নাগরিক জীবনের ফ্যাশন ও প্রয়োজনে ই-বাইক এখন বেশ আলোচিত। চীনের ব্র্যান্ড লুইআন ইলেকট্রিক টু-হুইলার বাংলাদেশে উন্মোচন করেছে ডিএক্স গ্রুপ। শুরুতে ব্র্যান্ডটির দুটি মডেলের ই-বাইক নিয়ে কাজ করছে উদ্যোক্তারা।
ডিএক্স গ্রুপের প্রতিষ্ঠাতা ও প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা দেওয়ান কানন বলেন, নতুন বাংলাদেশ প্রধানত টেকসই বাংলাদেশের স্বপ্ন প্রদর্শক হিসেবে সামনে আসছে। সবাইকে সঙ্গে নিয়ে নতুন স্বপ্নের পথে এগিয়ে যেতে কাজ করছি। সব ধরনের ইলেকট্রিক স্কুটার অত্যাধুনিক ও সাশ্রয়ী হওয়ায় দেশে ই-বাইকের জনপ্রিয়তা ও গ্রহণযোগ্যতা দুটোই বাড়ছে। ব্র্যান্ডের দুটি বাইকের মডেল যথাক্রমে এমওকে ও এমওয়াইসি। এমওকে মডেলের মোটরসাইকেলটি পূর্ণ চার্জে চলবে ৮০ থেকে ৯৫ কিলোমিটার। ৮৪ কেজি ওজনের বাইকটির ব্যাটারি ক্যাপাসিটি ৭২ ভোল্ট। মোটরের ক্ষমতা ৮০০ ওয়াট। বাইকটির সামনের চাকায় ডিস্ক ব্রেক ও পেছনের চাকায় ব্যবহার করা হয়েছে ড্রাম ব্রেক। মডেলের বৈশিষ্ট্য অত্যাধুনিক এনএফসি ফিচার, যার ফলে গ্রাহক চাবি ছাড়া শুধু ট্যাপ করে বাইকটি চালু ও বন্ধ করতে পারবেন। বিক্রয়োত্তর সেবা পাঁচ বছর। নতুন ঘোষণায় বর্তমান দাম ১ লাখ ৩৭ হাজার টাকা।
আরেক মডেল এমওয়াইসি পূর্ণ চার্জে চলবে ৮০-৯৫ কিলোমিটার। ৮৩ কেজি ওজনের বাইকটির ব্যাটারি ক্যাপাসিটি ৭২ ভোল্ট। মোটরের ক্ষমতা ৮০০ ওয়াট। সামনের চাকায় ডিস্ক ব্রেক ও পেছনের চাকায় ড্রাম ব্রেক ব্যবহার করা হয়েছে। মডেলে রয়েছে এনএফসি ফিচার। বিক্রয়োত্তর সেবা পাঁচ বছর। নতুন ঘোষণায় বর্তমানে দাম
১ লাখ ৪৩ হাজার টাকা।
উৎস: Samakal
এছাড়াও পড়ুন:
সন্দ্বীপ চ্যানেলে মাঝপথে জ্বালানি শেষ স্পিডবোটের, ২৭ যাত্রী নিয়ে ভেসে ছিল আড়াই ঘণ্টা
সন্দ্বীপ চ্যানেলে দুর্ঘটনায় পড়া একটি স্পিডবোট আড়াই ঘণ্টা সাগরে ভেসে থাকার পর কূলে পৌঁছেছে। বোটটিতে ৩ শিশু, ২ নারীসহ মোট ২৭ জন যাত্রী ছিলেন।
আজ সোমবার দুপুর ১২টার দিকে চট্টগ্রামের সন্দ্বীপের গুপ্তছড়া ঘাট থেকে ছেড়ে আসা বোটটি বেলা সাড়ে তিনটার দিকে সীতাকুণ্ড উপজেলার ছোট কুমিরা উপকূলে পৌঁছায়। বোট পরিচালনাকারী প্রতিষ্ঠানটি হলো সন্দ্বীপ মেরিন সার্ভিস।
বোটের কয়েকজন যাত্রী প্রথম আলোকে জানান, কুমিরা ঘাটের কাছাকাছি আসতেই বোটটির গতি কমে যায়। এরপর প্রবল ঢেউ ও স্রোতের মুখে বারবার পানিতে আছড়ে পড়তে থাকে। চালক তখন যাত্রীদের জানান, বোটের জ্বালানি শেষ হয়ে গেছে। এর মধ্যে বোটের সামনের অংশে পানি ঢুকতে দেখা যায়। আতঙ্কিত যাত্রীরা তখন চিৎকার করতে থাকেন। পরে বোটটি ভাসতে ভাসতে কূলে পৌঁছায়।
বোটে থাকা যাত্রী ফুয়াদ আহমেদ প্রথম আলোকে বলেন, ‘বোটের তলা ফেটে পানি ঢুকছে আর আমরা এক কিলোমিটার দূরে উত্তাল সাগরে ভাসছি। একপর্যায়ে মনে হচ্ছিল বেঁচে ফিরতে পারব না, এমনকি সমুদ্রে ঝাঁপ দেওয়ার কথাও ভাবছিলাম। কিন্তু ভাগ্য ভালো, শেষ পর্যন্ত কূলে পৌঁছাতে পেরেছি।’
বেলা সাড়ে তিনটার দিকে সবাই নিরাপদে কূলে নামতে সক্ষম হন বলে জানান ফুয়াদ।
বিকেলেই সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে স্পিডবোট ডুবে যাওয়ার খবর ছড়িয়ে পড়ে। এতে প্রাণহানির আশঙ্কায় অনেকেই উদ্বেগ প্রকাশ করেন এবং বিষয়টির কারণ জানতে বিভিন্ন মন্তব্য করেন।
জানতে চাইলে বোট পরিচালনাকারী প্রতিষ্ঠান সন্দ্বীপ মেরিন সার্ভিসের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মো. নাসির উদ্দিন বলেন, ‘বোটের জ্বালানি শেষ হয়নি। তীব্র স্রোতের কারণে বোটটি কুমিরা ঘাট থেকে উত্তরে সরে গিয়ে তীরের কংক্রিট ব্লকে ধাক্কা খায়। এতে বোটের নিচের অংশ ক্ষতিগ্রস্ত হয়। কিন্তু যাত্রীরা সবাই নিরাপদে কূলে পৌঁছাতে সক্ষম হন।’
বৈরী আবহাওয়ায় নিষেধাজ্ঞা থাকা সত্ত্বেও বোট চালানোর বিষয়ে জানতে চাইলে নাসির উদ্দিন বলেন, ‘আমাদের সার্ভিস বন্ধ ছিল। তবে বিদেশগামী কয়েকজন যাত্রীর অনুরোধে এই একটি ট্রিপ চালু করতে হয়েছে।’
বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌপরিবহন কর্তৃপক্ষের (বিআইডব্লিউটিএ) চট্টগ্রাম অঞ্চলের উপপরিচালক মো. কামরুজ্জামান প্রথম আলোকে বলেন, বৈরী আবহাওয়ার কারণে এই সময়ে বোট চলাচলের অনুমতি ছিল না। তিনি বলেন, মাঝ সাগরে জ্বালানি শেষ হওয়ার যে কথা বলা হচ্ছে, তার দায় চালক ও মালিকের। ইতিমধ্যে স্বত্বাধিকারীদের কাছে কৈফিয়ত তলব করা হয়েছে। চালকের লাইসেন্স স্থগিত করে তাঁর বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে।