ইসরায়েলি সেনাবাহিনীর শীর্ষ দুই কর্মকর্তার পদত্যাগ
Published: 22nd, January 2025 GMT
ইসরায়েলের সেনাপ্রধান লেফটেন্যান্ট জেনারেল হারর্জি হালেভি এবং গাজার দায়িত্বপ্রাপ্ত ইসরায়েলের দক্ষিণাঞ্চলীয় সামরিক কমান্ডের প্রধান মেজর জেনারেল ইয়ারন ফিঙ্কেলম্যান পদত্যাগের ঘোষণা দিয়েছেন। হামাসের সঙ্গে প্রত্যাশিত যুদ্ধবিরতি কার্যকরের কয়েক দিনের মধ্যে ইসরায়েলি সেনাবাহিনীর শীর্ষ এই দুই কর্মকর্তার পদত্যাগের ঘটনা ঘটেছে।
ফিলিস্তিনি স্বাধীনতাকামী গোষ্ঠী হামাসের ২০২৩ সালের ৭ অক্টোবরে হামলার ঘটনায় ব্যর্থতার দায় নিয়ে মঙ্গলবার তিনি পদত্যাগ করেছেন বলে ইসরায়েলি সেনাবাহিনীর এক বিবৃতিতে জানানো হয়েছে। খবর: রয়টার্স।
সেনাবাহিনীর প্রকাশিত পদত্যাগপত্রে হালেভি বলেছেন, ৭ অক্টোবর (সেনাবাহিনীর) ব্যর্থতার জন্য নিজের দায় স্বীকার করে তিনি বিদায় নিচ্ছেন। তিনি বলেছেন, সামরিক বাহিনীর ‘‘উল্লেখযোগ্য সাফল্যের’’ সময়ে তিনি পদত্যাগ করছেন। তবে হামাসের সঙ্গে ইসরায়েলের যুদ্ধের সব লক্ষ্য অর্জিত হয়নি বলে মন্তব্য করেছেন হালেভি।
ইসরায়েলি এই সেনাপ্রধান আরও বলেছেন, যুদ্ধের সব উদ্দেশ্য এখনও অর্জিত হয়নি। হামাস ও এর শাসন করার সক্ষমতাকে আরও ধ্বংস, জিম্মিদের প্রত্যাবর্তন নিশ্চিত করতে লড়াই চালিয়ে যাবে সেনাবাহিনী। আর এর মধ্য দিয়ে হামাসের হামলায় বাস্তুচ্যুত ইসরায়েলিরা ফিরে আসতে সক্ষম হবেন বলে আশা প্রকাশ করেছেন তিনি।
২০২৩ সালের ৭ অক্টোবর ইসরায়েলের দক্ষিণাঞ্চলের কিব্বুৎজে ঢুকে অতর্কিত হামলা চালান গাজা উপত্যকা নিয়ন্ত্রণকারী সশস্ত্র রাজনৈতিক গোষ্ঠী হামাসের যোদ্ধারা। ইসরায়েলে প্রবেশের পর প্রথমে এলোপাতাড়ি গুলি চালিয়ে ১ হাজার ২১০ জনকে হত্যা করেন তারা। পরে সেখান ২৫১ জনকে জিম্মি হিসেবে ধরে নিয়ে গাজায় বন্দি রাখেন হামাস যোদ্ধারা। এই জিম্মিদের মধ্যে নারী ও শিশুও রয়েছে।
হামাসের নজিরবিহীন আন্তঃসীমান্ত হামলার পর গত ১৫ মাস ধরে গাজা উপত্যকায় অবিরাম বিমান ও স্থল হামলা চালিয়েছে ইসরায়েল। ইসরায়েলি হামলায় হাসপাতাল, স্কুল, শরণার্থী শিবির, মসজিদ, গির্জাসহ হাজার হাজার ভবন ক্ষতিগ্রস্ত বা ধ্বংস হয়ে গেছে।
ইসরায়েলের হামলায় গাজায় এখন পর্যন্ত ৪৬ হাজারেরও বেশি মানুষ নিহত হয়েছেন। আহত হয়েছেন আরও লক্ষাধিক মানুষ। জাতিসংঘের মানবাধিকার কার্যালয় জানিয়েছে, নিহতদের অধিকাংশই নারী ও শিশু। এছাড়া ইসরায়েলি আগ্রাসনের কারণে প্রায় ২০ লাখেরও বেশি বাসিন্দা তাদের বাড়িঘর ছাড়তে বাধ্য হয়েছেন।
.
উৎস: Samakal
কীওয়ার্ড: পদত য গ ইসর য় ল পদত য গ ইসর য
এছাড়াও পড়ুন:
৭৮০ কোটি টাকা মুনাফা করেছে পূবালী ব্যাংক
বেসরকারি খাতের পূবালী ব্যাংক ২ হাজার কোটি টাকার রেকর্ড পরিচালন মুনাফা করলেও বছর শেষে ব্যাংকটির নিট মুনাফা হাজার কোটি টাকা ছাড়ায়নি। গত বছর শেষে পূবালী ব্যাংকের নিট মুনাফা দাঁড়িয়েছে ৭৮০ কোটি টাকা। ২০২৩ সালে ব্যাংকটি নিট মুনাফা করেছিল ৬৯৮ কোটি টাকা। সেই হিসাবে এক বছরের ব্যবধানে ব্যাংকটির মুনাফা ৮২ কোটি টাকা বা প্রায় ১২ শতাংশ বেড়েছে। গতকাল মঙ্গলবার ব্যাংকটির পরিচালনা পর্ষদের সভায় গত বছরের আর্থিক প্রতিবেদন অনুমোদন করা হয়।
আর্থিক প্রতিবেদন অনুমোদনের পাশাপাশি গত বছরের জন্য লভ্যাংশও অনুমোদন করা হয় গতকালের এই সভায়। গত বছরের জন্য ব্যাংকটি ২৫ শতাংশ লভ্যাংশ দেওয়ার ঘোষণা দিয়েছে। যার মধ্যে সাড়ে ১২ শতাংশ নগদ ও সাড়ে ১২ শতাংশ বোনাস লভ্যাংশ। ২০২৩ সালেও ব্যাংকটি একই হারে শেয়ারধারীদের লভ্যাংশ দিয়েছিল।
ব্যাংকসংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা যায়, ২০২৪ সালে পূবালী ব্যাংক ঋণের সুদ থেকে ১ হাজার ৫১৩ কোটি টাকা আয় করেছে। বিনিয়োগ, কমিশন, মুদ্রা বিনিময় ও ব্রোকারেজ থেকে আয় করেছে ২ হাজার ৭২১ কোটি টাকা। তাতে সব মিলিয়ে আয় হয় ৪ হাজার ২৩৫ কোটি টাকা। বিদায়ী বছরে বেতন-ভাতাসহ নানা খাতে খরচ হয় ১ হাজার ৯৩৩ কোটি টাকা। ফলে পরিচালন মুনাফা হয় ২ হাজার ৩০১ কোটি টাকা। ব্যাংকটি বিদায়ী বছরে নিরাপত্তা সঞ্চিতি সংরক্ষণ করে ৯৬১ কোটি টাকা। এরপর কর পরিশোধের পর নিট বা প্রকৃত মুনাফা হয় ৭৮০ কোটি টাকা।
জানতে চাইলে পূবালী ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মোহাম্মদ আলী প্রথম আলোকে বলেন, ‘ভবিষ্যতের কথা বিবেচনায় আমরা চাহিদার বেশি নিরাপত্তা সঞ্চিতি সংরক্ষণ করেছি। বাংলাদেশ ব্যাংক এই পরামর্শ দিয়েছে। খেলাপির তুলনায় বেশি সঞ্চিতি রাখার মাধ্যমে ব্যাংকটির ভিত্তি মজবুত করা হয়েছে।
ব্যাংক সূত্রে জানা যায়, ২০২৪ সালে পূবালী ব্যাংকের আমানত বেড়ে হয়েছে ৭৪ হাজার ৫২৩ কোটি টাকা। এ সময়ে ঋণ বেড়ে দাঁড়ায় ৬২ হাজার ৯২৫ কোটি টাকা। আর খেলাপি ঋণের হার কমে নেমে এসেছে ২ দশমিক ৬৭ শতাংশে। ব্যাংকটির পরিশোধিত মূলধন এখন ১ হাজার ১৫৬ কোটি টাকা। আর কর্মীর সংখ্যা ১০ হাজার ৬৭৮। সারা দেশে ৫০৮টি শাখা ও ২২৭টি উপশাখা রয়েছে ব্যাংকটির। বর্তমানে বেসরকারি খাতে সবচেয়ে বেশি নেটওয়ার্ক পূবালী ব্যাংকের।