জিয়াউর রহমানের জন্মবার্ষিকী উপলক্ষে সিদ্ধিরগঞ্জ থানা বিএনপির দোয়া
Published: 20th, January 2025 GMT
বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমান বীর উত্তম এর ৮৯ তম জন্মবার্ষিকী উপলক্ষে সিদ্ধিরগঞ্জ থানা বিএনপির আয়োজনে দোয়া ও মিলাদ মাহফিল অনুষ্ঠিত হয়েছে।
সোমবার (২০ জানুয়ারি) বিকালে সিদ্ধিরগঞ্জের বাঘমারা বাইতুল মোকাদ্দাস হিফজুল কুরআন মাদ্রাসা ও এতিম খানায় এ দোয়া ও মিলাদ মাহফিল অনুষ্ঠিত হয়।
সিদ্ধিরগঞ্জ থানা বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক আবকর হোসেনের সভাপতিত্বে উক্ত অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন সিদ্ধিরগঞ্জ থানা বিএনপির সভাপতি মাজেদুল ইসলাম।
এতে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন সিদ্ধিরগঞ্জ থানা বিএনপির সহ-সভাপতি মোস্তফা কামাল, এ্যাডঃ মাসুদুজ্জামান মন্টু, ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক আবুল, কোষাধ্যক্ষ সাইফুল ইসলাম সাদু, সদস্য ইউছুফ মিয়া, ৩নং ওয়ার্ড বিএনপির সভাপতি তৈয়ব হোসেন, সাংগঠনিক সম্পাদক শহীদুল ইসলাম ভূইয়া, ২নং ওয়ার্ড বিএনপির সভাপতি মোহাম্মদ আলী, ৯নং ওয়ার্ড বিএনপির সাধারণ সম্পাদক মহিউদ্দিন সিকদার, সিনিয়র সহ-সভাপতি শাহ-জাহান, সিদ্ধিরগঞ্জ থানা কৃষকদলের আহ্বায়ক তৈয়ম হোসেন, ৩নং ওয়ার্ড বিএনপির সহ-সভাপতি মোহাম্মদ ইউসুফ, যুগ্ম-সম্পাদক আল-আমিন, ৪নং ওয়ার্ড বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক হারুন-অর-রশীদ, মাহবুব হোসেন, সিদ্ধিরগঞ্জ থানা ছাত্রদলের সাবেক সাধারণ সম্পাদক শাহাদাৎ হোসেন রনি, ৩নং ওয়ার্ড বিএনপির যুব-বিষয়ক সম্পাদক সেলিম, সদস্য ইমরান, হানিফ মাতাব্বর, মাসুদ, সিদ্ধিরগঞ্জ থানা ছাত্রদলের সাবেক সহ-দপ্তর সম্পাদক ফাহিম,৩নং ওয়ার্ড ছাত্রদল নেতা রাফি, রনি, সৌরভ, ইব্রাহিম, শুভ ও লাদেন প্রমূখ।
মিলাদ মাহফিলের আগে সংক্ষিপ্ত আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্য মাজেদুল ইসলাম বলেন, মহান স্বাধীনতার ঘোষক, আধুনিক বাংলাদেশের রূপকার, বহু দলীয় গণতন্ত্রের প্রবক্তা, শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের জন্মবার্ষিকী আমরা পালন করছি।
তিনি আরো বলেন, যার জন্ম না হলে বাংলাদেশে বহু দলীয় গণতন্ত্র সৃষ্টি হতো কিনা আমার সন্দেহ।
যখন বাংলাদেশে সকল পত্রিকা গুলো বন্ধ করে দিয়ে, সকল রাজনৈতিক দল বন্ধ ঘোষনা করে একদলীয় শাসন কায়েম করা হয়েছিল, বাকশাল কায়েম করা হয়েছিল, ঠিক সেই সময় সিপাহী বিপ্লবের মাধ্যমে আমাদের প্রানপ্রিয় নেতা বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দলের প্রবক্তা শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমান এদেশের দায়ীত্বভার গ্রহন করে এবং বহুদলীয় গণতন্ত্র সৃষ্টি করে।
মিলাদ মাহফিলে শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের বিদেহী আত্মার মাগফেরাত কামনা করে বিশেষ দোয়া করা হয় এবং বেগম খালেদা জিয়ার সুস্থতা ও দীর্ঘায়ূ কামনা করে, দেশবাসী সকালের মঙ্গল কামনায় ও নারায়ণগঞ্জ ৪-আসনের সাবেক এমপি বীর মুক্তিযোদ্ধা আলহাজ¦ মুহাম্মদ গিয়াসউদ্দিনের জন্য দোয়া করা হয়।
উৎস: Narayanganj Times
কীওয়ার্ড: ব এনপ ন র য়ণগঞ জ স দ ধ রগঞ জ থ ন ল ইসল ম
এছাড়াও পড়ুন:
চেনা রূপে বরিশাল নদীবন্দর, ঈদফেরত যাত্রীদের ভিড়
ঈদের পর কর্মস্থলে ফেরা মানুষের চাপে বরিশাল নদীবন্দরে সেই চিরচেনা রূপ ফিরে পেয়েছে। আজ শুক্রবার দুপুর থেকেই বরিশাল নদীবন্দরে যাত্রীদের ঢল নামে। কে কার আগে এসে লঞ্চে জায়গা নেবেন, এ নিয়ে শুরু হয় জোর তৎপরতা। শুক্রবার বরিশাল নদীবন্দর থেকে সরাসরি ১২টি লঞ্চ ছেড়ে যায়। এ ছাড়া ভায়া পথে আরেকটি লঞ্চ ঢাকার উদ্দেশে ছেড়ে গেছে।
বিকেলে বরিশাল নদীবন্দরে গিয়ে দেখা যায়, বিশাল পরিসরের পন্টুনে যাত্রীদের ভিড়ে তিল ধারণের ঠাই নেই। ঘাটে ১২টি লঞ্চ নোঙর করা। লঞ্চগুলোর নিচতলা, দোতলা, তিনতলা এমনকি ছাদের ডেকে বিছানার চাদর বিছিয়ে অবস্থান নিয়েছেন অসংখ্য যাত্রী।
আরিফুল ইসলাম নামের এক যাত্রী স্ত্রী-সন্তানদের নিয়ে ঈদ করতে গ্রামের বাড়িতে এসেছিলেন। তিনি বলেন, ‘আজ যে অবস্থা তাতে লঞ্চে জায়গা পাব বলে মনে হচ্ছিল না। তাই দুপুরের মধ্যে ঘাটে এসেছি। কিন্তু এসে দেখি, তখনই সব লঞ্চের ডেক প্রায় পরিপূর্ণ। ভাগ্য ভালো যে একটু জায়গা পেয়েছি। কিছু পরে এলে হয়তো তা-ও পেতাম না।’
ঈদ উপলক্ষে এবার ঢাকা-বরিশাল নৌপথে বিশেষ লঞ্চ সার্ভিস চালু হয়েছিল ৩ জুন রাত থেকে। লঞ্চমালিকদের সূত্র বলছে, ঈদুল আজহা উপলক্ষে বিশেষ সার্ভিসের জন্য তাঁরা আগাম প্রস্তুতি নিয়ে রেখেছিলেন। এর অংশ হিসেবে এ সার্ভিসে যুক্ত করা হয় অন্তত ১৬টি লঞ্চ। ঈদের এ বিশেষ যাত্রা চলবে আগামীকাল শনিবার পর্যন্ত।
সূত্র জানায়, এবার ঈদের দীর্ঘ ছুটি হওয়ায় প্রায় দ্বিগুণ যাত্রী গ্রামে ফেরেন। ঈদের পর দুই দিন যাত্রীদের তেমন ভিড় ছিল না। এ সময় চার থেকে ছয়টি লঞ্চ চলাচল করেছে, কিন্তু বৃহস্পতিবার থেকে যাত্রীদের চাপ বেড়ে যায়। বৃহস্পতিবার বন্দর থেকে ১১টি লঞ্চ সরাসরি ঢাকায় যাত্রী পরিবহন করেছে। আজ যাত্রীদের চাপ আরও বেড়ে গেলে লঞ্চের সংখ্যা বাড়িয়ে ১২টি করা হয়।
অভ্যন্তরীণ লঞ্চ মালিক সমিতির মহাসচিব সিদ্দিকুর রহমান পাটোয়ারী বলেন, পদ্মা সেতু চালুর পর নদীপথে যাত্রী সংখ্যা তলানিতে নামে। এ জন্য প্রতিদিন চার থেকে ছয়টি লঞ্চের বদলে দুটিতে নামিয়ে এনে রোটেশন প্রথা চালু করা হয়। তবে ঈদের যাত্রীদের চাপ বেড়ে যায় বলে অতিরিক্ত লঞ্চ দিয়ে বিশেষ সার্ভিস চালু করা হয়েছে।
তবে ঈদযাত্রায় ভাড়া স্বাভাবিক সময়ের চেয়ে বাড়ানো হয়েছে। স্বাভাবিক সময়ে সিঙ্গেল কেবিনের ভাড়া ১ হাজারের জায়গায় এখন ১ হাজার ২০০ টাকা, ডাবল কেবিনের ভাড়া ১ হাজার ৮০০ থেকে ২ হাজার টাকার স্থলে ২ হাজার ২০০ টাকা এবং ডেকের ভাড়া ৩০০ টাকার জায়গায় ৪০০ নির্ধারণ করা হয়েছে।
তবে যাত্রীরা অভিযোগ করেছেন, লঞ্চের সংখ্যা বাড়ানো হলেও কেবিনের টিকিট মিলছে না। লঞ্চে গেলে কেবিন নেই বলে ফিরিয়ে দেওয়া হলেও কালোবাজারে সিঙ্গেল কেবিন তিন হাজার এবং ডাবল কেবিন ছয় হাজার টাকায় বিক্রি হচ্ছে।
রাকিবুল ইসলাম নামের এক যাত্রী বলেন, শুক্রবার ঢাকায় যাওয়ার জন্য তিনি কোনো লঞ্চের কেবিন পাননি। কিন্তু কালোবাজারে তাঁর কাছে একটি সিঙ্গেল কেবিন তিন হাজার টাকা চাওয়া হয়েছে। দুই হাজার টাকা দেওয়ার কথা বললেও তা পাননি।
জানতে চাইলে সুরভী শিপিং লাইনসের পরিচালক রেজিন উল কবির বলেন, ‘স্বাভাবিক সময়ে আমরা সরকার-নির্ধারিত ভাড়ার কম নিয়েই যাত্রী পরিবহন করি। এতে অনেক সময় আমাদের লোকসানে থাকতে হয়। কিন্তু ঈদের সময় সরকার-নির্ধারিত ভাড়া নিয়ে তা কিছুটা পোষাতে হয়।’ কালোবাজারে টিকিট বিক্রির বিষয়ে তিনি বলেন, ‘এর সঙ্গে মালিক বা লঞ্চের স্টাফদের সংশ্লিষ্টতা নেই। হয়তো বাইরের কেউ আগে নিজেদের নামে বুকিং দিয়ে এসব করতে পারে। বাইরের কেউ এমন করলে তো আমাদের কিছু করার থাকে না।’
বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌপরিবহন কর্তৃপক্ষ (বিআইডব্লিউটিএ) সূত্র জানায়, দেশে নৌপথে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ ও বেশি যাত্রী চলাচল করে ঢাকা-বরিশাল পথে। কিন্তু পদ্মা সেতু চালুর পর থেকে এই নৌপথে যাত্রীসংখ্যা কমে যায়। আগে যেখানে প্রতিদিন ছয় থেকে আটটি লঞ্চ চলাচল করত, এখন প্রতিদিন দুটি লঞ্চ চলাচল করে। তবে ঈদের সময় যাত্রীদের বাড়তি চাপ থাকে বরাবরই। এবার তা অনেক বেশি।
বিআইডব্লিউটিএর নৌ নিরাপত্তা ও ট্রাফিক ব্যবস্থাপনা বিভাগের উপপরিচালক শেখ মোহাম্মদ সেলিম রেজা বিকেলে প্রথম আলোকে বলেন, এবার ঈদ উপলক্ষে ছুটি দীর্ঘ হওয়ায় আগের চেয়ে অনেক বেশি যাত্রী গ্রামে ফিরেছেন। তাই এবার প্রত্যাশা অনুযায়ী যাত্রী পাওয়া পাচ্ছে লঞ্চগুলোয়। বিশেষ করে ঈদের তিন দিন আগে এবং ঈদের দুই দিন পর থেকে যাত্রীদের এত চাপ যে তাঁদের দম ফেলার সময় নেই।