ভারতের জনপ্রিয় নায়ক সাইফ আলী খানের ওপরে হামলার অভিযোগে গ্রেপ্তার মোহাম্মদ শরীফুল ইসলাম শেহজাদ বাংলাদেশেরই ছেলে। তার বাড়ি ঝালকাঠির নলছিটি উপজেলার রাজাবাড়িয়া গ্রামে।

শেহজাদকে গ্রেপ্তারের পরই মুম্বাই পুলিশ দাবি করে, “শেহজাদ বাংলাদেশের নাগরিক।” মুম্বাই পুলিশের এধারণাই সঠিক।

শেহজাদ বাংলাদেশের ঝালকাঠির ছেলে। এলাকায় তিনি ভাড়ায় মোটরসাইকেল চালাতেন। তিনি নলছিটি থানায় হত্যাসহ একাধিক মামলার আসামি। হত্যা মামলার পরে তিনি এলাকা ছেড়ে আত্মগোপনে যান। পরিবারের সঙ্গেও তার কোনো যোগাযোগ নেই। 

নলছিটি থানার পুলিশ, স্থানীয় জনপ্রতিনিধি ও শেহজাদের পরিবারের সঙ্গে কথা বলে এ তথ্য জানা গেছে। 

নলছিটির মোল্লারহাট ইউনিয়ন পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান আব্দুস সালাম জানান, শরীফুল ইসলাম শেহজাদ রাজাবাড়িয়া গ্রামের রুহুল আমিন ফকিরের ছেলে। শেহজাদ ভাড়ায়চালিত মোটরসাইকেলের চালক ছিল। ২০১৭ সালে মোল্লারহাট স্টিল ব্রিজের কাছে রফিকুল ইসলাম নামে একজন মোটরসাইকেলচালককে হত্যার ঘটনায় শেহজাদকে আসামি করা হয়। এ ঘটনার পরে সে এলাকা ছেড়ে আত্নগোপনে চলে যায়। এলাকায় থাকাকালে সে ছিনতাই, চুরি ও মারামারির সঙ্গে জড়িত ছিল।

শেহজাদের বাবা রুহুল আমিন ফকির বলেন, “আমাদের সঙ্গে শেহজাদের কোন যোগাযোগ নেই। শুনেছি সে ভারতে আটক হয়েছে। সে কবে, কিভাবে ভারত গেছে তা আমাদের জানা নেই। খারাপ কাজ করলে, সে শাস্তি পাবে, এটাই কামনা করছি।” 

নলছিটি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আব্দুস সালাম বলেন, “আমাদের কাছে এখনো কোনো বার্তা আসেনি। তবে শেহজাদের বিরুদ্ধে নলছিটি থানায় এবং ঢাকায় হত্যা মামলা রয়েছে। সে ছিনতাইয়ের সঙ্গেও জড়িত বলে পুলিশের কাছে রিপোর্ট রয়েছে।” 

ঢাকা/অলোক/টিপু

.

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর

এছাড়াও পড়ুন:

বাগেরহাটে চার আসন বহালের দাবিতে নতুন কর্মসূচি 

বাগেরহাটে চারটি সংসদীয় আসন বহাল রাখার দাবিতে নতুন কর্মসূচি ঘোষণা করেছে সর্বদলীয় সম্মিলিত কমিটি। আগামী শুক্র ও শনিবার (১৯ ও ২০ সেপ্টেম্বর) গণস্বাক্ষর সংগ্রহ এবং রবি ও সোমবার (২১ ও ২২ সেপ্টেম্বর) জেলা নির্বাচন কার্যালয়ের সামনে অর্ধদিবস অবস্থান কর্মসূচি পালনের ঘোষণা দেওয়া হয়েছে।

বৃহস্পতিবার (১৮ সেপ্টেম্বর) দুপুরে জেলা নির্বাচন কার্যালয়ের সামনে অবস্থান কর্মসূচি শেষে বিক্ষোভ মিছিল বের করে সর্বদলীয় সম্মিলিত কমিটি। মিছিলটি শহরের বিভিন্ন সড়ক প্রদক্ষিণ শেষে জেলা প্রশাসকের (ডিসি) কার্যালয়ের সামনে গিয়ে শেষ হয়। সেখানে সর্বদলীয় সম্মিলিত কমিটির নেতা এম এ সালাম নতুন কর্মসূচি ঘোষণা করেন।

এম এ সালাম বলেছেন, “বাগেরহাটের চারটি আসন অক্ষুণ্ন রাখার দাবিতে আমরা শান্তিপূর্ণ আন্দোলন চালিয়ে যাচ্ছি। আদালতের প্রতি আমাদের আস্থা আছে, তবে জনগণের দাবি প্রতিষ্ঠা না হওয়া পর্যন্ত আন্দোলন চলবে।”

এর আগে আসন কমানোর প্রতিবাদে জেলা জুড়ে হরতাল, বিক্ষোভ ও মানববন্ধনসহ বিভিন্ন কর্মসূচি পালিত হয়েছে। পাশাপাশি উচ্চ আদালতে রিট করা হয়েছে।

ঢাকা/শহিদুল/রফিক

সম্পর্কিত নিবন্ধ