলব্ধি করতে পারবেন। তাঁদের কিছু দাতব্য কাজের দায়িত্ব দেওয়া যায় বা ক্রীড়া অনুষ্ঠানের আয়োজন করতে বলা যায়।
কিংবা তাঁদের মাধ্যমে কোনো লিফলেট প্রকাশ করানো যায়। এই কাজগুলো যুবকদের মসজিদে সম্পৃক্ততা বাড়াবে এবং তাঁদের অবদানের মূল্যায়ন করবেন।
৪. বয়স্কদের আচরণে পরিবর্তন আনুনমসজিদে সক্রিয় প্রাপ্তবয়স্ক মুসলিমদের নিজেদের আচরণ, ব্যক্তিত্ব ও শিষ্টাচারের প্রতি সতর্ক থাকতে হবে। যুবকেরা মসজিদে প্রাপ্তবয়স্কদের আচরণ গভীরভাবে পর্যবেক্ষণ করেন এবং তাঁদের সঙ্গে মসজিদের বাইরে দেখা মুসলিমদের আচরণের তুলনা করেন।
যদি মসজিদের প্রাপ্তবয়স্ক ব্যক্তিদের ব্যবহার ভালো না হয়, তাহলে তাঁরা মসজিদে আসতে অনীহা প্রকাশ করতে পারেন। তাঁরা ভাববেন, ‘আমি এমন মানুষদের মতো হতে চাই না।’
মসজিদে যুবকদের জন্য কিছু অ্যাকটিভিটি রাখা জরুরি। এতে তাঁরা সমাজের দায়িত্ববান ব্যক্তি হিসেবে নিজেদের উপলব্ধি করতে পারবেন।আরও পড়ুনউমর (রা.)-এর নেতৃত্বের ৪ অনন্য গুণ০১ জুন ২০২৫৫. সন্তানদের নিয়ে ওমরাহ পালন করুনসন্তানদের হজ ও ওমরাহ পালন করা উচিত। মাতাপিতার উচিত সন্তানদের কলেজ শিক্ষার জন্য টাকা জমানোর মতো হজ ও ওমরাহর জন্য আর্থিক পরিকল্পনা করা।
হজ ও ওমরাহ থেকে ফিরে অনেক যুবক বদলে যান এবং ভালো মুসলিম হিসেবে ফিরে আসেন। তাঁদের ইমান ও নেক আমলের প্রতি আগ্রহ বৃদ্ধি পায়। পবিত্র কাবা দেখা এবং মক্কা-মদিনার হারামাইন মসজিদে নামাজ পড়ার অভিজ্ঞতা যুবকদের ধর্মীয় উৎসাহ বাড়ায় এবং তাঁদের ওপর দীর্ঘস্থায়ী আধ্যাত্মিক প্রভাব ফেলবে, ইনশা আল্লাহ।
এই পদক্ষেপগুলো গ্রহণ করলে যুবকেরা মসজিদকে কেবল নামাজের জায়গা নয়, বরং তাঁদের আধ্যাত্মিক ও সামাজিক জীবনের কেন্দ্র হিসেবে গ্রহণ করবেন, ইনশা আল্লাহ।
সূত্র: অ্যাবাউট ইসলাম ডটনেট
আরও পড়ুনসন্তান প্রতিপালনে ধর্মের দাবি১৯ মে ২০২৫