গাজীপুরে কারখানায় হামলা-ভাঙচুর, ২ শ্রমিক আহত
Published: 22nd, January 2025 GMT
দাবি আদায়ের আন্দোলনে যোগ না দেওয়ায় একটি কারখানায় হামলা চালিয়ে ভাঙচুর করার অভিযোগ উঠেছে বহিরাগত শ্রমিকদের বিরুদ্ধে।
বুধবার (২২ জানুয়ারি) সকাল সাড়ে ৯টার দিকে গাজীপুরের কালিয়াকৈর উপজেলার কামরাঙ্গাচলা এলাকার ল্যাভেন্ডার গার্মেন্টস লিমিটেড কারখানায় ঘটনাটি ঘটে। এরপরই কারখানা ছুটি ঘোষণা করেছে কর্তৃপক্ষ। ঘটনাস্থলে আইন শৃঙ্খলার রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যরা মোতায়েন রয়েছে।
এদিকে, হামলার ঘটনায় দুই শ্রমিক আহত হয়েছেন। তাদের কালিয়াকৈর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে পাঠানো হয়েছে ।
আরো পড়ুন:
ফরিদপুরে হামলায় ৩ ডিবি পুলিশ আহত
ছাত্রদের ওপর ছাত্রদলের হামলার প্রতিবাদে মানববন্ধন
কারখানা কর্তৃপক্ষ, পুলিশ ও শ্রমিকরা জানান, উপজেলার তেলিচালা, কামরাঙ্গারচালা, মৌচাকসহ বিভিন্ন এলাকার শ্রমিকরা প্রায়ই ছিনতাইয়ের শিকার হচ্ছে। ছিনতাইকারীদের গ্রেপ্তার ও এক শ্রমিক আহত হওয়ার ঘটনার বিচার দাবিতে গতকাল মঙ্গলবার বিকেল থেকে শ্রমিকরা ঢাকা-টাঙ্গাইল মহাসড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ করেন। ওই সময় তেলিরচালা এলাকার এটিএস অ্যাপারেলস কারখানার শ্রমিকরা আশপাশের কারখানার শ্রমিকদের তাদের সঙ্গে যোগ দেওয়ার অনুরোধ জানান। এ সময় শ্রমিকরা কামরাঙ্গিরচালা এলাকার ল্যাভেন্ডার গার্মেন্টস লিমিটেড কারখানার শ্রমিকদের তাদের সঙ্গে যোগ দিতে আহ্বান জানায়। ওই কারখানার শ্রমিকরা তাদের সঙ্গে যোগ না দিয়ে উল্টো বহিরাগত শ্রমিকদের ওপর ইট নিক্ষেপ করে। একপর্যায়ে বহিরাগত শ্রমিকরা চলে যায়।
ওই ঘটনার জেরে তেলিরচালা এলাকার এটিএস অ্যাপারেলস লিমিটেড কারখানার শ্রমিকরা আজ সকাল সাড়ে ৯টার দিকে ল্যাভেন্ডার গার্মেন্টস লিমিটেড কারখানায় হামলা চালায়। তারা প্রধান ফটক ভেঙে ভেতরে প্রবেশ করে এবং কারখানার ভেতরে থাকা গার্মেন্টস ভবনের গ্লাস, মূল্যবান মালামাল, আসবাবপত্র ও যানবাহন ভাংচুর করে।
খবর পেয়ে সেনাবাহিনী, শিল্প পুলিশ ও থানা পুলিশ ঘটনাস্থলে এসে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করে। হামলায় দুই জন শ্রমিক আহত হন। তাদের উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স এ পাঠানো হয়। কারখানায় হামলা ভাঙচুরের ঘটনার পর আশপাশের কয়েকটি কারখানা আজকের জন্য ছুটি ঘোষণা করে কর্তৃপক্ষ।
কারখানার নিরাপত্তাকর্মীদের সুপারভাইজার মোহাম্মদ কামাল বলেন, “গতকাল বহিরাগত শ্রমিকদের কাউন্টার অ্যাটাক করা হয়। এরই জেরে আজকে এ টিএস কারখানাসহ অন্য বহিরাগত শ্রমিকরা আমাদের কারখানায় হামলা চালিয়েছে। তাদের প্রতিহত করা হলে আমাদের ওপরও হামলা চালায়। পরে তারা গেট ভেঙে ভেতরে ঢোকে। কারখানায় ভাঙচুর করে ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি করেছে।”
ঘটনার খবর পেয়ে কালিয়াকৈর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা কাউসার আহাম্মেদ, গাজীপুর শিল্প পুলিশ-২ এর পুলিশ সুপার এ কে এম জহিরুল ইসলাম, কালিয়াকৈর থানার ওসি রিয়াদ মাহমুদ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন।
ল্যাভেন্ডার গার্মেন্টস লিমিটেড কারখানার এইচআর এডমিন মো.
কালিয়াকৈর থানার ওসি রিয়াদ মাহমুদ বলেন, “হামলার ঘটনাটি তদন্ত করা হচ্ছে। এর সঙ্গে আরো নানা ধরনের কারণও থাকতে পারে। আইনগত ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন।”
ঢাকা/রেজাউল/মাসুদ
উৎস: Risingbd
কীওয়ার্ড: চ কর চ কর র উপজ ল এল ক র র ঘটন ঘটন র
এছাড়াও পড়ুন:
ইসরায়েলে নতুন করে শুরু ইরানের ক্ষেপণাস্ত্র হামলা
ইসরায়েলি প্রতিরক্ষা বাহিনী (আইডিএফ) জানিয়েছে, ইরান থেকে নতুন করে ক্ষেপণাস্ত্র হামলা শুরু হয়েছে। একাধিক ক্ষেপণাস্ত্র শনাক্ত করেছে ইসরায়েল। বর্তমানে হামলা প্রতিহত করার কাজ চলছে বলে জানিয়েছে আইডিএফ।
আজ সোমবার সিএনএনের এক খবরে বলা হয়েছে, তেল আবিব ও জেরুজালেমসহ ইসরায়েলের বিভিন্ন শহরে জরুরি সতর্ক সংকেত (সাইরেন) বাজতে শুরু করেছে। আইডিএফ সতর্ক করে বলেছে, তাদের প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা পুরোপুরি অভেদ্য নয়।
সিএনএনের একজন প্রযোজক জেরুজালেমে সাইরেন এবং একাধিক বিস্ফোরণের শব্দ শুনেছেন। তার তোলা ভিডিওতে আকাশে বহু ক্ষেপণাস্ত্র ছুটে যেতে দেখা গেছে।
ইসরায়েলের জরুরি পরিষেবা সংস্থা ম্যাগেন ডেভিড আদোম জানিয়েছে, তাদের দলগুলো আক্রান্ত এলাকার দিকে রওনা দিয়েছে।
সারা দেশের নাগরিকদের আশ্রয়কেন্দ্রে ঢুকতে এবং পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত সেখানে থাকার আহ্বান জানিয়েছে ইসরায়েলি সেনাবাহিনী।
বিবিসির এক প্রতিবেদনে বলা হয়, ইসরায়েলি সেনাবাহিনী এক্সে দেওয়া এক পোস্টে বলেছে, বর্তমানে বিমানবাহিনী হামলা প্রতিহত করার পাশাপাশি পাল্টা হামলা চালানোর কাজ করছে।
ইসরায়েলি সংবাদমাধ্যম ওয়াইনেট নিউজ জানিয়েছে, মধ্য ইসরায়েলের পেতাহ টিকভা শহরের একটি ভবনে একটি ইসরায়েলি ক্ষেপণাস্ত্র সরাসরি আঘাত হেনেছে। হামলার ফলে ওই স্থানে আগুন ধরে যায়। তবে এ ঘটনায় তাৎক্ষণিকভাবে কোনো হতাহতের খবর পাওয়া যায়নি।
এদিকে মধ্য ইরানে একাধিক বিমান হামলা চালিয়েছে ইসরায়েল। দেশটির সেনাবাহিনী এ তথ্য জানিয়েছে। আল-জাজিরার এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, সেনাবাহিনীর দাবি, বিভিন্ন ক্ষেপণাস্ত্র স্থাপনা লক্ষ্য করে এসব হামলা চালানো হয়েছে।
ইসরায়েলি সেনাবাহিনীর এক বিবৃতিতে বলা হয়েছে, ‘ইসরায়েলি বিমানবাহিনী সফলভাবে মধ্য ইরানে অবস্থিত একাধিক স্থাপনায় আঘাত হেনেছে। আমাদের গোয়েন্দা তথ্য বলছে, এসব স্থাপনা থেকে ইসরায়েলের দিকে ক্ষেপণাস্ত্র ছোড়া হচ্ছিল।’
তবে ইসরায়েলের এই হামলার প্রতিক্রিয়ায় ইরান এখনো আনুষ্ঠানিক বিবৃতি দেয়নি।
এদিকে ইরানের স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, ইসরায়েলি বিমান হামলায় রোববার পর্যন্ত নিহতের সংখ্যা বেড়ে ২২৪ জনে পৌঁছেছে।
বার্তা সংস্থা অ্যাসোসিয়েটেড প্রেসের (এপি) এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, নিহতদের মধ্যে ৯০ শতাংশেরও বেশি বেসামরিক নাগরিক। হামলায় ১ হাজার ২৭০ জনেরও বেশি মানুষ আহত হয়েছেন।
এপির প্রতিবেদনে আরও বলা হয়, গত ১৩ জুন ইরানে বিমান হামলা শুরু করে ইসরায়েল। ওই হামলায় ইরানের নাতাঞ্জ ও ইসফাহান অঞ্চলের পারমাণবিক স্থাপনা ব্যাপকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়। বেশ কয়েকজন উচ্চপদস্থ সামরিক কর্মকর্তা ও পারমাণবিক বিজ্ঞানী নিহত হন। ইরানে বর্তমানে মসজিদ ও মেট্রো স্টেশনগুলোকে অস্থায়ী আশ্রয়কেন্দ্র হিসেবে ব্যবহার করা হচ্ছে।