সিংহের খাঁচায় গিয়ে টিকটক করতে গিয়ে বিপদে পাকিস্তানি তরুণ
Published: 21st, January 2025 GMT
সিংহের খাঁচায় প্রবেশ করে টিকটক ভিডিও তৈরি করতে গিয়ে বিপদে পড়েছে এক পাকিস্তানি ব্যক্তি। কোনোক্রমে প্রাণে বেঁচে গেলেও গুরুতর আহত হয়েছেন তিনি। মঙ্গলবার এনডিটিভি অনলাইন এ তথ্য জানিয়েছে।
মুহাম্মদ আজিম নামের ওই ব্যক্তি পাকিস্তানের পাঞ্জাব প্রদেশের একটি প্রজনন খামারে সিংহের খাঁচায় প্রবেশ করেন। খামার মালিকের অনুমতি ছাড়াই তিনি এ কাজটি করেছিলেন।
পুলিশ বলেছে, “আজিম যখন তার মোবাইল ফোন নিয়ে সিংহের কাছে যাচ্ছিল, তখন এটি তাকে আক্রমণ করে, যার ফলে তার মাথা, মুখ এবং বাহুতে আঘাত লাগে।”
প্রজনন খামারের মালিক আজিমের চিৎকার শুনতে পান এবং তাকে উদ্ধার করতে ছুটে যান। আজিমকে হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয়েছে। তার অবস্থা বর্তমানে আশঙ্কাজনক।
এই ঘটনার প্রতিক্রিয়ায় পাঞ্জাবের বন্যপ্রাণী বিষয়ক দপ্তরের মহাপরিচালক প্রজনন খামারের লাইসেন্স বাতিল করেছেন এবং দায়ী ব্যক্তির বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা নেওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন।
ঢাকা/শাহেদ
.উৎস: Risingbd
এছাড়াও পড়ুন:
একা বাস করতে পারে যে পাখি
কাকাপো একটি ব্যতিক্রমী পাখির নাম। এই পাখি চেনা পরিচিত পাখির মতো আচরণ করে না। ‘‘কাকাপোর আচারণ মানব শিশুর মতো।’’–কাকাপো বিশেষজ্ঞ ডা. রাগবী এই মন্তব্যই করেছেন।
নিউজিল্যান্ডের একটি অনন্য এবং অত্যন্ত বিপন্ন তোতাপাখি হলো কাকাপো। এটি ‘আউল প্যারট’ নামে পরিচিত। এটি হলো বিশ্বের একমাত্র তোতাপাখি যা দূরে উড়ে যেতে পারে না, তবে গাছে চড়তে পারে। এর ডানা তুলনামূলকভাবে ছোট এবং ওড়ার জন্য প্রয়োজনীয় পেশী সংযুক্ত করার ক্ষমতা নেই।
আরো পড়ুন:
কেউ কটূক্তি করলে কী করবেন?
টানা ৬ মাস রাতের খাবার দেরিতে খেলে যা হয়
কাকাপো একটি নিশাচর পাখি, দিনের বেলা ঘুমায়। তোতাপাখির ভেতর কাকাপো বিশ্বের সবচেয়ে ভারী । একটি প্রাপ্তবয়স্ক পুরুষ পাখির ওজন ৪ কেজি (৮.৮ পাউন্ড) পর্যন্ত হতে পারে।
কাকাপোর পালক হলুদাভ সবুজ রঙের হয়। এই পাখি বনের মধ্যে ছদ্মবেশ ধারণ করতে পারে। এদের মুখের পালক চাকতির মতো সাজানো থাকে, যে কারণে একে পেঁচা-তোতাও বলা হয়। এই পাখির প্রিয় খাবার রিমু বেরি।
কাকাপো প্রতি দুই থেকে চার বছর অন্তর প্রজনন করে। এর আবাসস্থল হলো নিউজিল্যান্ডে। বিপন্ন হতে যাওয়া এই পাখিকে বর্তমানে শিকারী-মুক্ত কয়েকটি দ্বীপে সংরক্ষণ করা হচ্ছে। এই পাখি একাকী বাস করতে পারে।
পুরুষ কাকাপো প্রজনন ঋতুতে সঙ্গীকে আকর্ষণ করার জন্য এক ধরনের গম্ভীর ‘বুমিং’ (booming) শব্দ করে। স্ত্রী কাকাপো একবারে সাধারণত ১ থেকে ৪টি ডিম পাড়ে। ডিমগুলো ফুটে বাচ্চা বের হতে প্রায় ৩০ দিন সময় লাগে এবং এই সময়ে মা কাকাপো-ই ডিমে তা দেয় ও বাচ্চার যত্ন নেয়।
মাউরি লোক সাহিত্যে এবং বিশ্বাসের সাথে কাকাপো ওতপ্রোতভাবে জড়িয়ে আছে। তারা বিশ্বাস করে কাকাপো পাখি ভবিষ্যত বলতে পারে।
ঢাকা/লিপি